৫টি রহস্যময় ঘটনা জিনিস যা এর আগে কখনোই দেখেননি আপনি !! THINGS THAT YOU WILL SEE FOR THE FIRST TIME

in education •  4 years ago 

বিশ্বে প্রতিদিনই ঘটে চলেছে অবিশ্বাস্য এবং অভূতপূর্ব ঘটনা। আর এসব ঘটনা আমাদেকে প্রতিনিয়ত অবাক করে দেয়।
তারপরও সোস্যাল মিডিয়া ঘাটলে এমন আরও বিচিত্র ভিডিও আপনার চোখে পড়বে যা হয়তো এখনও আপনার অজানা রয়ে গেছে। অদেখা ভুবনের এই পর্বে আপনাদের দেখাবো এমনই কিছু বিচিত্র জিনিস যা হয়তো এর আগে কখনো দেখেননি আপনি।

হর্স স্টেজ ফল

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ইউ সেমটি ন্যাশনাল পার্কে আপনি অভূতপূর্ব একটি দৃশ্য দেখার সুযোগ পেতে পারেন। এই পার্কে রয়েছে হর্সটেইল ফল বা ঘোড়ার লেজ নামের একটি জলপ্রপাত। সিয়োডা নিবেদার এল ক্যাপিটাল মাউন্টের রেন্জের পুর্বপ্রান্তে সাময়িকভাবে দেখা মিলবে এই জলপ্রপাতটির। শীতের শেষে এবং বসন্তের শুরুতে পর্বতের চূড়ায় জমা বরফ গলতে শুরু করলেই সৃষ্টি হয় ক্ষণস্থায়ী এই জলপ্রপাতের। আর ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে জলপ্রপাতে দেখা মেলে অভূতপুর্ব একটি দৃশ্য।জলপ্রপাতের ধারাটি দেখে মনে হবে গলিত আগুনের মত বা লাভার মত ঝড়ে পড়ছে। তাই প্রতিবছর এই সময়টায় বহু পর্যটক ভিড় জমান ইউ সেমটি ন্যাশনাল পার্কে ন্যাশনাল পার্কে।

লোহার আতশবাজি

১২০০ শতকের দিকে চীনে প্রথম আতশ বাজি উদ্ভাবনের পর সারা বিশ্বে এটি দারুণ জনপ্রিয় একটি বিনোদনে পরিণত হয়েছে।
রাতের আকাশে হাজারো রং বেরঙের আলোর ঝলকানি দেখে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। কিন্তু এই আতশ বাঁজি কিছুটা ব্যয়বহুল হওয়ায় প্রায় 300 বছর আগের একটা সস্তা বিকল্প তৈরি করেছিলেন চীনেরই কিছু কারিগর। তবে এই বাজি পেড়ানো দৃশ্যও কম মনমুগ্ধকর নয়। আর এজন্য গলিত লোহা কে পাথর ছুড়ে ছুড়ে আতস বাজির একটি আবহ তৈরি করার উপায় বের করেছিলেন তারা। আর এই উত্তপ্ত গলিত লোহা পাথরের সংস্পর্শে এলে বিচিত্র আগুনের ফুলকির মতো চারদিকে ছড়িয়ে যায়।আর এভাবেই সাধারণ লোহা দিয়ে বিচিত্র আতশবাজি তৈরীরর রেওয়াজও চলে আসছে দেশটিতে।

ভ্যান্টা ব্ল্যাাক
কালো রঙের ও যে বিভিন্ন ধরনের সেড রয়েছে তা তো জানেন নিশ্চয়ই। কিন্তু এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত বিশ্বের সবচেয়ে কালো রং কেমন হতে পারে তা কি দেখেছেন কখনো। সম্প্রতি সারি ন্যানো সিস্টেমসের ব্রিটিশ পদার্থবিদ বিজ্ঞানীরা এমন একটি উপাদান তৈরী করেছেন যাকে নিঃসন্দেহে বিশ্বের সবচেয়ে কালো পদার্থ বলা যায়। তারা এর নাম দিয়েছেন ভ্যান্টা ব্ল্যাাক। গবেষকদের মতে এই উপাদান মাত্র দশমিক (0.35) শতাংশ বাদে সব আলোই শোষণ করে নিতে পারে। যে কারণে অনেকে একে কৃত্রিম ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণ গহ্বর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

অদ্ভুত রুটি তৈরি

জর্জিয়ায় শপিস পুরিণামে একধরনের রুটি তৈরি করা হয়, যা সাধারণত সব বেলার খাবার হিসাবে খেয়ে থাকেন স্থানীয়রা। এটি দেখতে একেবারে সাধারণ তন্দুর রুটি মত। তবে আপনি নিঃসন্দেহে অবাক হবেন এটি তৈরীর প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয় তা দেখে। এটি বানানোর জন্য ব্যবহার করা হয় বিশাল আকৃতির মাটির তৈরি একটি তন্দুর চুল্লি। আর সাধারণ রুটির মত প্রথমে ময়দার ক্ষামির তৈরি করা হয়। আর এই চুল্লির ভিতরে দেয়ালে আটকে দেয়ার জন্য আক্ষরিক অর্থেই আপনার মাথা ঢুকিয়ে দিতে হবে ওই চুল্লির ভেতর। আর এটি দেখে মনে হবে অনেক টা ড্রাইভ দিয়ে চুলার ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে।

আগনিওগিরিতে স্কিড

আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় কাছে থাকার কথা হয়তো কল্পনাও করতে পারবেনা আপনি। কিন্তু অগ্ন্যুৎপাতও অনেকের কাছে কাঙ্খিত হয়ে উঠতে পারে তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা খুবই কঠিন। 2018 সালের 24 ডিসেম্বর ইউরোপের সবচেয়ে উচু সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মাউন্ট টেকনাই অগ্নুৎপাত হওয়ার পর এখানে ছুটে গিয়েছিলেন কয়েকজন এক্সট্রিম স্পোর্টস ভক্ত ব্যক্তি। আর অবিশ্বাস্য মনে হলেও তাদের উদ্দেশ্য ছিল পর্বতের ঢালে জমা কাল বালি এবং ছায়ার উপর দিয়ে স্নোবোর্ডিং আর স্ক্রিনিং করা। বিষয়টি আপনার কাছে পাগলামি বলে মনে হলেও রোমাঞ্চ আর উত্তেজনা শিকারিদের কাছে আগ্নেয়গিরির ঢালে স্ক্রিনিং করা দারুণ উপভোগ্য। তবে একই সাথে এটা দারুণ বিপজ্জনক ও বটে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!