সুপার এইটের পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন।আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আরো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।

সুপার এইটের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ এর ২৭ তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ বনাম নেদারল্যান্ড। উভয় দলের জন্যই ম্যাচটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যে দলই জিতবে তারাই সুপার এইটের দিকে এগিয়ে যাবে।

টসে জিতে নেদারল্যান্ড ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশকে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট এনে দেয় নেদারল্যান্ডের স্পিন বলার আরিয়ান দত্ত। বাংলাদেশে ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন কুমার দাস পরপর প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে বাংলাদেশের উপর চাপ বাড়ে।৩২ বলে ৪৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করে শুরুর সেই চাপ সামাল দেন সাকিব আল হাসান ও তানজিদ হাসান তামিম।

৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেট হারিয়ে ৭০। ইনিংসের নবম ওভারে ডাচ পেসার পল ভ্যান মিকেরেনের বলে তানজিদ হাসান তামিম আউট হয়ে প্যাভিলিয়ানে ফিরে যান। আগের দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে ভালো সঙ্গ দেওয়া তাওহীদ হৃদয় এদিন দ্রুত আউট হয়ে ফিরে যান।

এরপর আবারও চাপ বাড়ে বাংলাদেশের উপর কিন্তু সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সেই চাপ সামলে দেন। ইনিংসের শেষ দিকে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আউট হয়ে গেলে সাকিব আল হাসান ও জাকির হোসেনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় বাংলাদেশ লড়াকু পুঁজি পায়।

নেদারল্যান্ডের টার্গেট দাঁড়াই ১৬০ রান।বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন সাকিব আল হাসান । তিনি ৪৬ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। নেদারল্যান্ডের হয়ে আরিয়ান দত্ত ও পল ভ্যান মিকেরেন ২ টি করে উইকেট পান।

১৬০ রানের টার্গেট নেদারল্যান্ড ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই তাদের প্রথম উইকেট হারায়। বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেয় পেস বলার তাসকিন আহমেদ। তানজিম হাসান সাকিবের দুর্দান্ত ক্যাছে দ্রুতই প্যাভিলিয়নের ফিরে যান আরেক ডাচ ওপেনার ম্যাক্স ওডোড।

পাওয়ারপ্লের প্রথম ৬ ওভার শেষে নেদারল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৬ রান। বিক্রমজিৎ সিং ও সিব্রান্ড অ্যাঙ্গেলব্রেড দুইজন মিলে ২৩ বলে ৩৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ করেন। দশম ওভারে বোলিং করতে এসে সেই জুটি ভাঙ্গেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

ডাচ ক্যাপ্টেন স্কট এডওয়ার্ডস ও সিব্রান্ড অ্যাঙ্গেলব্রেড মিলে আবারো ৪২ রানের পার্টনারশিপ করেন। এরপর রিশাদ হোসাইনের স্পিন ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নেদারল্যান্ড সেই সাথে মুস্তাফিজুর রহমানের স্লো কাটারে রান নিতে না পারার কারণে আরো চাপে পড়ে যায় নেদারল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান করে নেদারল্যান্ড।

নেদারল্যান্ডের হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ রান করেন সিব্রান্ড অ্যাঙ্গেলব্রেড। তিনি ২২ বলে ৩৩ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ হোসেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেয় ও তাসকিন আহমেদ ২ টি উইকেট নেয়। মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিদ হাসান সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সমান ১ টি করে উইকেট পান।

ফলাফল: বাংলাদেশ ২৫ রানে নেদারল্যান্ডকে হারিয়েছে। আর এই জয়ে বাংলাদেশ সুপার এইটের পথে আরো একধাপ এগিয়ে গেল।

প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ: সাকিব আল হাসান। তিনি ব্যাট হাতে ৬৪ রানের দারুন ইনিংস খেলেছেন এবং ৪ ওভার বল করে ২৯ রান দিয়েছেন।

প্রিয় বন্ধুগণ ,আজকে এ পর্যন্তই ।আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।