সবজি হিসেবে কাঁকরোল
বাংলার কৃষকেরা ক্ষেতে খামারে বিভিন্ন রকমারীর কৃষি ফসল ফলিয়ে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থকে। এই সব রকমারী কৃষি ফসলের মধ্যে কাকরোল একটি। এটি সবজি হিসেবে বাংলার ঘরে ঘরে ব্যবহৃত হয়। শুধু গ্রামে গঞ্জে নয় শহর থেকে শহরতলীতেও এই কাকরোল একটা জনপ্রিয় সুস্বাদু সবজি। এটি যেমন সবজি হিসেবে বহুল ব্যবহৃত হয় তেমনি এটি স্বাস্থের জন্যও উপকারী। এটি এমন একটি সবজি যে, যে কোন বয়সের মানুষ যে কোন অবস্থায় গ্রহন করতে পারে। এটিকে ক্যালসিয়াম, লৌহ ও ফসফরাস বিদ্যমান এছাড়াও এতে ভিটামিন বি রয়েছে তাই ডাক্তারাও রোগীর পথ্য হিসেবে এই সবজিটি নির্বাচিত করে থাকেন। এটি একটি লতা জাতীয় গাছ। সাধারণত গাছটিতে মাচান দেওয়ার প্রয়োজন হয়। কারণ অবলম্বন ছাড়া গাছটি উপরে উঠতে পারে না। কৃষকেরা ফাকা জমিতে মাচান দিয়ে গাছটি লাগিয়ে থাকে। গাছটি বীজ এবং শিকড় থেকে চারা হয়। তবে বীজের চারা থেকে উৎপন্ন গাছে তাড়াতাড়ি ফল আসেনা। আর আসলেও তেমন ভাল হয় না। তবে শিকড় থেকে উৎপন্ন গাছে ভাল ফলন হয়। সবজিটিতে হলুদ ও সবুজের সমারোহ দেখতে পাওয়া যায় এবং সারা গায়ে নরম কাটা আছে। ফলটি লতানো গাছে মাচানের নিচে ঝুলে থাকে। এর ফুল সাদা রংগের হয়। ফুল আসার প্রায় পনের থেকে বিশ দিনের মধ্যে একটা কাকরোল তোলার মতো হয়ে যায়। একজন কৃষক একটি গাছ থেকে প্রতি সপ্তাহে প্রায় 10-15 কেজি কাকরোল তুলতে পারে। বাজারে এর খুব চাহিদা এবং বাজার মূল্যও ভাল। চাষীরা এটি বাজারে বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে প্রচুর লাভবান হয়। খোলা মাছে এই ফসলের চাষ ভালো হয়। অনেক সময় প্রাকৃতিকভাবে বনে জঙ্গলে গাছে গাছে এই গাছের ফলন দেখা যায়। গাছে যখন ফুল আসে তখন সাদা সাদা ফুলে ফুলে মাচান ভরে যায়। এই মনোরম দৃশ্য দেখতে খুব ভালো লাগে। তারপর যখন ফল আসে তখন মাচনের নিচে ঝুলে ঝুলে পড়ে তখন আর এক নতুন দৃশের সৃষ্টি হয়। সাধারণত বর্ষাকালে ফসলটির চাষ হয়। অপরুপ দৃশ্য এবং সবজি হিসেবে যার এত কদর তার সংরক্ষণ এবং চাষাবাদ বাড়িয়ে সমাজের কৃষককুলের আর্থিক উন্নয়ন ও মানব শরীরকে রক্ষা করা আমাদের সবার একান্ত কর্তব্য বলে আমি মনে করি।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!