"চোখ জুড়ানো পাটোয়ার টেক থেকে"
গত পর্বের পর...
গাড়ি থামার পর পাটোয়ারটেক বিচ চোখের সামনে আসতেই মনটা খুশি হয়ে গেলো। মনে হচ্ছিল জায়গাটা খুবই চেনা ও পরিচিত। গত বছর যখন পাটোয়ার টুকে এসেছিলাম তখন খুবই অল্প সময় এখানে ছিলাম। মনে আছে আমরা আসার ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যেই হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছিল। এজন্য আমরা বেশিক্ষণ এখানে দাঁড়াতে পারিনি। এজন্য এবারও আমাদের পাটোয়ারটেকে যাওয়ার জন্য অনেক ইচ্ছা ছিল। তো যাই হোক এসে পৌঁছে গেলাম আমার ও আমার স্ত্রীর প্রিয় জায়গা পাটোয়ারটেক বিচ।
গাড়ি থেকে নেমে দৌড় দিলাম বীচের কাছে।এই বিশেষত্ব হলো প্রচুর কোরাল পাথর। কিছুক্ষণ পর পর পাথরের উপরে ঢেউ গুলো আছড়ে এসে পড়ে। সে এক অসাধারণ দৃশ্য। পাথরের থেকে পাথর টপকিয়ে যাওয়া, পাথরের উপরে বসে আছড়ে পড়া ঢেউ গুলো দেখা, এ যেন এক মনোরম দৃশ্য। আর সব থেকে বড় বিষয় সামনে সি বিচ এবং পিছনে সবুজ বিশাল পাহাড়।সব মিলিয়ে পাটোয়ারটেক এজন্যই আমার ও আমার বউয়ের কাছে সবথেকে প্রিয় জায়গা। নেমে বেশ কিছুক্ষণ আমরা একসাথে কাটালাম। পাথর থেকে পাথর হাত ধরে টপকে টপকে যাচ্ছিলাম। আছড়ে পড়া ঢেউ হাত দিয়ে ধরার চেষ্টা করলাম। কি যে দারুন এক অনুভূতি, আসলে বলে বোঝানো সম্ভব না।
মজার বিষয় হলো গত বছর যখন এসেছিলাম তখন ছিল হঠাৎ বৃষ্টি, যার জন্য এখানে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারিনি, আর এ বছর প্রচন্ড রোদ, রোদের জন্য যেন দাঁড়ানো যাচ্ছে না এবার। যাইহোক তারপরও বেশ কিছুক্ষণ এখানে এবার কাটালাম। অনেকগুলো একসাথে ছবি তুললাম।
সত্যিই এই জায়গাটাতে আসলে মনটা একেবারেই ভালো হয়ে যায়। পিছনে সবুজ পাহাড় আর সামনে বিশাল সমুদ্র সৈকত ও কোরাল পাথর, মনকে একেবারে শীতল করে দেওয়ার জন্য এই কি যথেষ্ট নয়?
ডিভাইস | স্যামসাং এস ২১ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @surzo |
লোকেশন | কক্সবাজার, বাংলাদেশ |
তো যাই হোক এখানে খুবই সুন্দর কিছু সময় পার করে জিয়া ভাই আমাদেরকে বলল চলো এবার যাওয়া যাক, আরো অনেক জায়গা বাকি আছে। তারপর পাশের ছোট দোকান থেকে অল্প কিছু খাবার খেয়ে আবার গাড়িতে ওঠার জন্য বের হলাম।
চলবে...