আমার নিজের লেখা গল্প।। মায়ের নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও ভালোবাসা।। পর্ব-৩৪

in blog •  3 months ago 

আসসালামু আলাইকুম
প্রিয়, পাঠকগণ,

দাঁড়িয়ে উঠে হাসি-ভরা মুখে মাথা নেড়ে খখল বলে, 'গায়ে আঁচড় লাগেনি এমন কে আছে মা? এত আঁচড়ে কেটেছে আমার ওপর যে গা-সওয়া হয়ে গেছে। করব কী বলুন? উপায় তো নেই। তা ছাড়া ওসব অপমানের কথা মনে করতে গেলে আর কাজ হয় না। শুধু সময় নষ্ট। এই তো আমাদের জীবন। প্রথম প্রথম মানুষের ওপর আমার ভারি রাগ হত। তারপর দেখলাম মিছে রাগ করা। প্রত্যেকেই ভয়ে ভয়ে আছে, পাশের লোকটা তাকে মারবে। তাই আগে

IMG20240902054146.jpg

আগেই তার টুটি চেপে ধরার চেষ্টা। এই তো হাল। বুঝলেন তো, নেঙ্কো?' কথাগুলো সে বলল ভারি শান্তভাবে, খানাতল্লাশির ভয় কোথায় একপাশে ঠেলে দিয়ে। তার বড় বড় চোখ দুটিতে একটু হাসি।

দীর্ঘনিশ্বাস পড়ে মায়ের। সমস্ত প্রাণ ঢেলে দিয়ে বলে, 'আপনি সুখী হন, আন্দ্রিউশা! ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি।'
খখল উঠে সামোভারের দিকে একটা লম্বা পা ফেলে এগিয়ে গিয়ে আবার উবু হয়ে বসে মৃদু গলায় বলে, সেই সুখ আমায় একবার দিলে আর ফেরাব না। তবে হাত পাতব না তার জন্য।'

উঠোন থেকে পাভেল ফিরে আসে। দৃঢ় গলায় জানাল :

'কেউ পাত্তা পাবে না।'

তারপর হাতমুখ ধুয়ে হাতটা গামছায় মুছতে মুছতে মাকে বলল:

'ওরা যদি দেখে যে ভয় পেয়েছ, ঠিক বুঝবে ঘরে কিছু আছে। তুমি তো জানো আমরা কোনো অন্যায় করছি না। আমাদের দিকে রয়েছে ন্যায়। যতদিন জানা আছে ন্যায়ের জন্য লড়ব-অন্যায় বল তো বল! ভয়টা কিসের আমাদের?'

'ভাবিসনে, পাশা, ঠিক সামলে নেব আমি।' বলেই মুহূর্তেই আবার ভেঙে পড়ে। 'ওহ্, কতক্ষণ লাগাবে কে জানে!...'

সে রাতে পুলিশ আসেনি। সকালবেলা উঠে ছেলেরা পাছে তার ভয়ের কথা নিয়ে ঠাট্টা করে সেইজন্য মা নিজেই ঠাট্টা করতে শুরু করে, 'আগে থেকেই এত ভয় পেয়ে গেলাম!'

IMG20240902054144.jpg

For work I use:


মোবাইল
realme C25s
ফটোগ্রাফার
@dreamlife10
লোকেশন
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
মাঠে
সেই ভয়ের রাত্তিরের প্রায় এক মাস বাদে পুলিশ এল। সেদিন নিকলাই ভেসঙ্গিক এসেছিল। পাভেল, আন্দ্রেই আর সে ওদের খবরের কাগজ নিয়ে কথাবার্তা বলছে। প্রায় মাঝরাত্তির। মা শুয়ে পড়েছে। আস্তে আস্তে কথা বলছে ওরা উদ্বিগ্নভাবে। তার চাপা আওয়াজ আসছে এদিকে। ঝিমুতে ঝিমুতে শোনে মা। আন্দ্রেই সাবধানে উঠে রান্নাঘরটা পার হয়ে দরজাটা চুপি চুপি বন্ধ করে দিল। ঢাকা-বারান্দায় একটা লোহার বালতি ঝনঝনিয়ে ওঠে। দরজাটা হাট হয়ে খুলে যায়। খখল এসে রান্নাঘরে ঢোকে। জোরে ফিসফিস করে বলে:

'রেকাবের শব্দ!'

মা লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে কাপড় চড়াতে চেষ্টা করে। থরথর করে হাত কাঁপে। পাভেল দরজার কাছে এসে শান্ত গলায় বলে.......

চলবে..........

ধন্যবাদ জানিয়ে আজ এখানে শেষ করছি। দেখা হবে আগামী পর্বে। আল্লাহ হাফেজ।।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!