নিজস্ব প্রতিবেদন: দীপাবলির পরই ছট। ছটে সূর্যকে পুজো করা হয়। ছটে কোনও মূর্তিপুজো হয় না। আগামি ১০ নভেম্বরে ছটপুজো উদযাপন।
ছট মানে 'ছটি মাইয়া'। কার্তিক মাসের অমাবস্যার পরে ষষ্ঠীতে এই পুজো হয়। মূলত বিহারের অনুষ্ঠান এটি। যদিও এখন ছট পুজো শুধু বিহারি সম্প্রদায়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই আর। সারা দেশের বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং ধর্মের মানুষ এখন এই উৎসবকে আপন করে নিয়েছে।
ঋগ্বেদে সূর্যবন্দনার কথা আছে। সেখানে উষা বৈদিক দেবী, রাত্রি তাঁর ভগ্নী। রামায়ণ ও মহাভারতেও সূর্য পুজোর কথা আছে। কথিত, রাবণবধের পরে সীতাকে নিয়ে অযোধ্যায় ফিরলে সেখানে রামের রাজ্যাভিষেক হয়। শুভকাজ উপলক্ষে রাম-সীতা কার্তিক মাসের শুক্লা ষষ্ঠীতে উপবাস করে অস্তসূর্যের আরাধনা করেন এবং সপ্তমীর সূর্যোদয়ে ফের সূর্য আরাধনা করে রামরাজ্যের সূচনা করেন। মহাভারতেও সূর্যপুজোর কথা আছে। দ্রৌপদী ধৌম্য ঋষির উপদেশে সূর্য আরাধনা করেছিলেন বলে শোনা যায়। আর মহাবীর কর্ণের সূর্য উপাসনারা কথা সকলেই জানে। প্রসঙ্গত, গ্রিক, রোমান, মিশরীয় প্রভৃতি সভ্যতাতেও সূর্যপুজোর কথা আছে।
চারদিনের এই ব্রতের প্রথম দিনে ব্রতধারী বাড়িঘর পরিষ্কার করে স্নান সেরে শুদ্ধাচারে নিরামিষ খান। পরদিন থেকে উপবাস শুরু। তৃতীয় দিনে নিকটবর্তী নদী বা জলাশয়ে গিয়ে অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য অর্পণ। ব্রতের শেষদিনে অর্থাৎ চতুর্থদিনে পুনরায় ঘাটে গিয়ে উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্যপ্রদান। এর পরে উপবাসভঙ্গ।
প্রধানত উত্তরভারতে এই পুজোর বিশেষ প্রচলন। অন্যান্য রাজ্যেও এই পুজো হয়। মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও নেপালেও এই উৎসব পালিত হয়।