আজ পবিত্র ঈদুল আযহার ষষ্ঠ দিন।

আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় বন্ধুগণ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আরো একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম। আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত আমার পাশে থাকবেন।

আজ পবিত্র ঈদুল আযহার ষষ্ঠ দিন। ছোটবেলা থেকেই শুনে আসতেছি ঈদ থাকে সাত দিন। এবার ঈদের ছুটিতে অনেক মজা করলাম। আমার ঈদের ছুটি এখনো শেষ হয় নাই তাই এখনো বাড়িতেই আছি।

সকালে ঘুম থেকে উঠে। হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে। সকালের নাস্তা শেষ করলাম। সকালের নাস্তা শেষ করে বাড়ির বাহিরে বের হলাম। বাড়ি থেকে বের হয়ে একটু সামনে এগিয়ে যেতেই দেখি একটা ফাঁকা জায়গায় গ্রামের ছেলে পেলে ফুটবল নিয়ে মেতে উঠেছে।

ছেলেপেলের ফুটবল খেলা দেখে আমারও শৈশবের স্মৃতি মনের ভেতর ভেসে উঠলো। আমিও সেখানে দাঁড়ালাম। সেখানে যারা যারা ফুটবল খেলা করেছিল তারা সকলেই আমার পরিচিত। আমি ফুটবল খেলার স্থানে যেয়ে দাঁড়ানোর সাথে সাথেই আমাকেও খেলার আমন্ত্রণ জানালো। আমি তাদের আমন্ত্রণ সদরে গ্রহণ করলাম কিন্তু আমার পায়ে একটু ব্যাথা থাকার জন্য আমি ফুটবল খেললাম না। আমি তাদেরকে বুঝিয়ে বললাম তারাও বুঝতে পারল যে আমার পায়ে ব্যথা। তাই তারা আর আমাকে জোর করল না।

তারা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে ফুটবল খেলা করছিল। আমি সেখানে বসে থেকে তাদের ফুটবল খেলা উপভোগ করলাম। খেলার হাফ টাইমে তাদের সাথে অনেক কথা বললাম অনেক মজা করলাম। তারা সকলেই আমার পরিচিত ছিল এবং তারা আমার একই গ্রামের লোকজন‌। গ্রামের ছেলেপেলের ফুটবল খেলা দেখে আমার শৈশব কৈশোরের কথা মনে পড়ে গেল। আমিও ছোটবেলায় এরকম অনেক ফুটবল খেলা করেছি। আমাদের গ্রামে খেলার নির্দিষ্ট কোন মাঠ ছিলনা এবং এখনো পর্যন্ত নেই।

মাঠের মধ্যে এইরকম ফাকা জায়গায় কত যে ফুটবল খেলা, ক্রিকেট খেলা করেছি তার হিসাব নাই। একটাই ফুটবল সেই বলেন পিছনে দুই দলের প্লেয়াররাই ছুটছি। কারো কোন নির্দিষ্ট পজিশন নাই বল যেখানে সব প্লেয়াররাই ওইখানে। এক কথায় হচ্ছে যে পজিশনেই খেলি না কেন বল যেখানে আছে সেখানে যেয়ে বল কেড়ে নিয়ে গোল দিতে হবে ।ছোটবেলায় এরকম ফুটবল খেলা করতে যেয়ে কত মারামারি করেছি কত মজা করেছি সেইসব মুহূর্তগুলো সব মনের কোনায় উঁকি দিয়ে উঠলো। তাদের খেলার কিছু মুহূর্ত ক্যামেরায় বন্দি করলাম এবং সেগুলো নিচে দিয়ে দেওয়া হলো।