আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, কেমন আছেন সবাই। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি ও অনেক ভালো আছি। আজকে আবারো আরেকটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি শেষ পর্যন্ত সবাই আমার পাশে থাকবেন।
আজকের ব্লগ টি হল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ এর ১৯ তম হাইভোল্টেজ ম্যাচ ইন্ডিয়া বনাম পাকিস্তান। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম, নিউইয়র্ক, ইউনাইটেড স্টেট।
যারা ক্রিকেট বোঝেন এবং ক্রিকেট পাগল লোক তারা সকলেই জানে ইন্ডিয়া বনাম পাকিস্তান ম্যাচ কতটা হাইভোল্টেজ ম্যাচ। সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীরা তাকিয়ে থাকে এই ম্যাচটির দিকে। তারই ধারাবাহিকতায় এই ম্যাচটি আমিও দেখেছি। বৃষ্টির জন্য মাঠ ভেজা থাকার কারণে খেলাটি নির্ধারিত টাইম থেকে একটু দেরিতে শুরু হয়। পাকিস্তান টসে জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুতেই ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানরা সাবলীল ভাবেই পাকিস্তানি বোলারদের খেলেছে। প্রথম পাওয়ার প্লে তে ৬ ওভার শেষে ইন্ডিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটের বিনিময়ে ৫০ রান।
ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানরা দেখে শুনেই খেলছিল পাকিস্তানি বোলারদের। ১০ ওভার শেষে ইন্ডিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৮১ রান। এরপরেই পাকিস্তানি বোলারদের তাণ্ডবে দিশেহারা ইন্ডিয়ান ব্যাটসম্যানরা। শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারের মধ্যে অলআউট হয়ে যায় ইন্ডিয়া।
তখন ইন্ডিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০ উইকেটের বিনিময়ে ১১৯ রান। পাকিস্তানকে জিততে হলে করতে হবে ১২০ রান। ইন্ডিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন রিশাব প্যান্ট তিনি ৩১ বলে ৪২ রান করেন। পাকিস্তানের পক্ষে নাসিম সাহা, হারিস রউফ ৩টি করে উইকেট পান।
ইনিংস বিরতি শেষে ব্যাট করতে নেমে বুমরার পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের ফেরেন পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন বাবর আজম। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ওসমান খানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ১০ ওভার পর্যন্ত ভালোভাবেই ম্যাচ এ ছিল পাকিস্তান। ১০ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটের বিনিময়ে ৫৭ রান।
এরপর ইন্ডিয়ান বোলারদের তান্ডবে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের মিডিল অর্ডার। তখনই পাকিস্তান ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় এরপর আর পাকিস্তান ম্যাচে ফিরতে পারিনি। শেষ দিকে নাসিম সাহা একটু চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তার সেই চেষ্টা ও পাকিস্তানের ম্যাচ জিতার জন্য যথেষ্ট হয়নি। ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটের বিনিময়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৩ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিনি ৪৪ বলে ৩১ রান করেছিলেন। ইন্ডিয়ার পক্ষে জাসপ্রীত বুমরা ৩ উইকেট ও হার্দিক পান্ডিয়া ২ উইকেট নিয়েছেন।
ফলাফল: ইন্ডিয়া ৬ রানে ম্যাচ জিতেছে। ইন্ডিয়া এই ম্যাচ জিতাতে সুপার এইটের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। সেই সাথে পাকিস্তানের জন্য সুপার এইটের পথ আরো কঠিন হয়ে গেল।
প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ: জাসপ্রীত বুমরা। তিনি ৪ ওভার বল করে ১৪ রানের বিনিময়ে তিনটি মূল্যবান উইকেট নিয়েছেন।
প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এ পর্যন্তই। পরবর্তী আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।