যারা বিয়ে করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য কিছু টিপসঃ ১. পাত্রী দেখার আগেই পাত্রীর সাথে কারো সম্পর্ক আছে কিনা জেনে নিবেন। ২. পরিবারের সম্মতিতে দেখা-দেখি পর্ব শেষ করে পাত্রী সাথে সরাসরি এই বিষয়ে কথা বলুন। ৩. কোন মেয়েই সম্পর্কের কথা শিকার করে না। তাই কৌশল অবলম্বন করে জানার চেষ্টা করুন। ৪. কারো সাথে গভীর সম্পর্ক থাকলে দাম্পত্য জীবনে এর প্রভাব পড়বে কিনা ভেবে দেখুন। ৫. আপনি ও কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। পরিবারকে বলতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই পরিবারের সম্পতিতে অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। অতীতকে ভুলে পরিবারের পছন্দের মেয়েকে মেনে নিতে পারবেন কিনা একটু ভেবে দেখুন। ৬. হুট করে ঘটকের মিষ্টি কথায় কান না দিয়ে পাত্রীর পরিবারের অতীত-বর্তমান ইতিহাস জানার চেষ্টা করুন। ৭. পাত্রীর বাবার অঢেল অর্থ সম্পদ দেখে বিয়ে করতে যাবেন না। অর্থ-সম্পদের উৎস জানার চেষ্টা করুন। ৮. সুন্দরী মেয়ে দেখেই বিয়ে করার জন্য পাগল না হয়ে তার চরিত্র সুন্দর কিনা জেনে নিন। ৯. আপনি প্রবাসী হলে প্রবাসে কি করেন, কতদিন পর দেশে আসেন, কতদিন পরিবারকে সময় দিতে পারবেন, বিয়ের পর নিয়ে যেতে পারবেন কিনা পাত্রীকে বা পাত্রীর অভিভাবককের সাথে শেয়া করুন। বিয়ের করতে গিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিলে সংসার জীবনে অশান্তি দেখা দিতে পারে। ১০. বয়সের ব্যবধান যাতে বেশী না হয় সেই দিকটাও একটু খেয়াল রাখবেন। আজকাল ত্রিশোর্ধ যুবককে পনের/ষোল বছরের মেয়েকে বিয়ে করতে যায়। ১১. গ্রাম অঞ্চলে বাল্য বিবাহ এখনো টিকে আছে। অভাবের কারনে গরীব মাতা-পিতা বয়স্ক পাত্র বা বিবাহিত পুরুষের সাথে টাকার লোভে কন্যা বিয়ে থাকে। কিশোরী বধুটি সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মৃত্যু বরণ করে থাকে। আপনি একজন শিক্ষিত ও সচেতন নাগরিক হিসেবে তাদেরকে এ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলুন। ১৩.মেয়ের ধরম সম্পর্ক নিয়ে মিনিমান জ্ঞান আছে কিনা তা দেখুন। ১৪.ব্লাড গ্রুপটা জেনে নিবেন। ১৫.মেয়ে বিয়ের পরে চাকুরী করবে কিনা জেনে নিন। ১৬.বারবার নিজেরদের চাওয়া পাওয়া গুলো ক্লিয়ার করে নিন। ১৭.শিক্ষাগত যোগ্যতা ১৮.মেয়ের পরিবার ও মেয়ের চাওয়া পাওয়ার বিষয়টা দেখে নিন মনে রাখবেন আপনার একটা সিদ্ধান্ত সারাজীবন বদলে দিবে। কাজেই হুটহাট করে সিদ্ধান্ত না নিয়ে ধীরে সুস্থে সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিন। পপপ্রয়োজনে একাধিকবার দেখা করুন। পরিশেষে আরো অনেক বিষয় থাকে যেগুলা দেখে নিতে হয়। শুভকামনা সকল বিবাহ যোগ্য পাত্র পাত্রীর জন্য।
