আসসালামু আলাইকুম
প্রিয়, পাঠকগণ,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।

কয়েক বছর যাবৎ হলো ঢাকা শহরে চার দেওয়ালের মধ্যে থাকা হয়। বাহিরের বৃষ্টি উপলব্ধি করা হয় না। গ্রামে কয়েক দিন ধরে প্রচুর পরিমাণে গরম পরছে। এই গরমের মাঝে হালকা বৃষ্টি পরিবেশকে ঠান্ডা করে দিয়ে যায়। এমন সুন্দর বৃষ্টি দেখে নিজেকে আর আটকে রাখতে পারলাম না। চলে গেলাম বাড়ির ছাদে দুহাত প্রসারিত করে মনের সুখে বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলাম। চারপাশের গাছের পাতা গুলোতে বৃষ্টির পানি পড়ে যেন সবুজে চকচক করছে। গাছের পাতাগুলো এমন চকচক দেখতে খুবই ভালো লাগতেছিল।

ছাদে যখন একা একা বৃষ্টিতে ভিজছিলাম, তখন প্রকৃতিটাকে মনের মাঝে অনুভব করার চেষ্টা করলাম। নিচের দিকে তাকিয়ে দেখি বৃষ্টির পানিতে হাঁস গুলো খেলা করছে, বাচ্চা মুরগির মা তার বাচ্চাদেরকে ডানার নিচে নিয়ে একটি ঝোপে বসে আছে যেন বাচ্চাগুলোর গায়ে বৃষ্টির পানি না লাগে,হালকা বাতাসে গাছের পাতাগুলো নড়ছে, বড় বড় গাছগুলোর গাঁ বেয়ে বৃষ্টির পানি জমিনে পড়ছে। মাদ্রাসার সামনে ছোট্ট একটি খেলার মাঠে পানি থৈ থৈ করছে।

For work I use:

---

মোবাইল	realme C25s
ফটোগ্রাফার	@tanvirahammad
লোকেশন	ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা	বাড়ির ছাদে

বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে মনে পড়ে গেল শৈশবের সেই স্মৃতিগুলো।বৃষ্টি এলেই গ্রামের সমবয়সী ছেলেরা দল ধরে বৃষ্টিতে ভিজত। বৃষ্টিতে ভিজে দৌড়ে বেড়াত গ্রামের আঁকাবাঁকা মেটো পথে। দৌড়ে চলে যেতে আমের বাগানে আম কুড়াতে। আবার বৃষ্টি এলেই ঘরে ঘরে বসে যেত ঝাল মুড়ি ও লুডুর আসন।টিনের ঘরে বৃষ্টির রিমঝিম আওয়াজ মুগ্ধ করে তুলতো।

আজ বৃষ্টিতে ভিজার সময় কিছু মুহূর্তের জন্য হারিয়ে গিয়েছিলাম পুরনো সেই সোনালী অতীতে ।মাঝে মাঝে সে অতীতকে স্মরণ করলেই মনের মাঝে দোলা দিয়ে ওঠে আহ!! কি সুন্দরই না ছিল সে ঐ শৈশবের স্মৃতিগুলো। হাজার চেষ্টা করলেও সেই অতীতকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।

ধন্যবাদ