আমরা জানি যে, বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ বলা হয়। তাই নদী থেকে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যায়। আদিকাল থেকেই বাঙালিরা মাছ-ভাত খেয়ে দিন কাটাত। তাই বাঙালিকে মাছে ভাতে বাঙ্গালি বলা হয়। মাছ ভাত বাঙ্গালির হাজার বছরের ইতিহাসের সাথে যুক্ত হোক সে ঈদ , পুজা পার্বণ বা অন্যান্য আচার অনুষ্ঠান মাছ তো চাই ।নীহার রঞ্জন রায় বলেছেন যে বৃষ্টি ও নদী-খাল-বিল বহুল, প্রশান্ত সভ্যতা প্রভাবিত এবং আদি-অস্ট্রেলীয় মূল বাংলায় খুব স্বাভাবিক কারণে মাছ অন্যতম প্রধান খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। হেনরি লুইস মর্গান তাঁর আদিম সমাজ বইয়ে বলেছেন, মানুষের উত্তরণের সূচনা হয় মূলত মাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে। তিনি ধারণা করেছেন, মাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করেই মানুষ আগুনের আবিষ্কার করেছে। ভারতবর্ষে পাওয়া মাছের ফসিলের বয়স ৩০ কোটি বছরের পুরোনো! আরও একটি মাছের ফসিল পাওয়া যায় ভারতে, তার বয়স ১৮ কোটি বছর। বেলুচিস্তানের বোলান গিরিপথের ধারে পশ্চিম এশিয়ার প্রাচীন যে কৃষিপ্রধান নগরের সন্ধান পাওয়া যায়, তার নাম মেহরগড়। সাত হাজার থেকে দুই হাজার তিন শ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে সেখানে গড়ে উঠেছিল কৃষিভিত্তিক সভ্যতা। এই প্রাচীন সভ্যতার সুলুক সন্ধানের জন্য নৃতাত্ত্বিক খননের সময় পাঁচটি মাছের ছবি আঁকা একটি পোড়ামাটির থালা পাওয়া যায়। দুই হাজার সাত শ থেকে দুই হাজার পাঁচ শ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের কোনো এক সময় এই থালাটি নির্মিত হয়েছিল বলে জানা যায়। মাছের ছবি আঁকা এই থালা প্রমাণ করে যে প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতায় মাছ ছিল জনপ্রিয় খাবার। এসব নৃতাত্ত্বিক প্রমাণের সূত্র ধরে ধারণা করা অসংগত নয় যে সুদীর্ঘকাল ধরে ভারতবর্ষের মানুষ মাছ ও ভাত খায় এবং নদীমাতৃক প্রাচীন বাংলায়ও মাছ-ভাত খাওয়ার অভ্যাস অত্যন্ত প্রাচীন।
গুপ্ত কবি ঈশ্বরচন্দ্র বাঙালির সারসত্য প্রকাশ করেছেন:
‘ভাত-মাছ খেয়ে বাঁচে বাঙালি সকল
ধানে ভরা ভূমি তাই মাছ ভরা জল।’
✅ ➊ You can write comments or thoughts about the above photo here. ➋ Edit the content between the check emojis, and delete the check emojis at the beginning and end. ➌ The check emoji is marked for the purpose of letting users know which part needs to be corrected.✅