প্রিয়, পাঠকগণ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।
ঈমান গ্রহণের পর আপনি যখন আল্লাহপাকের খাস বান্দা হয়ে গেলেন, তখন আপনার উপর অনেক দায়-দায়িত্ব এসে গেলো। এখন থেকে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা আপনার উপর ফরজ। আপনি অন্যকে নামায শিখাবেন এবং নিজেও নামায আদায় করবেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো আপনাকে শিখে নিতে হবে। নামায আদায়ের মাধ্যমে আত্মার শান্তি পাওয়া যায় এবং মহান আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গভীর ও নিবিড় হয়।
ঈমান গ্রহণের পর যারা সম্পদশালী, তারা প্রতি বছর সম্পদের শরীয়ত নির্ধারিত অংশ যাকাত দরিদ্রদের মধ্যে বণ্টন করে দিতে হবে। এটা ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিধান। রমজান মাস এলে রোযা রাখতে হবে। সামর্থ্য থাকলে জীবনে অন্তত একবার হজ আদায় করতে হবে।
সাবধান! আপনার মাথা যেন আল্লাহ ছাড়া আর কারো সামনে নত না হয়। মিথ্যাচার, ছলনা, ধোঁকাবাজি, অসৎ লেনদেন, সুদ, ঘুষ, অন্যায় হত্যা, জন্ম নেয়ার পূর্বে বা পরে সন্তান হত্যা, অপবাদ, পরনিন্দা, মদ, জুয়া, শূকরের গোশত ও অন্যান্য হারাম খাদ্যসহ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা কিছু হারাম করেছেন, তার সবই আপনার জন্য নিষিদ্ধ। এগুলো থেকে বেঁচে থাকতে হবে। আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল যেসব জিনিস পবিত্র ও হালাল ঘোষণা করেছেন, কেবল সেগুলোই আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করবেন এবং আল্লাহর শোকর আদায় করবেন।
For work I use:
মোবাইল |
realme C25s |
ফটোগ্রাফার |
@tanvirahammad |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
মাঠে |
প্রতিদিন আল্লাহপাকের কালাম কুরআন মাজীদ তেলাওয়াত করবেন। পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন থাকার নিয়মাবলি, দ্বীনি আচার-আচরণ, লেনদেন ও সামাজিকতা শিক্ষা করবেন। হৃদয়ের নিষ্ঠা ও অন্তরের স্বচ্ছতার সঙ্গে দোয়া করবেন, হে আমাদের মালিক, হে আমাদের পালনকর্তা আমাদের বন্ধুদের পরিবার ও বংশের লোকদের আত্মীয় স্বজনদের এবং সমগ্র পৃথিবীতে যতো মানুষ জীবিত আছে সবাইকে ঈমানের সঙ্গে জীবিত রাখো এবং ঈমানের সঙ্গে মৃত্যু দিয়ো। এই দু'আ একারণে করতে হবে যে, ঈমান ও ইসলামই মানবজাতির শেষ ভরসা। ঠিক যেমনিভাবে আল্লাহপাকের এক নবী হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামকে জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ করার পর তিনি ঈমানের শক্তি ও দৃঢ়তার কারণে বেঁচে গিয়েছিলেন; এমনকি তাঁর শরীরের একটি পশমও জ্বলেনি, তেমনিভাবে আজকেও আমরা আগুনকে ফুলবাগান বানাতে এবং সরল পথের সকল বাধা দূর করতে পারি।