একুশ তুমি বৃষ্টি প্রজননে জন্ম নেয়া-
ধূসর নীল অশ্রু!
সনাতনি এই আমি
অবেলায়, অচীন সন্ধ্যার মাঠ থেকে
ফিরে যাই ৫২র প্রচ্ছদে-
কি বেদনা বুকে নিয়ে,
অামি শুধু জানি!
অার একঝাক রোদ্দুর নিয়ে বসে থাকা
সূর্যের মত তুমি,
জ্বলন্ত অামাকে কাঁদাও
নিয়ত কাঁদাও!
অামি জানি,বেদনার বিমূর্ত শরীরে
কতখানি ফাল্গুনের ধূলো এসে জড়ো হয়!
বসন্তের বাতাসে নাক ডুবিয়ে-
কুয়াশা মাখা হলুদ চোখ
কি বেদনা লুকিয়ে পার হয়
শূন্য নির্জন মাঠ- অামি তা জানি।
এবার অামি বর্ষার কাছে
ঠিকই চেয়ে নেব দু'ফোঁটা অশ্রু ;
অশ্রুহীন মানবিক জীবন যাপন-
আমাদের হৃদয়কে করেছে শুষ্ক।
এবার একুশ কিছু রোদ ধার দাও তুমি-
অামাদের অশান্ত মনকে শুকিয়ে নিতে।
এক পশলা বৃষ্টি অার কিছু রোদ
দীর্ঘমমেয়াদী চুক্তিতে অানো এবার,
অানো অামাদের দ্বারে।
২১ তুমি বর্ণমালার দিপালী জ্বেলে
এসো সব কুসংস্কারের বেড়াজাল উপড়ে ফেলে।