আসসালামু আলাইকুম
বাড়িটি বহু বছর ধরে পরিত্যক্ত ছিল। ধূলা-ময়লা জমে গিয়েছে ঘরের কোণায়, তবে এটি এখনও তার নিজের মতোই অটুট ছিল। একদিন, বাড়ির পুরোনো আলমারিতে কিছু স্মৃতিচিহ্ন খুঁজতে গিয়ে সাবিত্রী একটি পুরোনো আয়না দেখতে পায়। আয়নাটি একটি সুন্দর কাঠের ফ্রেমে মোড়া ছিল, যা সময়ের সঙ্গে পুরোনো হয়ে গিয়েছে। সাবিত্রী তা দেখে অবাক হলেন, কারণ তার দাদির কথা মনে পড়ল, যিনি বলতেন এই আয়নাটি তার দাদির দাদির কাছ থেকে এসেছে।
সাবিত্রী আয়নাটি নিয়ে একটু পরিষ্কার করে ঘরের দেয়ালে টানিয়ে দেন। আয়নাটি দেখেই তার মনে হলো এটি অনেক মূল্যবান কিছু, যেনো এতে কোনো এক বিশেষ শক্তি লুকিয়ে আছে। তবে, এই বিশেষ কিছু যে তার জীবনকে চিরকালের জন্য পাল্টে দেবে, তা তিনি তখনো জানতেন না।
রাতের বেলা, যখন সাবিত্রী ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন তিনি হঠাৎ করে আয়নার দিকে চোখ পড়লেন। আয়নাটির মধ্যে তিনি নিজের প্রতিচ্ছবি দেখলেন, কিন্তু কিছু একটি অদ্ভুত লাগলো তার । প্রতিচ্ছবির পিছনে একটি ছায়ামূর্তি দেখা গেল। প্রথমে ভাবলেন চোখের ভুল, কিন্তু ছায়াটি আরও স্পষ্ট হতে থাকল। সেই রাতেই তিনি প্রথমবার বুঝতে পারলেন, এই আয়নায় কিছু একটা আছে যা স্বাভাবিক নয়।
পরদিন সকালে, সাবিত্রী বিষয়টি ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করলেন। তিনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চুল আঁচড়ালেন, কিন্তু তখনও সেই অদ্ভুত ছায়া দেখলেন। এবার ছায়াটি আরও স্পষ্ট। তিনি যেন একটি মেয়ের মুখ দেখতে পেলেন, যার চোখ দুটি গভীর বিষণ্ণতায় ভরা ছিল। সাবিত্রীর হৃদয় শীতল হয়ে গেল। তিনি ভয় পেয়ে দ্রুত আয়না থেকে দূরে সরে গেলেন।
একের পর এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে লাগল। রাতে ঘরের জানালা আপনা আপনিই খুলে যেত, ঘরের মধ্যে থেকে অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেতো, এবং মাঝে মাঝে তিনি আয়নায় নিজের পরিবর্তে,,,
(চলবে)
ভয় ভয় লাগে ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit