আজ সোমবার সকালে স্কুলে গেলে শিক্ষকেরা তার হাতে নীল তিমি–সদৃশ ছবি আঁকা দেখতে পান। পরে তার পরিবারকে খবর দেন তাঁরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন বলেন, সকাল থেকে সে ক্লাস করছিল। দুপুরের দিকে হঠাৎ সহপাঠীদের একজন তার হাতে কোনো কিছু আঁকা আছে দেখতে পেয়ে শিক্ষককে জানায়। পরে শিক্ষক তার শার্টের হাতা খুলে ডান হাতে রক্তাক্ত তিমি সদৃশ ছবি দেখতে পান। তার ব্যবহৃত মোবাইলে ব্লেড দিয়ে কেটে কেটে তিমির ছবি আঁকার ২ মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, ছাত্রটি কিছুদিন ধরে স্কুলে অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। অসুস্থতাসহ নানা কারণ দেখিয়ে সে স্কুল থেকে বিভিন্ন সময় ছুটিও নেয়।
ওই শিক্ষার্থীর ভাষ্য, সে কিছুদিন আগে মোবাইলে একটি গেম ইনস্টল করেছিল। পরে তা ফেলে দেয়। গতকাল রাতে কৌতূহলবশত সে তার হাতে তিমি মাছের ছবিটি এঁকেছে। আগে ইনস্টল করা গেমে তাকে হাত কেটে তিমির ছবি আঁকতে বলা হয়েছিল বলে প্রথমে স্বীকার করলেও পরে তা অস্বীকার করে।
এ ব্যাপারে ছেলেটির মা বলেন, ‘আমার ছেলে যে গেমে আসক্ত হয়ে গেছে, আমি আগে তা খেয়াল করিনি। আমি তার ঘরে খুব কম যাই। কিছুদিন ধরে সে আগের থেকে বেশি রাগারাগি করছে। সাধারণ বিষয় নিয়ে রাগ করে ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করছে, আগে এমনটা দেখিনি।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বেলন, ‘বিষয়টি জেনেছি। সে কোনো গেমে আসক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখতে তার বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হবে।’
গাজীপুরের শ্রীপুরে ‘ব্লু হোয়েল’ গেমে আসক্ত
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!