আমার নিজের লেখা গল্প।। মায়ের নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও ভালোবাসা।। পর্ব-২৫

in blog •  2 months ago 

আসসালামু আলাইকুম
প্রিয়, পাঠকগণ,

খাড়া নাকটার পাতলা পাশ দুটো কাঁপিয়ে ও কথা বলে। এ-মেয়েই একদিন জোর গলায় প্রথম ঘোষণা করল:

'আমরা সমাজতন্ত্রী...'

শুনে একটা বোবা ভয়ে কাঁটা হয়ে মেয়েটির মুখের দিকে চাইল মা। মা এর শুনেছিল জারকে সমাজতন্ত্রীরা মেরেছে। বহুদিন আগের কথা সে। মায়ের তখন এর সবে জোয়ান বয়েস। ভূমি-দাসদের জার মুক্তি দেন, তাইতে নাকি জমিদারের দল পণ করেছিল জারকে না মেরে তারা চুল ছাঁটবে না। ঐজন্যই নাকি ওদের সমাজতন্ত্রী নাম। তাই বুঝতে পারে না মা কেন তার ছেলে ও তার বন্ধুর দল সমাজতন্ত্রী হয়েছে।
সবাই চলে গেলে পাভেলকে মা জিজ্ঞাসা করল:
'পাশা, তুই নাকি সমাজতন্ত্রী?'
'হাঁ। কিন্তু সে কথা জিজ্ঞাসা করছ কেন?' বরাবরকার মতো সোজা শক্ত হয়ে
দাঁড়িয়ে পাভেল বলল। গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলে মাথা নিচু করে মা।
'সত্যি, পাভেল? কিন্তু তারা যে জারের বিপক্ষে! এক জারকে তো তারাই খুন
করেছে!'

IMG20240816134905.jpg

থুতনিতে হাত বোলাতে বোলাতে ঘরময় পায়চারি করে পাভেল। তারপর একটু হেসে জবাব দেয়, 'ও সব আমাদের উদ্দেশ্য নয়।'

তারপর অনেকক্ষণ বসে ধীরে ধীরে গম্ভীরভাবে মাকে বুঝিয়ে বলে সব। মা ছেলের মুখের দিকে চেয়ে মনে মনে ভাবে, "আমার ছেলে খারাপ কিছু কখনও করবে না, করতে পারে না।"

এর পর থেকে এই ভয়ংকর শব্দটা বারবার শুনে তার ধার আর ভারটা কেটে গেল। এমন তো কত কথাই ওরা-ব্যবহার করে যা বোঝা যায় না, অথচ শুনতে শুনতে অভ্যেস হয়ে যায়। কিন্তু সাশাকে কেন জানি ভালো লাগে না। ও মেয়েটি এলে বড় অস্বস্তি লাগে, ভয় করে...

একদিন অসন্তোষে ঠোঁট চেপে খখলের কাছে সাশার কথা তোলে মা। বলে: 'ভারি কড়া মেয়ে। এটা কর, ওটা কর বলে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরায় সবাইকে...'

হো হো করে হেসে উঠে খখল বলল: 'ঠিক ধরেছেন, খাঁটি কথা বলেছেন। কি বল পাভেল?' মার দিকে চোখ ঠেরে

হেসে বলল, 'অভিজাত মেয়ে!' 'তা বটে।' সায় দেয় খখল, 'কিন্তু মুশকিল কী জান? ওর যা দরকার, আমরা

IMG20240816134913.jpg

For work I use:


মোবাইল
realme C25s
ফটোগ্রাফার
@dreamlife10
লোকেশন
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
মাঠে

তাই চাই আর করতেও পারি, সে কথা ও বুঝতে পারে না।' মাথা ঢোকে না এমন কী একটা ব্যাপার নিয়ে ওদের তর্ক শুরু হয়।

মা লক্ষ করে, সাশার হাকিমি চালটা পাভেলের ক্ষেত্রেই বেশি। সময় সময় ধমক দিতেও কসুর করে না। পাভেল হেসে চুপ করে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। চোখদুটি ওর কোমল হয়ে ওঠে। আগে নাতাশার বেলায় এমনি হত। এ ব্যাপারটাও মায়ের ভালো লাগে না।

চলবে..........

ধন্যবাদ জানিয়ে আজ এখানে শেষ করছি। দেখা হবে আগামী পর্বে। আল্লাহ হাফেজ।।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



Hi @dreamlife10,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community