আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই ? আশা করি সবাই ভালই আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
ঘাস পরিবারের বৃহত্তম সদস্য হচ্ছে বাঁশ গাছ। অর্থাৎ গত পূর্বে আমরা আলোচনা করেছিলাম যে এই বাঁশ গাছের পরিচিতি সম্পর্কে, এই বাঁশ গাছ আমাদের জন্য অনেক ক্ষেত্রে উপকারী। আজকে সে উপকারী জিনিসগুলো নিয়ে কথা বলব। বাস হচ্ছে এমন একটি উদ্ভিদ চার-দারা আমরা আমাদের ঘরের আসবাবপত্র তৈরি করতে পারি। এবং আমাদের এই আসবাবপত্র তৈরির কাজগুলোকে বাস শিল্প হিসেবে গণ্য করা হয়। সাধারণত গ্রামের লোকেরা এই শিল্পের সাথে জড়িত এবং এই শিল্প গুলো বেশিরভাগ সময় তারাই ব্যবহার করে থাকেন। যদি আদিম যুগের সাথে বর্তমান যুগের আধুনিকতা তুলনা করা হয় তাহলে তখনকার সময়ে বর্তমান সময়ের মতো এত কিছু ছিল না, তারা নিজেরা বিভিন্ন কিছু আবিষ্কার করে নিজেদের কাজে ব্যবহার করতেন। ঠিক তেমনি এই বাসগুলো দিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের ঘরের আসবাবপত্র তৈরি করতেন যেমন মগ, ঝুড়ি, মাচা, ঘর মাদুর ইত্যাদি আরো নানান হস্তশিল্প।
For work I use:
ডিভাইস |
Redmi Note 13 Pro |
ফটোগ্রাফার |
@sayedabdullah |
লোকেশন |
Chandpur, Bangladesh |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
এই জিনিসগুলো তারা বাঁশের মাধ্যমে তৈরি করে ব্যবহার করতেন, এক পর্যায়ে গ্রামের লোকেরা এই শিল্পগুলোকে তারা কারও শিল্প হিসেবে উপকরণ করেন। আমাদের এই দেশে প্রায় 26 প্রজাতিরও বেশি বাঁশ রয়েছে। যেগুলো একেক ধরনের একেক রকমের হয়ে থাকে। এই বাসগুলোকে শুখিয়ে তারা কৃষি কাজেও ব্যবহার করতেন, এমনকি ঘর তৈরির ক্ষেত্রেও এই বাঁশের অনেক ভূমিকা রয়েছে। এখনকার সময় প্রযুক্তির কারণে আধুনিক সবকিছু তৈরি হয় যার ফলে আদিম যুগের স্মৃতিগুলো সম্পূর্ণভাবে মুছে যাচ্ছে। এখনো আপনি গ্রাম অঞ্চলের কিছু কিছু গ্রামে বাঁশের তৈরি এই শিল্পকলা গুলো দেখতে পাবেন। কারণ তারা এখনো তাদের সেই আগের অবস্থা নেই বসবাস করতে পছন্দ বোধ করেন, আধুনিকতা বলতে তারা ঠিক তেমন কিছু বুঝে উঠতে পারেন না।