নূপুরের গুনগুন
একদিন গ্রীষ্মের তাপমাত্রা অত্যন্ত তীব্র ছিল। গ্রামের ছোট্ট মেয়ে নূপুর খুবই বিরক্ত হয়ে উঠেছিল। তার মনের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা ছিল। সে জানত না কীভাবে এই গরম থেকে মুক্তি পাবে।
একদিন নূপুরের দাদী তাকে একটি পুরোনো কাহিনী বলেছিলেন। সেই কাহিনী ছিল এক জাদুকরী গাছের সম্পর্কে যা গ্রীষ্মের গরম থেকে বাঁচাতে সাহায্য করতে পারতো। এই গাছটি ছিল গ্রামের এক পাহাড়ের উঁচুতে এবং তার ফুলের গন্ধ শীতলতা নিয়ে আসতো।
নূপুর সিদ্ধান্ত নিল যে সে সেই গাছের সন্ধানে বের হবে। সে সকালেই পথ ধরল আর পাহাড়ের দিকে রওনা হল। পথচলা ছিল কষ্টকর কিন্তু নূপুরের মনোবল অটুট ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে পাহাড়ের উপরে পৌঁছাল এবং দেখতে পেল যে সত্যিই সেখানে একটি সুন্দর গাছ ফুলে ফুলে ভরা ছিল।
নূপুর গাছের কাছে গিয়ে তার ফুলের গন্ধ নিল। সে অনুভব করল গরমের তীব্রতা যেন কমে যাচ্ছে। সেই গন্ধের শীতলতা তার শরীরকে প্রশান্তি দিল। নূপুর বুঝতে পারল যে এই গাছের ফুলের গন্ধে না শুধু শরীরের বরং মনও শান্তি পায়।
সে সেই গাছ থেকে কিছু ফুল নিয়ে ঘরে ফিরে আসল। তার পরিবারও সেই ফুলের গন্ধে প্রশান্তি পেল। সেই থেকে নূপুর গ্রীষ্মের গরমে আর কখনো বিরক্ত হয়নি কারণ সে জানত প্রকৃতির মাঝে শান্তি ও প্রশান্তির সন্ধান কিভাবে করতে হয়।
এই গল্পের মাধ্যমে আমরা শিখতে পারি যে প্রকৃতির মধ্যে লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্য এবং শান্তির খোঁজ করা কখনোই বৃথা যায় না।