কাউকে না কাউকে জীবনসঙ্গিনী করে ঘরে তুলতে হবে। তো বিয়ের জন্যে পাত্রী দেখার আগে নিচের বিষয়গুলি মাথায় রাখুন। মেয়েরা অনুমান করে যে তাকে যত সুন্দর দেখাবে ,ছেলেরা তাকে তত পছন্দ করবে।অনুমানটি অনেকাংশে সত্যি, কিন্তু কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা বলব যা সাধারণত ছেলেরা পছন্দ করে, এটি মেয়েদের ও কাজে লাগতে পারে। ১.সরলতা : ছেলেরা সাধারণত সহজ –সরল মেয়েকে পছন্দকরে । যদিও ছেলেরা খুব ফ্যাশনেবল মেয়েদের প্রতি অনেক উৎসাহী হয় বা প্রেম করলেও তা শুধুমাত্র সময় কাটানোর জন্য করে।কারণ , প্রত্যেকটি ছেলেই চায় – তার প্রেমিকা বা বউ খুবই সহজ সরল হবে । ২. নিরবতা এবং কোমলতা : ছেলেরা সাধারণত সেইসব মেয়েকে অনেক বেশি পছন্দ করে যারা অনেক নরম স্বভাবের । শুধু ছেলেরাই নয়, নরম স্বভাবের মেয়েদেরকে সবাই পছন্দ করে। ৩.ফ্রেন্ডলীনেস ও হাসিখুশি ভাব : নরম স্বভাবের মানে এই নয় যে কারো সাথেই কথা বলে না। নরম স্বভাবের মানে হলো অর্থাৎ মিশুক কিন্তু গায়ে পড়া নয়। ৪. শিক্ষা : একটা সময় ছিল যখন মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারটি ছেলেদের পছন্দের ক্ষেত্রে কোন ভূমিকা রাখতনা। কিন্তু , যুগের পরিবর্তনে , শিক্ষা ছেলেদের পছন্দের ক্ষেত্রে অন্যতম নিয়ামক। ৫. স্মার্টনেস : ছেলেরা স্মার্ট মেয়েদেরকে পছন্দ করে। স্মার্ট মানে যে ভীষণ ভাবনিয়ে চলতে হবে তা নয়, স্মার্ট মানে কাজে- কর্মে স্মার্ট। ৬. সততাঃ যেসকল মেয়ে তাদের কথায় কাজে সৎএবং কথা দিয়ে কথা রাখে ছেলেরা তাদেরকে বেশি পছন্দ করে। ৭. অন্যের প্রতি যত্নবান : ছেলেরা এমন একজনকে মনেরমানুষ হিসেবে চায় যে তাকে অসুস্থতার সময়, বিপদেরসময়, টেক কেয়ার করবে। তাই যেসকল মেয়েরা অন্যের সেবা করার ব্যাপারে উৎসাহী তাদেরকে ছেলেরা অগ্রাধীকার দেয় বেশি। ৮.পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা : পরিষ্কার –পরিচ্ছন্ন মানুষকে সবাই পছন্দ করে , ছেলেরাও এর ব্যতিক্রম নয়। অপরিষ্কার অধিক সুন্দরী মেয়ের চেয়ে পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন কম সুন্দরি মেয়েরও দাম বেশি। ৯. চারিত্রিক বিশুদ্ধতা : উপরের সবকিছুর থেকে এটি সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ । আপনার রুপ , গুণ ,মেধা সবই বিফলে যাবে যদি আপনার চারিত্রিক বিশুদ্ধতা রক্ষিত না থাকে।একটা ছেলের কাছে সবকিছুর থেকে একটা মেয়ের চরিত্র সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ । সৌন্দর্য্য সৃষ্টিকর্তার দান, তাই এই দানকে ব্যবহার করে প্রেমের নামে মন নিয়ে খেলবেন না। শুভকামনা সবার জন্য
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত নবী করীম সা. ইরশাদ করেনঃ মানুষ চারটি গুণ দেখে মহিলাদের বিবাহ করে। সেই চারটি হলঃ সম্পদ,বংশ,সৌন্দর্য এবং দ্বীনদারী। নবী সা. অন্যান্যের তুলনায় দ্বীনদারী কেই প্রাধান্য দিয়েছেন। চারটি গুন সম্পর্কে একটু আলোচনা-পর্যালোচনাঃ সম্পদঃ জগতে অনেকেই আছেন যারা ধন-সম্পদ দেখে মহিলাদের বিবাহ করেন। এটি এক ধরণের লোভ! যার পরিণাম খুবই ভয়াবহ। এরকম লোভী পুরুষদের সমাজে বা সংসারে কোন মূল্য থাকে না। সর্বক্ষণ অবহেলার পাত্র হিসেবে বেঁচে থাকতে হবে। যেখানে নিজের মূল্য বা আত্মসম্মানবোধ নিয়েই টানাহেঁচড়া সেখানে বিবাহিত মহিলা তোমায় সম্মান করবে বা কথা শুনবে তা কল্পনাতীত। শুধু কী তাই? না। বনিবনা না হলে যখন তখন সেই মহিলা তোমার সংসার থেকেও চলে যেতে পারে। সে ভাববে তুমি তাঁর সম্পদের জন্যই তাকে বিয়ে করেছো। সুতরাং শুধু সম্পদ দেখে বিবাহ করবেন; না দ্বীনদার দেখে বিবাহ করবেন তা আপনিই ভাবুন। বংশঃ কথায় আছে, জাতের মেয়ে কালোই ভালো! ভালো বংশ দেখে বিবাহ করা ভালো; তবে এর মানে এই নয় যে অন্যান্য বংশের মেয়েরা খারাপ! ভালো বংশ ছাড়াও মেয়েরা ভালো হতে পারে; এটা একমাত্র দ্বীনদারীর উপরেই নির্ভরশীল। দ্বীনদার মেয়ে হলে বংশ ভালো না হলেও সে যে ভালো হবে এটা নিশ্চিত! অনেক সময় দেখা যায় উচ্চ বংশের মেয়েরাও খারাপ হয়। সেটা এ জন্য যে তাদের মধ্যে দ্বীনদারীর অভাব! দ্বীনদার ছাড়া বংশ দেখে বিবাহ করেও কোন লাভ হবে না; যদি না দ্বীনদারী থাকে! এর থেকে নিচু বংশের দ্বীনদার মহিলাই উত্তম। ফয়সালার ভার আপনার হাতেই; আপনিই ভাবুন কোনটি গ্রহন করবেন (উচ্চ বংশ না দ্বীনদার মহিলা) সৌন্দর্যঃ শুধু সৌন্দর্য দেখে বিবাহ করা বোকামি ছাড়া কিছু না। সৌন্দর্য আপনার সংসারকে সুভাষিত করতে পারবে না, যদি না তার মধ্যে দ্বীনদারী থাকে। এ ছাড়া মহিলা তার সৌন্দর্যের চর্চা করবে না আপনাকে সময় দেবে তা বলাটাই জটিল। সৌন্দর্যের ছলনায় যখন তখন সে যে কাউকেই আবদ্ধ করতে পারে তাই আপনি সাবধান! একটু কথা কাটাকাটি হলেই আপনি শেষ (মানে আপনার সাবজেক্ট ক্লোজড) অন্যের পাণি গ্রহন করতে সে মনোযোগ দেবে আর আপনি বসে বসে … এ ছাড়া শুধু সৌন্দর্যের অধিকারিণী মহিলারা অধিকাংশ অহংকারী হয়। তাই শুধুমাত্র সৌন্দর্য দেখে বিবাহ করার পূর্বে ভবিষ্যৎ জীবনের কথা একটিবার ভেবে দেখবেন! দ্বীনদারঃ জীবনে যদি কখনো বিয়ে করার ইচ্ছে হয় বা থাকে তাহলে অবশ্যই দ্বীনদার মেয়ে দেখে বিবাহ করবেন। বাকি কমেন্টে ..
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Your Post Has Been Featured on @Resteemable!
Feature any Steemit post using resteemit.com!
How It Works:
1. Take Any Steemit URL
2. Erase
https://
3. Type
re
Get Featured Instantly – Featured Posts are voted every 2.4hrs
Join the Curation Team Here | Vote Resteemable for Witness
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit