আসসালামু আলাইকুম
প্রিয়, পাঠকগণ,

চেষ্টা করে দেখলে ক্ষতি কী?' খখল জিজ্ঞাসা করে।

'ক্ষতি এই যে সব জোড়া বেছে নেবে। তারপর দুদিন বাদে বিয়ে করে সংসারী হবে। বাস্ খতম!' কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে পাভেল বলে।

মা চিন্তিত হয়। কী গোঁড়া ছেলে। যেন সন্ন্যাসী। লক্ষ্য করেছে মা, ওর থেকে বয়সে বড় কমরেড্রাও ওর কাছ থেকে পরামর্শ নেয়, যেমন খখল। কিন্তু মনে হয় ওই গোঁড়ামির জন্য সবাই ওকে ভয় করে, ভালোবাসে না কেউ।

একদিন রাত্তিরে মা শুতে গেছে। পাভেল ও খখল পড়ছে। হালকা পার্টিশনের ও-দিক থেকে ওদের কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে। হঠাৎ খখল বলে উঠল:
'নাতাশাটাকে আমার ভারি ভালো লাগে।'
একটু চুপ করে থেকে পাভেল জবাব দেয়, 'তা জানি।'

মা শুনতে পায়, খখল ধীরে ধীরে ওঠে, খালিপায়ে মেঝেতে পায়চারি করে। আস্তে আস্তে শিস্ দেয় আপন মনে। আবার গমগম করে উঠল গলা:

'কে জানে ও বুঝতে পেরেছে কিনা।'
পাভেল জবাব দেয় না।
'তোমার কী মনে হয়?' চাপা স্বরে জিজ্ঞাসা করে খখল। 'পেরেছে। তাইতো এখানে আসা ছেড়েছে...'

খখলের ভারি পা দুটো মেঝেতে ঘষটাতে থাকে। আবার ওর শিসের কোমল

বিষণ্ণ সুর ঘরের মধ্যে কেঁপে কেঁপে ফেরে। জিজ্ঞাসা করে:
'ওকে বলব?'
'কী বলবে?'
'বলব যে-আমি...' আস্তে আস্তে খখল আরম্ভ করে।
পাভেল বাধা দেয়, 'কেন? দরকারটা কী শুনি?'
মা শুনতে পায়, খখল থামল। চোখের সামনে যেন দেখতে পায়, হাসছে খখল।
'বাহ্ একজনকে ভালোবাসবে আর বলবে না? তাহলে লাভটা কী হল?'

পাভেল সশব্দে বইটা বন্ধ করে। জিজ্ঞাসা করে:
'কী লাভটা চাও শুনতে পাই?'

For work I use:

---

মোবাইল	realme C25s
ফটোগ্রাফার	@dreamlife10
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	মাঠে

অনেকক্ষণ চুপ করে থাকে দুজনে। তারপর খখল বলে:

'তারপর?'

পাভেল ধীরে ধীরে বলে, 'দেখ আন্দ্রেই, তুমি কী চাও সেটা তোমার ভালো করে বুঝে দেখা দরকার। আমার মনে হয় না ও তোমায় ভালোবাসে। কিন্তু ধরা যাক, বাসে, এবং তোমাদের বিয়ে হয়ে গেল। বুদ্ধিজীবী আর শ্রমিক। একেবারে রাজযোটক। তারপর ছেলেপুলে হবে। তাদের খাওয়াতে হবে একা তোমায়... খাটুনির একশেষ হবে। অন্নসংস্থান, বাড়ি-ভাড়া, কাচ্চা-বাচ্চা... এই তো হবে জীবন। কাজ আর করবে কখন। তোমাদের দুজনকেই আমরা হারাব।

সব চুপচাপ। তারপর নরম গলায় পাভেল আবার বলল, 'এসব ছেড়ে দাও আন্দ্রেই। ওকে চঞ্চল করে তুলো না...'

চলবে..........

ধন্যবাদ জানিয়ে আজ এখানে শেষ করছি। দেখা হবে আগামী পর্বে। আল্লাহ হাফেজ।।