আমার নিজের লেখা গল্প।। মায়ের নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও ভালোবাসা।। পর্ব-৪২

in blog •  2 months ago 

আসসালামু আলাইকুম
প্রিয়, পাঠকগণ,

মা আগ্রহভরে লোকটার শক্ত শক্ত কথাগুলো শোনে। মাঝবয়সী একটা লোক তার ছেলের সঙ্গে মন খুলে কথা কইছে দেখে ভালো লাগে মায়ের। কিন্তু মনে হল অতিথির সঙ্গে তার ছেলের ব্যবহারটা বড় রুক্ষ। ছেলের ত্রুটি পুরিয়ে নেবার

জন্য মা জিজ্ঞাসা করে: 'খাবার একটু কিছু এনে দিই, মিখাইলো ইভানভিচ?

'থাক, মা। আমি খেয়ে এসেছি। তাহলে পাভেল, তোমার মতে আমাদের জীবনটা ঠিক পথে চলছে। না?'

পাভেল উঠে হাত পেছনে মুড়ে ঘরময় পায়চারি করে। বলে:

'না, ঠিক রাস্তাতেই চলেছে। নইলে আপনি আজ এমন করে মন খুলে কথা কইতে এলেন কী করে? ধীরে ধীরে সব হাতে হাত মেলাবে দেখবেন-এই আমাদের মতো মেহনতি মানুষ, সারাজীবন যারা শুধু খেটেই যায়, তারা সব এক হয়ে যাবে। আমাদের কাছে জীবনটা অন্যায়, কষ্টদায়ক। কিন্তু সেই জীবনই তো আমাদের চোখ খুলে দিচ্ছে। কঠিন সত্য দেখিয়ে দিচ্ছে। কী করে তার গতি ত্বরিত করে তোলা যাবে তার নিশানাও দিচ্ছে।'

IMG20240904172651.jpg

ঠিক বলেছ, রীবিন বলে ওঠে, 'আগা-পাছতলা বদলানো দরকার আমাদের। কিন্তু গায়ে ময়লা পড়ে খোস-পাঁচড়া হলে তা ধোয়াধুয়ি করে, সাফ কাপড়-জামা পরিয়ে সারিয়ে নেওয়া যায়। মনের ঘা ঘোচাবে কী করে বল তো? সেই তো ফ্যাসাদ।'

একবার একটুখানি হেসে শান্তভাবে বলল:

এখনও কাঁচা বয়স হে ছোকরা, মানুষ চেনো না!'

পাভেল ওর সামনে এসে দাঁড়ায়, গম্ভীর হয়ে বলে:

'দেখুন, বয়স কম-বেশি নিয়ে কথা নয়। ওসব কথা ছাড়ুন। মোদ্দা কথা-

কার চিন্তাধারা ঠিক।

'তাহলে তুমি বলতে চাও, ভগবান টগবান দিয়েও ওরা আমাদের শুধু ভুলিয়ে রেখেছে। সত্যি, আমিও দেখছি ও সব ধর্ম-টর্ম মিথ্যে।'

এমনি সময় বাধা দেয় মা। ভগবানে বিশ্বাসটুকুকে নিবিড় শ্রদ্ধায়, একান্ত নিষ্ঠায় ভরে রেখেছে সে বুকের মধ্যে। ছেলে যখন উল্টো কথা বলে, নীরব দৃষ্টিখানি তুলে ধরে ছেলের মুখের পানে; নীরব মিনতি ঝরে পড়ে: অমন অভক্তির কথা দিযে সে যেন মায়ের হৃদয়ে ব্যথা না দেয়। কিন্তু তার অবিশ্বাসের পেছনে আরেকটা বিশ্বাস লুকিয়ে আছে মনে হয়, মা তাতেই সান্ত্বনা পায়। নিজের মনে ভাবে, "ওর মনের কথা আমি কেমন করে বুঝব?"

IMG20240904172650.jpg

For work I use:


মোবাইল
realme C25s
ফটোগ্রাফার
@dreamlife10
লোকেশন
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
মাঠে

প্রথমটায় মনে হয়েছিল ছেলের কথা আধবয়েসী লোকটার ভালো লাগছে না, সেও বুঝি চটেছে। কিন্তু লোকটার সরাসরি প্রশ্ন আর সইতে পারে না মা। বাধা দিয়ে দৃঢ় গলায় বলে:.......

চলবে..........

ধন্যবাদ জানিয়ে আজ এখানে শেষ করছি। দেখা হবে আগামী পর্বে। আল্লাহ হাফেজ।।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!