তনু বলল, ‘কেমন লাগছে হৃদয়পুর?’
‘অপূর্ব!’
‘অপূর্ব! কিছুই তো দেখা হয়নি!’
মনে হলো, তুষার কিছুটা লজ্জা পেল। এখানে লজ্জা পাওয়ারই বা কী আছে, তনু ভেবে পেল না। পায়ে পা লাগায় তনু বলল, ‘সরি।’
‘ইটস ওকে। বৃদ্ধার স্পর্শের চেয়ে তরুণীর পদাঘাতই শ্রেয়।’
তনু তো পুরোপুরি মাননীয় স্ট্যাচু! এর সাথে কীভাবে কাজ করবে ভেবে পাচ্ছে না। ‘ভাঁড়ামি’ করলেও হতো; কিন্তু যেভাবে ‘ভেড়ামি’ শুরু করেছে! পরিস্থিতি বদলানোর জন্য তনু বলল, ‘এখন হৃদয়পুরই দেশের একমাত্র বিশুদ্ধ পরিবেশের স্থান।’
‘নামটাও কী সুন্দর! হৃদয়পুর!’
‘তোর মাথা!’- কথাটা অবশ্য তনু মনে মনে আওড়াল। আর মুখে বলল, ‘প্রতিদিন অনেক মানুষ হৃদয়পুরে ঘুরতে আসে। আমি ইচ্ছে করেই এখানে পোস্টিং নিয়েছিলাম। বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই; তা না হলে তাদেরকেও সঙ্গে রাখতাম।’
তুষার বলতে গেলে বৃত্তাকার হা-মুখে তনুর কথা শুনছে। তনু বলল, ‘জানেন তো, এখানে কিছু সন্দেহজনক ব্যাপার আমি লক্ষ করেছি। তাই হেড অফিসে ইনফর্ম করেছিলাম।’
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!