বিজ্ঞান ছাড়া আজকের পৃথিবীতে উন্নতির কথা ভাবাই যায় না। বর্তমানে মানুষ এ বিশেষ জ্ঞানের মাধ্যমে জীবনের সর্বস্তরে ও সর্বাবস্থায় পরিবর্তন আনতে পেরেছে। বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষের ছোয়ায় যে সব শিল্প বা প্রতিষ্ঠান ধন্য হয়েছে আজকের কৃষি তার কোনো অংশেই কম নয়। আর এই বিজ্ঞানই কৃষিক্ষেত্রের সার্বিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
আজ থেকে বেশ কয়েক হাজার বছর আগে কৃষক বা কৃষি কিছুই ছিলো না। মানুষ ফলমূল ও মাছ শিকার করে এবং জন্তু জানোয়ারের মাংস খেয়ে জীবন ধারণ করতো। কিন্তু একপর্যায়ে মানুষ পশুপালন ও বীজ বপন করতে শেখে।
বিজ্ঞান ও কৃষির সুচনাকাল: যেদিন থেকে মানুষ আগুন জ্বালাতে শেখে, যেদিন হতে মানুষ পাথরের অস্ত্র নিয়ে বন্য পশুর সঙ্গে যুদ্ধ আরম্ভ করে, যেদিন মানুষ চাকা তৈরি করতে শেখে, সেদিন থেকেই বিজ্ঞানের জয়যাত্রা শুরু। মানুষ প্রকৃতির রহস্য ভেদ করার জন্য নব নব আবিষ্কার করে। এ আবিষ্কারের ফলস্বরূপ মানুষ কৃষিবিদ্যা শিক্ষা করে নিজের রুচি ও চাহিদাকে পরিতৃপ্ত ও পরিপুষ্ট করে। হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ ঋগ্বেদে 'ধান্য' কথাটি উল্লেখ আছে। মিশরের ফারাওদের 'মমির' গায়ে চিত্রিত ছবিতেও দেখা যায় ধান গাছের ছবি। সুতরাং এ কথা প্রমাণিত হয় যে, কৃষি ও বিজ্ঞানের সূচনালগ্ন প্রাচীনকাল ।
continue.....