মিষ্টির কাহিনী
এক ছোট্ট গ্রামে একটি মিষ্টির দোকান ছিল নাম মিষ্টির কুটির। দোকানের মালিক ভদ্রবাবু ছিলেন অত্যন্ত ভালো মানুষ। তাঁর দোকানের মিষ্টি ছিল খুবই জনপ্রিয়। গ্রামে ছোট বড় সকলেই তাঁর মিষ্টি খেতে ভালোবাসত।
একদিন একটি ছোট্ট মেয়ে পপি মা-বাবার সঙ্গে দোকানে এলো। সে খুব খুশি ছিল কারণ তার জন্মদিন ছিল আজ। পপি খুব সুন্দর এবং ভদ্র কিন্তু তার মা-বাবার খুব কম অর্থ ছিল। তবুও জন্মদিন উপলক্ষে তারা পপির জন্য মিষ্টি কিনতে চেয়েছিল।
ভদ্রবাবু পপির খুশি দেখে তার মিষ্টির সঙ্গে বিশেষ মনোযোগ দিলেন। তিনি একটি বড় প্যাকেট তৈরি করলেন যা পূর্ণ ছিল বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি দিয়ে। পপির মা বাবার কাছে দাম চাইলে ভদ্রবাবু হাসিমুখে বললেন এটি তোমাদের জন্য উপহার। পপির জন্মদিনে আমার পক্ষ থেকে একটি ছোট সুখবর।
পপি এবং তার মা-বাবা অবাক হয়ে গেলেন এবং আনন্দে চোখে জল চলে এল। তারা ভদ্রবাবুর উপহার গ্রহণ করল এবং প্রণাম করল। পপি মিষ্টি খেয়ে খুব খুশি হয়ে উঠল এবং সেই দিন তার জন্মদিন হয়ে গেল এক স্মরণীয় দিন।
এরপর থেকে পপি এবং তার পরিবার নিয়মিতভাবে ভদ্রবাবুর দোকানে আসতে লাগল। তাদের সম্পর্ক হয়ে গেল আরও মধুর এবং গ্রামবাসীরা তাদের ভালোবাসা দেখে আরও বেশি করে ভদ্রবাবুর দোকানে আসতে লাগল।
ভদ্রবাবুর মিষ্টির দোকান শুধু মিষ্টির জন্য নয় ভালোবাসা ও সহানুভূতির জন্যও পরিচিত হয়ে উঠল। আর এইভাবেই মিষ্টির কুটির হয়ে উঠল গ্রামবাসীদের ভালোবাসার একটি জায়গা।
আশা করি গল্পটি তোমার ভালো লেগেছে!