অনেক নাটকীয়তার পর দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে ফাইনাল নিশ্চিত করলো মাশরাফি মর্তুজার রংপুর রাইডার্স। এ পর্যন্ত অধিনায়ক হিসেবে বিপিএলে সবচেয়ে বেশিবার ফাইনাল খেলেছেন তিনি ও তার দল। ফলে এই রেকর্ডের মালিক বিপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফিই। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চতুর্থবারের মতো ফাইনাল খেলতে নামবে তার নেতৃত্বাধীন রংপুর রাইডার্স, প্রতিপক্ষ সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস। প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লাকে হারিয়ে প্রথম ফাইনালের টিকিট পায় ঢাকা।
এর আগে বিপিএলের চারটি আসরের তিনটিতেই ফাইনাল খেলে মাশরাফির দল। এবং চ্যাম্পিয়ন হয় তিনবার। আর শুধু চতুর্থ আসরে ফাইনালে পৌঁছাতে পারেনি মাশরাফির দল। চ্যাম্পিয়ন হয় সাকিবের নেতৃত্বাধীন ঢাকা।
বিপিএলের প্রথম দুটি আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস (বর্তমান ঢাকা ডায়নামাইটস)। এর নেতৃত্বে ছিলেন মাশরাফি। ২০১৬ সালে 'ঢাকা ডায়নামাইটস' হিসেবে রিব্রেন্ডেড হয়। চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা। চার আসরে তিনবারই চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা।
এর আগের আসরে ২০১৫ সালে মাশরাফি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের। চ্যাম্পিয়ন হয় তার দল।
বিপিএল চ্যাম্পিয়নরা :
সাল------------চ্যাম্পিয়ন-------------------রানার্সআপ
২০১২-------ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস-----------বরিশাল বার্নার্স
২০১৩-------ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস-----------চিটাগং কিংস
২০১৫-------কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস--------বরিশাল বুলস
২০১৬-------ঢাকা ডায়নামাইটস----------রাজশাহী কিংস
ফাইনালে রংপুর
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে বিপিএলের ফাইনালে গেল রংপুর রাইডার্স। সোমবার মিরপুরে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে তারা জিতেছে ৩৬ রানে। আজ মঙ্গলবার ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটসের মোকাবেলা করবে মাশরাফির রংপুর।
নাটকীয়তায়পূর্ণ ছিল এই ম্যাচটি। আগের দিন বৃষ্টিতে ম্যাচ থেমে যাওয়া, তারপর টুর্নামেন্টের বাই লজ পরিবর্তন করে অবশিষ্ট খেলা সোমবার মাঠে গড়ানো আর এই নিয়ে দুই দল ও বিসিবির কার্যক্রমেই ছিলো যত নাটকীয়তা। কোনো রিজার্ভ ডে না থাকার পরও রোববার বৃষ্টিতে থেমে যাওয়া খেলা সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। অথচ টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী খেলা পরিত্যাক্ত হলে পয়েন্টে এগিয়ে থাকার কারণে কুমিল্লার ফাইনালে যাওয়ার কথা। কিন্তু নিয়ম পাল্টানোয় কপাল পুড়েছে তাদের।
আগের দিন যেখানে থেমেছিলো খেলা সেখান থেকেই শুরু করে কাল রংপুর। তাদের দেয়া ১৯৩ রানের লক্ষ্য মাত্রা তাড়া করতে নেমে দারুণ সূচনা করেছিলো কুমিল্লার দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। প্রথম ৫ ওভারে ৫৪ রান তোলে এই জুটি। কিন্তু এরপরই নামে ব্যাটিং ধস।
দলীয় ৫৪ রানে তামিমের ফিরে যাওয়ার পর ৫৬ রানে ইমরুল কায়েস, ৭৫ রানে শোয়েব মালিক ও ৯৬ রানে লিটন দাস আউট হলে ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়তে থাকে কুমিল্লা। তামিম ১৯ বলে ৩৬ ও লিটন ২৮ বলে ৩৯ রান করেছেন।
পঞ্চম উইকেটে মারলন স্যামুয়েলস ও জশ বাটলার কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন লড়াইয়ে ফেরার। কিন্তু ইনিংসের ১৭তম ওভারে দুজনকেই ফেরান রবি বোপারা। পুরো টুর্নামেন্টে নিষ্প্রভ থাকা বাটলারের ওপর আজ দলের প্রত্যাশা ছিলো খুব বেশি। আভাস দিয়েছিলেন ১৬ বলে ২৬ রান তুলে, কিন্তু ইনিংসা থেমে যায় বোপরার একটি বলে। কুমিল্লা শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে ১১ রানে। শেষ ওভারেই গেছে তিন উইকেট। অবশ্য তারা ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে ১৭ ওভারের পরেই।
শেষ পর্যন্ত বিশ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে তারা তুলতে পেরেছে ১৫৬ রান। ম্যাচ হেরেছে ৩৬ রানে। রংপুরের বোলারদের মধ্যে রুবেল হোসেন ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।