গত পর্বের পর...
রিমার মনের মধ্যে হুসসফুস করছে কখন বাড়ি গিয়ে ডাল দুটি রমন করবে। নতুন ফুল গাছের সন্ধান পেলেই রিমার যেন মনের মধ্যে আনন্দে নিচে ওঠে। বিকাল বেলা মামার বাড়ির বেড়ানো শেষ করে তারা বাড়ির দিকে রওনা দিল। সন্ধ্যা হওয়ার কিছুক্ষণ আগে বাড়িতে পৌঁছালো। রিমা বাড়িতে এসেই ফ্রেস হয়ে তাড়াতাড়ি মামা বাড়ি থেকে আনা ওই অজানা ফুল গাছের ডাল দুটি নিয়ে চলে গেল তার বিশাল বাগানে। গিয়ে দেখে তার রঙ্গন গাছে বেশ কয়েকটি বড় বড় ফুলের থোকা ধরেছে। দেখে তো তার মন আনন্দে ভরে গেল। এখন তাকে ডাল দুটি যত্ন সহকারে রোপন করতে হবে। তাই সেদিকে মন দিল।
সে সুন্দর করে ডাল দুটির গোড়া গুলো পরিচর্যা করে নিল। তারপর মাটিতে সুন্দর করে গর্ত করে সেগুলোকে ভালো করে পরিচর্যা করে ডাল দুটি রোপন করল। এবং এরপরে পানি দিল। কিছুক্ষণ পর মাগরিবের আজান হয়ে গেল আর রিমা বাড়িতে চলে গেল। পরের দিন সকালবেলা ফজরের নামাজ পড়েই রিমা চলে গেল তার বাগানে। সব গাছগুলোকে অল্প অল্প করে পানি দিল। তারপর নতুন সেই ডাল দুটির দিকে গেল। ডাল দুটি দেখে কিছুটা মন খারাপ হলো রিমার। কারণ ডাল দুটি কেমন জানি মরা মরা লাগছে। যদিও রিমা জানে নতুন ডাল লাগালে প্রথম দিকে একটু এরকম হয় পরবর্তীতে যত্ন নিলে সেগুলো তরতাজা হয়ে যায়। সীমা বাগান এবং গাছপালা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন ও এক্সপার্ট। এরপরে বেশ কিছুদিন যত্ন নেওয়ার পরে ডালগুলো তরতাজা হয়ে গেল এবং একটা ছোট্ট কমলা রঙের ফুলের করি দেখা গেল। রিমা তো আনন্দে নেচে উঠলো।
ডিভাইস | স্যামসাং এস ২১ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @surzo |
লোকেশন | ফুলবাড়ি, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
রিমার খুশি আর দেখে কে। সে তার মা ও বাবাকে বাগানে নিয়ে এসে দেখালোর ওই নতুন ডাল থেকে হাওয়া ফুল গাছে করি ধরেছে সেটা। তার মা-বাবাও দেখে অনেক খুশি হল। রিমার বাগানে এখন অনেকগুলো ফুলের গাছ ও ফুলের রমরম করছে। সে আরও ফুল গাছ লাগাতে চাই। সে তার বাগানকে আরো বড় এবং ফুলে ভরিয়ে রাখতে চাই। সে বিশ্বাস করে পুরো পৃথিবীটা যেন ভরে যায় ফুলে ফুলে। আর মানুষের মনগুলো যেন ফুলের মত নরম এবং স্নিগ্ধ হয়ে যায়।