আসসালামু আলাইকুম
প্রিয়, পাঠকগণ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।

আজ দিনটা ছিলো বুধবার।অধীর আগ্রহ নিয়ে সবাই বসে ছিলাম যে এমন একটা দিন কবে আসবে যেদিন নবীন প্রবীণ সবাই একত্রিত হব। এদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করি এরপর বাড়িতে যা কাজ ছিল সব কাজ গুছায় নেই। ৭.২০ মিনিটে আমি আব্বু ও আমার বড় ভাইয়া মোটরসাইকেলে করে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য রওনা দেই।

আমার আব্বু সেখানকার সহকারী শিক্ষক আমি ও আমার বড় ভাইয়া সাবেক ছাত্র। মাদ্রাসার পাশেই ছিল আমার এক বন্ধুর বাসা,সেখানে আমার পাঞ্জাবী রাখা ছিল । রাস্তায় দাঁড়িয়ে পাঞ্জাবিটা নেই, এরপর মাদ্রাসায় ঢুকে যায়। ঢোকার সময় মেন রাস্তার সামনে একটি সুন্দর গেট পড়ে। খুবই সুন্দর করে সাজিয়েছিল মাদ্রাসাটা গেটটাও দেখতে অনেক সুন্দর ছিল।

এরপর আমি আমার বন্ধুদের আসার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি, এক এক করে তারা আসতে থাকে। অনেকদিন পর তাদের সাথে দেখা খুবই ভালো লাগতেছেলো।আমরা ছাদে যাই কিছু গ্রুপ ফটো তুলি।

এরপর আমার সাথে হঠাৎ দেখা হয়ে যায় আমার ছোটবেলার বন্ধু শামীম রেজার সাথে। ক্লাস ফাইভে থাকাকালীন ওর সাথে আমি অধিকাংশ সময় থাকতাম। আমরা একসাথে খেলাধুলা করতাম। পরবর্তীতে আমরা দুইজন দুই প্রতিষ্ঠানে চলে যাওয়ায় আমাদের তেমন দেখা সাক্ষাৎ হতো না।

বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন বড় ভাইদের সাথে দেখা হয়। এমন একটি অনুষ্ঠান সবার সাথে দেখা করার সুযোগ করে দিয়েছে। এরপর আমরা বন্ধুরা সবাই বসে আড্ডা দিতে থাকি। আমরা এক সাথে বসে কফি খাই।

আমাদের ক্লাসের ৩ জন মেয়ে ও ১২ জন ছেলে আসে। মেয়েদের সাথে বরাবরই আমি তেমন কথা বলি না। ওরা ভলো মন্দ জিজ্ঞেস করল আমিও তাদের ভালো-মন্দ জিজ্ঞাসা করলাম।

এরপর গিয়ে আমরা অনুষ্ঠানের প্যান্ডেলে বসে পড়লাম। শিক্ষক মহোদয়গণ তারা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করছিল। প্রতিষ্ঠানের শুরুলগ্ন থেকে যে সকল ভাইয়েরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এ প্রতিষ্ঠানটিকে দাঁড় করিয়েছে তারা আমাদেরকে সেই সকল গল্প শোনাচ্ছিল।

শুনতে খুবই ভালো লাগছিল, এমন একটি অনুষ্ঠান যা সচরাচর হয়ে থাকে না, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য। তিনি খুবই গঠন মুলক ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।

এরপর জোহরের নামাজের সময় হয়ে যায়, আমরা যোহরের সালাত আদায় করি জামাতের সাথে। এরপর শুরু হয় দুপুরের খাবার বিতরণ, আমরা খাবার নিয়ে মাদ্রাসার ছাদে সবাই বসে একসাথে খাওয়া দাওয়া করতে থাকে। রান্না গুলো অনেক মজা হয়েছিল। আবারো অনেক দিয়েছিলো সবাই পেট ভরে খেয়েছে।

খাওয়া-দাওয়া শেষে একটা ক্লাসরুমে বসে থাকি কিছুক্ষণ, এরপর শুরু হয় অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব। আমরা সবাই আবার অনুষ্ঠানে চলে আসি। চলতে থাকে গজল কবিতা আবৃতি নাটক অভিনয় ইত্যাদি সংস্কৃতি অনুষ্ঠান। খুবই ভালো লাগতেছিল এরকম একটি অনুষ্ঠানে আসতে পেরে। এরপর আমাদেরকে দেয় বিকেলের নাস্তা ও উপহার সামগ্রী

উপহারটা আমি সেখানে খুলি না পরবর্তীতে বাসায় এসে খুলি, ছিল খুবই সুন্দর একটি মগ ও একটি ডাইরি।

অনুষ্ঠান শেষে আমি আমার ভাইয়ের সাথে চলে আসি, খুবই সুন্দর একটি অনুষ্ঠান ছিল। নবীন প্রবীন সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়। শত ব্যস্ততার মাঝেও সবাই ছুটে এসেছে এই অনুষ্ঠানে। আলহামদুলিল্লাহ দিনটি অনেক ভালো ছিল।

ধন্যবাদ