রাতে অনেক দেরি এবং বাইরে ঠান্ডা। সুমন অফিস থেকে হেঁটে গ্রামের দিকে যাচ্ছে। গ্রামটি একটি বড় জঙ্গলে ঘেরা এবং পথটি অন্ধকার, চাঁদের সামান্য আলোতে।
গ্রামে, একটি ভয়ঙ্কর পুরানো বাড়ি রয়েছে যেখানে লোকেরা মনে করে একটি ভূত বাস করে। সুমন সাধারনত ভূত বিশ্বাস করে না, কিন্তু আজ সে একটু ভয় পেল। তারপর সে তার নাম বলতে একটি ফিসফিস শুনতে পেল, কিন্তু সেখানে কেউ ছিল না।
দ্রুত পায়ে হেঁটে বাড়ির দিকে এলো সুমন। কিন্তু যতই তিনি হাঁটতেন, রাস্তা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে থাকে। সে হঠাৎ রাস্তার পাশে একটা ছায়া দেখতে পেল। সেখানে একজন মহিলা দাঁড়িয়েছিলেন, তার মুখ অন্ধকারে ঢাকা। সুমন সাহস করে জিজ্ঞেস করল, তুমি কে?
ভদ্রমহিলা তার মুখ খুললেন এবং ভয় পেয়ে গেলেন। তিনি লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলেন কেন তারা সেখানে ছিল। লোকটি কথা বলতে পারল না এবং শুধু কাঁপতে লাগল।
হঠাৎ করেই মহিলাটি কিছুতেই অদৃশ্য হয়ে গেল। সুমন বুঝল সে শুধু একজন সাধারণ মানুষ নয় - সে পুরনো বাড়িতে বসবাসকারী ভূত। সুমন দ্রুত দৌড়ে গেল, কিন্তু মনে হল কেউ বা কিছু তাকে তাড়া করছে।
বাড়ি ফিরে সুমন দরজায় তালা দিল এবং অনুভব করল তার হৃদস্পন্দন দ্রুত হচ্ছে। তিনি জানতেন যে তিনি এই রাতটি সর্বদা মনে রাখবেন এবং ভবিষ্যতে কী ঘটতে পারে তা নিয়ে ভীত হবেন।
পরের দিন সকালে গ্রামবাসীরা সুমনের দরজার সামনে লাল চিহ্ন দেখতে পান, যার অর্থ আত্মা এখনও তার সাথে ছিল। সুমনকে এখন অন্যরকম দেখাচ্ছে এবং সেই রাতে ঘটে যাওয়া ভীতিকর জিনিসগুলির কারণে তার চোখে সবসময় খালি লাগে।