Blue Whale games থেকে সাবধানsteemCreated with Sketch.

in games •  7 years ago 

Blue Whale games থেকে সাবধান,,,,,
যা আপনার মৃত্যু ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না
-------------------­-------------------­-------------------­
আত্মঘাতি গেইমস এর নাম ব্লু হোয়েল (Blue whale) জেনে নিন এই গেমের কিছু গোপন তথ্য।
বাংলাদেশেও পৌঁছে গেছে ‘ব্লু হোয়েল’ গেমস। আর এই গেমসের নেশায় পড়ে রাজধানীতে আত্মহত্যা করেছে এক কিশোরী। তাই ভাবলাম বিষয়টি নিয়ে কিছু লিখা দরকার।
অ্যাপ স্টোর, প্লে স্টোর, ইন্টারনেট বা গুগল কোথাও খুঁজে পাবেন না এই ‘ব্লু হোয়েল’ গেম। খুঁজে পেতে পারেন কারো পাঠানো কোনো গোপন লিংকের মাধ্যমে। এটি একটি সুইসাইড গেইম অর্থাৎ গেম খেললে মৃত্যু অনিবার্য।
‘ব্লু হোয়েল’ বা Blue whale এর অর্থ নীল তিমি। নীল তিমিরা মৃত্যুর আগে সাগরের তীরে উঠে আসে - তারা আত্মহত্যা করে বলে অনেকের ধারণা! একারণেই গেমের নাম রাখা হয়েছে Blue whale বা নীল তিমি। মনে রাখবেন - গেমটি বাধ্য করে তার ইনস্টলকারীকে সবগুলো স্তর খেলার জন্য।
‘ব্লু হোয়েল’ গেমটি ৫০ টি লেভেলে বিভক্ত। F57 নামক রাশিয়ান হ্যাকার টিম গেমটি তৈরি করে। ২০১৩ সালে তৈরি হয়েছিলো গেমটি, কিন্তু ২০১৫ সালে VK. com নামক সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয়তা পায় এবং প্রচুর ডাউনলোড হয় গেমটি। ফিলিপ বুদেকিন নামক রুশ হ্যাকার যে কিনা সাইকোলজির ছাত্র ছিল এবং ভার্সিটি থেকে বহিষ্কার হয়েছিলো - তার মাথার বুদ্ধি থেকেই জন্ম নেয় এই গেমটি। রাশিয়ান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে গ্রেফতারের পর সে জানায় হতাশাগ্রস্তদের পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেবার জন্যই সে গেমটি বানিয়েছে। হতাশাগ্রস্তদের পৃথিবীত বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই ।
রাশিয়ায় এ গেম খেলে মৃতের সংখ্যা ১৫১ জন, এবং রাশিয়ার বাইরে মারা গেছে ৫০ জন। জুলিয়া ওভা ও ভের্নিকা ওভা নামক দুই বোন প্রথম এই গেইমের শিকার। গেমটির ৫০ তম লেভেলে গিয়ে ছাদ থেকে লাফিয়ে ওরা সুইসাইড করেছিলো। জুলিয়া ওভা মৃত্যুর ঠিক আগে সোশাল নেটওয়ার্কে নীল তিমির ছবি আপলোড দিয়ে লিখেছিলো - The end !
গেমটি মূলত একটি ডার্ক ওয়েভের (dark wave) গেম। ডার্ক ওয়েভ হলো ইন্টারনেটের অন্ধকার জগৎ। মনে রাখবেন গেমটি আপনি একবার ডাউনলোড করলে আর কখনোই আনইনস্টল করতে পারবেন না। গেমটি আপনার ফোনের সিস্টেমে ঢুকে আপনার আপনার আইপি এড্রেস, মেইলের পাসওয়ার্ড, ফেসবুক পাসওয়ার্ড, কনট্যাক্ট লিস্ট, গ্যালারি ফটো এমনকি আপনার ব্যাংক ইনফর্মেশান, আপনার লোকেশান ও তারা জেনে নিচ্ছে।
‘ব্লু হোয়েল’ গেম ওপেন করা মাত্র আপনাকে একজন এডমিন পরিচালনা শুরু করবে। আপনাকে জিজ্ঞেস করবে - ‘গেমটি’ খেলা শুরু করলে আপনি কোনোভাবেই এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন না, আপনি সর্বশেষে মৃত্যুবরণও করতে পারেন-আপনি কি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে আগ্রহী ? `
আপনি ইয়েস বা নো অপশনের মধ্যে ‘ইয়েস’ অপশন ক্লিক করা মাত্রই পা দিয়ে দেবেন মৃত্যু ফাঁদে।
গেমটির প্রথম দশটা লেভেল খুবই আকর্ষনীয়। ইউজার এডমিন কিছু মজার মজার নির্দেশনা দেন - যেমন রাত তিনটায় ঘুম থেকে উঠে হরর ছবি দেখা, হৈ হুল্লোড় করা, উঁচু ছাদের কিনারায় হাঁটাহাঁটি করা, পছন্দের খাবার খাওয়া ইত্যাদি নির্দেশনা দিতে দিতে এডমিন হাতিয়ে নেবেন আপনার পার্সোনাল ইনফরমেশন। প্রথম ১০টা লেভেল পার করার পর আপনাকে তৈরি করা হবে পরবর্তী দশটি লেভেলের জন্য। পনের লেভেল পর্যন্ত চলবে আপনার ইনফরমেশান হাতানোর কাজ।
পনেরো লেভেলের পর আপনাকে কঠিন মিশন দেয়া শুরু হবে। যেমন অ্যাডমিন আপনাকে বলতে পারে আপনার হাতে ব্লেড দিয়ে নীল তিমির ছবি আঁকুন।
প্রথম বিশটা চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করার পর অ্যাডমিন তার কৌশল পরিবর্তন করতে শুরু করে। আপনি টেরই পাবেন না প্রথম বিশ ধাপে সংগ্রহ করে ফেলা আপনার তথ্যের উপর ভিত্তি করে আপনাকে মোহাক্রান্ত বা হিপনোসিস পদ্ধতি প্রয়োগ শুরু করা হবে।
আপনি তখন ভাববেন এই গেম ছাড়া আপনার বেঁচে থাকা অসম্ভব। আপনাকে শীতের দিনে খালি গায়ে ঘুরতে বলা হবে। বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি করা। বন্ধুর মোবাইল চুরি করা। আপনার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুটার সাথে দুর্ব্যবহারের মিশন দেয়া হবে আপনাকে। আবার এসবের প্রমাণের ছবি বা ফটো এডমিনকে পাঠাতে হবে আপনার।
এভাবেই কৌশলে বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের থেকে কৌশলে আলাদা করে ফেলা হবে আপনাকে এবং আপনি পৌঁছে যাবেন পঁচিশ লেভেলে।
পঁচিশ লেভেলের পর নির্দেশনা আসবে মাদক বা ড্রাগ নেবার। এভাবেই সম্মোহিত করে করে আপনাকে তিরিশ লেভেল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। তিরিশতম লেভেল আপনি অতিক্রম করার পর গেম এডমিন হঠাৎ আপনার সাথে একটু চিট শুরু করবে। একত্রিশ তম লেভেল আনলক করবে না। এদিকে আপনি হয়ে উঠবেন ক্রেজী।
তারপর কিছুদিন আপনাকে সারপ্রাইজ দিয়ে হঠাৎ এডমিন - বলবে একত্রিশ তম লেভেল আনলকড। আপনার নগ্ন ছবি চাওয়া হবে এই স্তরে। আপনি হিপনোসিস ও মাদকের কারণে নিজের নগ্ন ছবি পাঠাতেও চিন্তা করবেন না। ড্রাগ নেবার মাত্রা বাড়াতে থাকবেন আপনি। এরপর নির্দেশনা আসবে আপনার ভালোবাসার মানুষের সাথে সেক্স করে গোপনে ছবি তুলে আপলোড করতে বা নিজের শরীরে একাধারে শ খানেক সুঁই ফোটাতে এবং ফটো আপলোড করে পাঠাতে।
এভাবেই চলে যাবেন আপনি চল্লিশ তম লেভেলে।
এবার আপনি ভীত হয়ে গেমার টিমকে অনুরোধ করবেন আপনাকে মুক্তি দেবার জন্য। আপনি কাঁদবেন, হাতজোড় করবেন, চাইবেন গেমটি আনইনস্টল করার জন্য। তখন শুরু হবে ব্ল্যাকমেইলিং। গেমার টিম বা এডমিন তখন আপনারই পাঠানো সকল তথ্য ফাঁস করে দেবার হুমকি দিবে। আপনি বাধ্য হয়ে প্রবেশ করবেন একচল্লিশ তম স্তরে।


একচল্লিশ থেকে ৪৯তম লেভেলে আপনি প্রচন্ড হতাশ আর মাদকাসক্ত হবেন। ৪৯তম স্তরে আপনাকে মুক্তির শর্ত দেয়া হবে। বলা হবে আপনাকে নিজের শরীরে অ্যানাসথেসিয়ার ড্রাগ ক্যাটামিন পুশ করে তাদেরকে ছবি পাঠাতে এবং নিশ্চিত দশ তলার চেয়েও উঁচু কোনো ছাদের একেবারে কিনারায় দাঁড়িয়ে যদি সেলফি আপলোড দিতে পারেন তবে আপনি মুক্ত।
আপনি সেটা পারবেন না আর কারণ শরীরে পুশ করা ক্যাটামিন আপনার মস্তিষ্কে চলে যাবে ততোক্ষণে। আপনি মোবাইলের স্ক্রীণে তখন নির্দেশ আসবে ‘নিচের দিকে তাকাও! লাফ দাও, মুক্তি পাও’। আপনি মুক্তি পেতে গিয়ে আত্মহত্যা করবেন।maxresdefault.jpg
এই ব্লু হোয়েল গেমটিতে ব্যবহার করা হয়েছে চমৎকার গ্রাফিক্স, ব্যাক গ্রাউন্ড মিউজিক ভীষণ করুন। All i want I Ranway গানের

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

good

tnx

back dilam bro

tnx