প্রিয়, পাঠকগণ,
দাঁড়িয়ে উঠে হাসি-ভরা মুখে মাথা নেড়ে খখল বলে, 'গায়ে আঁচড় লাগেনি এমন কে আছে মা? এত আঁচড়ে কেটেছে আমার ওপর যে গা-সওয়া হয়ে গেছে। করব কী বলুন? উপায় তো নেই। তা ছাড়া ওসব অপমানের কথা মনে করতে গেলে আর কাজ হয় না। শুধু সময় নষ্ট। এই তো আমাদের জীবন। প্রথম প্রথম মানুষের ওপর আমার ভারি রাগ হত। তারপর দেখলাম মিছে রাগ করা। প্রত্যেকেই ভয়ে ভয়ে আছে, পাশের লোকটা তাকে মারবে। তাই আগে
আগেই তার টুটি চেপে ধরার চেষ্টা। এই তো হাল। বুঝলেন তো, নেঙ্কো?' কথাগুলো সে বলল ভারি শান্তভাবে, খানাতল্লাশির ভয় কোথায় একপাশে ঠেলে দিয়ে। তার বড় বড় চোখ দুটিতে একটু হাসি।
দীর্ঘনিশ্বাস পড়ে মায়ের। সমস্ত প্রাণ ঢেলে দিয়ে বলে, 'আপনি সুখী হন, আন্দ্রিউশা! ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি।'
খখল উঠে সামোভারের দিকে একটা লম্বা পা ফেলে এগিয়ে গিয়ে আবার উবু হয়ে বসে মৃদু গলায় বলে, সেই সুখ আমায় একবার দিলে আর ফেরাব না। তবে হাত পাতব না তার জন্য।'
উঠোন থেকে পাভেল ফিরে আসে। দৃঢ় গলায় জানাল :
'কেউ পাত্তা পাবে না।'
তারপর হাতমুখ ধুয়ে হাতটা গামছায় মুছতে মুছতে মাকে বলল:
'ওরা যদি দেখে যে ভয় পেয়েছ, ঠিক বুঝবে ঘরে কিছু আছে। তুমি তো জানো আমরা কোনো অন্যায় করছি না। আমাদের দিকে রয়েছে ন্যায়। যতদিন জানা আছে ন্যায়ের জন্য লড়ব-অন্যায় বল তো বল! ভয়টা কিসের আমাদের?'
'ভাবিসনে, পাশা, ঠিক সামলে নেব আমি।' বলেই মুহূর্তেই আবার ভেঙে পড়ে। 'ওহ্, কতক্ষণ লাগাবে কে জানে!...'
সে রাতে পুলিশ আসেনি। সকালবেলা উঠে ছেলেরা পাছে তার ভয়ের কথা নিয়ে ঠাট্টা করে সেইজন্য মা নিজেই ঠাট্টা করতে শুরু করে, 'আগে থেকেই এত ভয় পেয়ে গেলাম!'
For work I use:
মোবাইল |
realme C25s |
ফটোগ্রাফার |
@dreamlife10 |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
মাঠে |
'রেকাবের শব্দ!'
মা লাফ দিয়ে বিছানা থেকে উঠে কাপড় চড়াতে চেষ্টা করে। থরথর করে হাত কাঁপে। পাভেল দরজার কাছে এসে শান্ত গলায় বলে.......
চলবে..........