পাতাকপি বা বাঁধাকপি বাংলাদেশের একটি খুবই সুপরিচিত সবজি। বিশেষ করে শীতের মৌসুমে এই সবজিটি পাওয়া যায়। শীতের শুরু থেকে মোটামুটি শেষ হওয়া পর্যন্ত পুরোটার সময় এই সবজির অ্যাভেলেবলিটি থাকে। খুবই অপরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি সবজি এই বাঁধাকপি বা পাতাকপি। উচু বা ডাঙ্গা খেতে এই সবজিটির চাষ হয়।
বাঁধাকপি সবজি হিসেবে রান্না করে বা সালাদ হিসেবে কাঁচা ও খাওয়া যায়। আমার কাছে রান্না করে খাওয়ার চেয়ে কাঁচা সালাদ হিসেবে খেতে বেশি ভালো লাগে। আমি প্রায় সালাত হিসেবে এই পাতাকপি কুচি করে কেটে টক দইয়ের সাথে মেখে। এটি খুবই সুস্বাদু পুষ্টিকর এবং উপদেয় একটি খাদ্য। কারণ সবুজ শাকসবজি রান্না করার চেয়ে কাঁচা বা সেদ্ধ খেলে বেশি পুষ্টিকর হয়।
তো যাই হোক গতকালকে গিয়েছিলাম আমাদের পাতাকপির ক্ষেতে। সেখানে আব্বু অল্প কিছু জায়গাতে পাতাকপির চাষ করেছেন। ওই একই খেতে মুলা, গাজর, ধনিয়া পাতা, পালন শাক এর পাশাপাশি একটা সাইডে বেশ অনেক জায়গা জুড়ে পাতাকপির চাষ করা হয়েছে। ছবিটি পাতাকপির যেইপাশ থেকে চাষ করা হয়েছে ওই দিক থেকে তুলেছি। গাছগুলোর বয়স খুব বেশিদিন না এজন্য এখনও পর্যন্ত পাতাকপি গুলা ভালোভাবে মাঝখানে বাঁধেনি। মানে একটি পাতাকপি পরিপূর্ণভাবে তৈরি হতে আরো মোটামুটি 15 দিন থেকে ত্রিশ দিন সময় লাগতে পারে।
ডিভাইস | স্যামসাং এস ২১ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @surzo |
লোকেশন | ফুলবাড়ি, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
শীতকালে বাজারে পাতাকপির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। শীতের সরু দেখে পাতাকপির চাহিদা অনুযায়ী যোগান কম থাকায় এর দাম অনেকটাই বেশি ছিল। আস্তে আস্তে চার্জ করা পাতাকপি গুলো বাজারে আসতে থাকায় চাহিদা অনুযায়ী যোগান ঠিকমতো হওয়াতে এর দাম অনেকটাই কমে যাচ্ছে। আমাদের যে পাতাকপি গুলা যে ঠিক যেই সময় বাজারে আসবে ততদিনে মনে হয় দাম অনেকটাই কম থাকবে। তো যাই হোক বাঁধাকপি খেতে ঘুরতে গিয়ে একটি ছবি তুলেছিলাম এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম।