ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে এর আগেও বহুবার সতর্ক করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। গত বাজেটে তার উপরে করও বসিয়েছেন অর্থমন্ত্রী
নির্মলা সীতারামন। ক্রিপ্টোকারেন্সির জেরে ভারতের অর্থনীতির একাংশের ডলারে নির্ভরশীলতা বাড়তে পারে,
যা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে ভাল নয়। অর্থনীতি নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সামনে এই আশঙ্কাই তুলে ধরলেন
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের কর্তারা। সূত্রের খবর, সেখানে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার উপরে এই ধরনের নেটে ব্যবহার্য
মুদ্রার বিরূপ প্রভাবের উল্লেখ করেছেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ও অন্য কর্তারা। কমিটির এক সদস্য বলেন,
আরবিআই বলেছে এতে ঋণনীতি স্থির করায় সমস্যা হতে পারে। যা ধাক্কা দিতে পারে আর্থিক লেনদেন নিয়ন্ত্রণেও।
ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে এর আগেও বহুবার সতর্ক করেছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। গত বাজেটে তার উপরে করও বসিয়েছেন অর্থমন্ত্রী
নির্মলা সীতারামন। আরবিআই কর্তাদের মতে, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, কালো টাকা লেনদেন, ড্রাগ কেনাবেচার মতো ঘটনায়
ব্যবহার করা ছাড়াও দেশের আর্থিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে এই মুদ্রা। তাঁদের সতর্কবার্তা, ‘‘প্রায় সব
ক্রিপ্টোই ডলারে লেনদেন হয় এবং বিদেশিরা এগুলি বাজারে ছাড়ে। এর ফলে অর্থনীতির একটা বড় অংশ ডলার নির্ভর
(ডলারাইজ়েশন) হয়ে পড়তে পারে। যা ভারতের সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী।’’
বিশেষত সাধারণ মানুষ বেশি মুনাফার আশায় এতে টাকা খাটালে এবং তার জেরে ব্যাঙ্কে ঋণ দেওয়ার তহবিলে টান পড়লে
আর্থিক ব্যবস্থা ধাক্কা খেতে পারেও বলে জয়ন্ত সিন্হার নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।
বলেছে, ভবিষ্যতে কোনও না-কোনও সময়ে গিয়ে ক্রিপ্টোর দর পড়বেই। যার ফলে বিরাট লোকসানের মুখে পড়বেন মানুষ।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে গত কয়েক সপ্তাহে বিশ্ব জুড়ে ক্রিপ্টোকারেন্সির দরে ধস নামতে দেখা গিয়েছে। যার জেরে
লগ্নিকারীরা বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছেন।