এবছর শীতকালীন সবজি চাষ করে লাভবান হয়েছেন কালিহাতী উপজেলার কৃষকরা। বর্ষা মৌসুমে ফসল তলিয়ে যাওয়ায় হতাশায় ছিলেন কালিহাতীর কৃষকরা ।
এ হতাশাকে দুর ঠেলে দিয়ে ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ বছর বিপুল পরিমান শীতকালীন সবজি আবাদ করেছেন কৃষকরা। এ বছর শীতকালীন সবজি আবাদ করে ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে ওঠেছে।
উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, মৌসুমের প্রথম পর্যায়ে কৃষকরা ফুল কপি সর্বোচ্চ ৩০-৪০ টাকা আর পাতা কপি বিক্রি করেছেন ১৫-২০ টাকা। উপজেলার ব্রজগাতী গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি ৬০ শতাংশ জমিতে ফুল ও পাতা কফি আবাদ করেছি।
৪৩ শতাংশে ফুলকপি ও ১৭ শতাংশে পাতাকপি আবাদ করে অনেক লাভবান হয়েছি। আমি প্রতিটি ফুলকপি ৩০-৩৫ টাকা আর পাতা কপি ১০-১৫ টাকা করে বিক্রি করেছি।
উপজেলার ঝাটিবাড়ী গ্রামের কৃষক মোতালেব মিয়া বলেন, আমি ৫০ শতাংশ জমিতে ফুল কপি ও ২৫ শতাংশ জমিতে পাতা কফি আবাদ করছি। বাজারে কফি বিক্রি কইরা ভালোই লাভ হইছে।
বার্তা গ্রামের হুরমুজ আলী বলেন, আমি এবার ৭৫ শতাংশ জমিতে ফুল ও পাতাকপি আবাদ করে অনেক লাভবান হয়েছি। গতবার বর্ষায় সবজির যে ক্ষতি হয়েছিল তা পুষিয়ে গিয়েও অনেক লাভে আছি। এবার ফুল ও পাতা কপিতে ভালো দাম পেয়েছি ।
উপজেলার, বর্তা, ঝাটিবাড়ী, পাথালিয়া,দয়থা, আউলটিয়া, সিলিমপুর, বাগুটিয়া, চকখিলদা, ধুনাইল বেড়ীপটল, পাছজোয়াইর, আটাবাড়ী, হরিপুর, সহদেবপুর, টেরকী, দঃচামুরিয়াসহ প্রায় ৫০টি গ্রামে ৬২০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদ হয়েছে।
আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার ফুল ও পাতা কফির পাশাপাশি মূলা, বেগুন, ডাটা, লালশাকসহ আরো অনেক সবজি আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন উপজেলার কৃষকরা। কৃষক পরিবারের গৃহীনিরা বাড়ির পালানে লাউ, সীম, করলা ইত্যাদি সবজী আবাদ করে সংসারের আয় বারাচ্ছেন। নিজেদের ও সন্তানদের আনুসাঙ্গিক খরচ চালাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এম শহিদুল ইসলাম জানান, কালিহাতী উপজেলায় এ বছর রবি মৌসুমে ৬২০ হেক্টর জমিতে সবজী আবাদ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে সবজির দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে সবজী চাষের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে।
কৃষি বিভাগ থেকে নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে কৃষক পর্যায়ে বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। তিনি আরোও বলেন, মৌসুমের সকল সময়ে সবজীর দাম ভালো পেলে কৃষকদের মাঝে সবজী চাষের আগ্রহ আরো বাড়বে।
টাঙ্গাইলটাইমস