Source from:ক্রীড়া প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
অনুশীলন পর্যাপ্ত হয় না, প্রস্তুতিতে থেকে যায় ঘাটতি। মেয়েদের ক্রিকেট নিয়ে এই অভিযোগ আগে অনেকবারই উঠেছে। এবার আর কোনো ঘাটতি রাখতে চায় না বিসিবি। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত তাই টানা অনুশীলনে থাকবে বাংলাদেশ দল।
মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর শুরু হবে আগামী ৯ নভেম্বর, ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সেই টুর্নামেন্টের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে এর মধ্যেই। গত দুটি বিশ্বকাপে ৮টি ম্যাচ খেলে মাত্র একটি জিততে পেরেছে বাংলাদেশ। এবার চাওয়া আরও ভালো কিছু।
গত দুটি সফরে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার ও বিসিবি উইমেন্স উইং অপারেশন্স ম্যানেজার নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানালেন ট্রেনিং ক্যাম্পের বিস্তারিত।
"মেয়েদের ক্যাম্প এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। আমাদের পরিকল্পনা, এখন থেকে বিশ্বকাপ পর্যন্ত মেয়েরা একটা প্রোগ্রামের মধ্যে থাকবে। প্রোগ্রামের একটি অংশে আট সপ্তাহ দীর্ঘ ট্রেনিং হবে। ট্রেনিংয়ে ফিটনেস, স্কিল ও ম্যাচ থাকবে।”
"এখন ওরা প্রথম ধাপে আছে। এই ধাপে ফিটনেস নিয়ে কাজ করা হবে। পরে ওরা কিছু আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে।”
প্রস্তুতি পর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ম্যাচ খেলা। নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানালেন, বিশ্বকাপের আগে আন্তর্জাতিক সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা চলছে।
"সিরিজের আলাপ-আলোচনা চলছে। আমরা আশা করছি অক্টোবরের শুরুতে একটা দলকে পাব। ওদের সঙ্গে চার-পাঁচটা টি-টোয়েন্টি খেলব, যা আমাদের প্রস্তুতিকে আরও ভালো করবে।"
কর্মযজ্ঞ শুধু আসছে বিশ্বকাপ ঘিরেই নয়, সাম্প্রতিক সাফল্যে উজ্জীবিত উইমেন্স উইং ঘরোয়া ক্রিকেট আর শক্তিশালী করতে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে বিসিবির কাছে।
"কিছু সুপারিশ করেছি আমরা। এই মুহূর্তে ঘরোয়া ক্রিকেটের যে কাঠামো আছে, সেটা আরেকটু দীর্ঘ করার চেষ্টা করছি। একটি অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্ট করার চেষ্টা করব। আগে কোনো বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট ছিল না। এটা করতে পারলে নিচের দিকে যারা আছে, তারাও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলে ওপরে উঠে আসবে।"
"আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এখন যে বিভাগীয় খেলাটা হয়, সেখান থেকে ছেলেদের মতোই জোন করে আরেকটা টুর্নামেন্ট করার চিন্তা করা হচ্ছে। সেখানে দুই দিনের ম্যাচ চালুর পরিকল্পনা আছে। যারা এই চার জোনে খেলবে, তারা খুবই প্রতিযোগিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে পারবে।”