আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আরও একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।
অবিশ্বাস্য আফগানিস্তান। ডি এল এস মেথড পদ্ধতিতে বাংলাদেশকে ৮ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল আফগানিস্তান।
আজকের ম্যাচে ছিল অনেক সমীকরণ। এই সমীকরণের জন্য আজকের খেলাটি বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ম্যাচ ছিল। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। ইনিংসের শুরু থেকেই দেখে শুনে খেলছিলেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার। প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৭ রান। আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরুবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৯ রানের পার্টনারশিপ করেন।
ইনিংস এর ১১তম ওভারে রিশাদ হোসেনের বলে সাকিব আল হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ইব্রাহিম জাদরান। এরপর বাংলাদেশের বোলিং তাণ্ডবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। শেষ পর্যন্ত পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রানের লড়াকু পুজি পায় আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন রহমানউল্লাহ গুরুবাজ।
বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ হোসাইন চার ওভার বল করে ২৬ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট নেন। সেই সাথে তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান একটি করে উইকেট নেন। বাংলাদেশের টার্গেট 116 রান।
প্রথম ইনিংস শেষে সমীকরণ দাঁড়ায় সেমিফাইনালে যেতে হলে বাংলাদেশকে এই রান ১২ ওভার ১ বলে করতে হবে। আফগানিস্তান জিতলেই চলে যাবে সেমিফাইনালে আর বাংলাদেশ যদি এই রান ১২.১ ওভারে করতে না পারে সে ক্ষেত্রে সেমিফাইনালে যাবে অস্ট্রেলিয়া।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শূন্য রানের প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংস এর তৃতীয় ওভারে নাবিন উল হকের ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। লিটন কুমার দাস এক প্রান্ত আগলে রেখে দেখেশুনে খেলছিলেন কিন্তু তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারে নাই আর কেউ। মাঝে কয়েকবার বৃষ্টির জন্য খেলা বন্ধ থাকে।
বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে যেতে হলে এই রান করতে হতো ১২ ওভার ১ বলে কিন্তু বাংলাদেশ এই রান করতে পারে নাই। শেষ পর্যন্ত অবিশ্বাস্য ভাবে আফগানিস্তান ৮ রানে এই ম্যাচ জিতে যায় এবং সেমিফাইনালে পৌঁছে যায়।
সেই সাথে বাংলাদেশে এই ম্যাচ হারাতে কপাল পুড়লো অস্ট্রেলিয়ার। অবিশ্বাস্যভাবে বাংলাদেশকে ৮ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য আফগানিস্তান ক্রিকেট টিমকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এই ম্যাচ জিততে আফগানিস্তানের প্লেয়ারদের ও পুরো কোচিং স্টাপদের নিবেদন, ইমোশন ও শারীরিক ভাষা ছিল চমৎকার দেখার মত। নিচে তাদের ছবিগুলো দেওয়া হল।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন লিটন কুমার দাস। তিনি শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। আফগানিস্তানের হয়ে নাবিন উল হক ও রাশিদ খান সমান চারটি করে উইকেট নেন। গুলবাদিন নাইব ও ফাজল হক ফারুকী একটি করে উইকেট পান।
ফলাফল: ডিএলএস মেথড পদ্ধতিতে আফগানিস্তান ৮ রানে জয়ী।
প্লেয়ার অব দ্যা ম্যাচ: নাবিন উল হক। তিনি ৩ওভার ৫বল করে ২৬ রানের বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ ৪টি উইকেট পান।
প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে এ পর্যন্তই। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।