বেস্টফ্রেন্ড বউ। পার্ট -১

in grow •  5 months ago 

সকালবেলা ঘুমাইতেছি এমন সময় পুরো খাট কাঁপতেছে, আমি ভাবছি ভূমিকম্প হইতেছে। তাড়াতাড়ি উঠে দৌড় দিছি, একটু দূরে গিয়ে দেখি ভূমিকম্প টা শুধু আমার বিছানার উপর হইতেছে। গিয়ে দেখি মোবাইলে কল আসছে। মোবাইল vibration mode ছিলো আমার জানা ছিলো না। মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি তন্নির কল। কলটা রিসিভ করতেই বলতে শুরু করলো....

তন্নিঃ ওই কু*ত্তা, কল ধরিস না কেন?

আমিঃ সরি রে ঘুমে ছিলাম। এবার বল এতো সকাল সকাল কল দিলি কেন?

তন্নিঃ আজকে একটু তাড়াতাড়ি ক্যাম্পাসে আছিস। তোদের একটা গুড নিউজ দিবো।

আমিঃ কি গুড নিউজ?

তন্নিঃ সেটা ক্যাম্পাসে এলে দেখতে পারবি। আর সানি, আরমানকেও বলে দিস, তাড়াতাড়ি আসার জন্য। আমি ফারিয়াকে বলে দিছি।

আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে। এখন ফোন রাখ, ফ্রেশ হবো।

তন্নিঃ ওকে

টুট টুট টুট কলটা কেটে দিলো। আমি উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। চলেন ফ্রেশ হতে হতে আপনাদের পরিচয় টা দিয়ে দিই। আমি রাকিব, আপাতত স্টুডেন্ট লাইফে আছি। একটু আগে যে কল করেছিলো সে আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তন্নি।

ফ্রেশ হওয়া শেষ। নাস্তা করে ক্যাম্পাসে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি আমি ছাড়া সবাই বসে আছে। আমি যাওয়ার পর পরই তন্নি রাগ লুক নিয়ে আমাকে বললো...

তন্নিঃ কিরে হারামি তোকে আজকে একটু তাড়াতাড়ি আসতে বললাম আর তুই আজকে দেরি করে আসলি?

আমিঃ সরি রে, রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলো।

সানিঃ তোর জন্য তো সব সময় জ্যাম থাকে। আমরা রাস্তা দিয়ে আসি না?

আমিঃ এই তুই চুপ থাক। সব সময় শুধু চামচামি করস।

ফারিয়াঃ আচ্ছা বাদ দেনা, এখন তন্নি কি বলবি তাড়াতাড়ি বল। আমরা ক্লাসে চলে যাবো।

তন্নিঃ আজকে কোনো ক্লাস হবে না। আজকে আমরা একটা পার্টি দিবো।

সানিঃ দেখ এখন এগুলো করার সময় নেই। অন্যদিন করবো। আগে বল তোর কি কথা আছে।

তন্নিঃ দোস্ত আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। ছেলে অনেক বড় ব্যবসায়ী। কালকে আমাকে রিং পড়িয়ে দিয়ে গেছে।

তন্নির কথা শুনে আমার মাথার উপর যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। সেই কলেজ লাইফ থেকে তন্নিকে আমি অনেক ভালোবাসি কিন্তু ফ্রেন্ডশিপ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে কখনো বলতে পারিনি। আমি চেয়েছিলাম আগে নিজে নিজের পায়ে দাঁড়াই, ভালো একটা চাকরী পাই তারপর তন্নিকে আমার মনের কথা বলবো। কিন্তু এটা কি হলো। না আমি কিছু ভাবতে পারছি না। আমার মাথা ব্যথা করতেছে।

এদিকে সানি, আরমান আর ফারিয়া তন্নিকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। আমার নীরবতা দেখে তন্নি বললো...

তন্নিঃ কিরে তোর আবার কি হইছে? তুই খুশি হসনি?

আমি তাড়াহুড়া করে বললাম...

আমিঃ হুম আমি অনেক খুশি হইছি।

তন্নিঃ তাহলে তুই এইভাবে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?

আমিঃ দোস্ত তুই সত্যিই বিয়েটা করবি?

তন্নিঃ হুম অবশ্যই, এর থেকে ভালো ছেলে আর কোথায় পাবো আর তাছাড়া বিয়ের বয়সও হয়ে গেছে।

আমিঃ.......... (চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম)

আরমানঃ আচ্ছা বাদ দেতো, এখন বল বিয়ে কখন?

তন্নিঃ এইতো আগামী শুক্রবার। তোরা সবাই অবশ্যই আসবি। এই নে কার্ড।

একথা বলে আমাদের সবাইকে একটা করে কার্ড দেয়। আমার কেন জানি বুক ফেটে কান্না আসছে। মনে হচ্ছে আমার জীবন থেকে অনেক বড় কিছু একটা চলে যাচ্ছে। নিজের অজান্তেই চোখের কোণে পানি চলে আসলো। আমার এমন অবস্থা দেখে তন্নি বললো...

তন্নিঃ কিরে কি হইছে তোর? কাঁদতেছিস কেন!

আমি তাড়াতাড়ি চোখের পানি মুছে বললাম...

আমিঃ আরে না, এমনি। তোর বিয়ে হবে শুনে খুশিতে চোখে পানি চলে আসলো।

তন্নিঃ পাল! আচ্ছা শুন। রায়হান কল দিচ্ছে। আমি একটু বাইরে যাচ্ছি। তোরা থাক।

আরমানঃ এই রায়হান টা আবার কে?

তন্নিঃ আরে তোদের দুলাভাই। আচ্ছা থাক পরে কথা হবে, Bye Bye

তন্নি চলে গেলো, আমি অভাক দৃষ্টিতে ওর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি। আস্তে আস্তে চোখটা ঝাপসা হয়ে গেলো। মনে হয় আবার পানি এসে জমা হয়ে গেছে।

এমন সময় ফারিয়া বললো....

ফারিয়াঃ আচ্ছা আমি ক্লাসে যাচ্ছি। তোরা কেউ যাবি?

সানিঃ তুই যা, আমরা একটু পর আসছি।

ফারিয়াঃ আচ্ছা ঠিক আছে।

তারপর সানি আর আরমান আমার কাছে এসে বলে...

সানিঃ কিরে ঘটনা কি?

আমিঃ কিসের ঘটনা?

আরমানঃ তোর চোখে পানি কেন?

আমিঃ এমনি পানি চলে আসছে।

সানিঃ তুই কি ভাবছিস আমরা কিছু বুঝি না? আমরা তোর বন্ধুনা?

আরমানঃ এখনো সময় আছে, বলে দে তুই যে তন্নিকে ভালোবাসিস।

আমিঃ কিসব বলছিস তোরা?

সানিঃ দেখ এখন নাটক করার সময় নেই, যদি সত্যিই ভালোবাসিস তাহলে তাকে বলে দে। কিছু হবে না, আমরা আছি।

আমি আর কিছু না বলে সোজা ক্যাম্পাস থেকে বাসায় চলে আসলাম। সোজা রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। তন্নির কথা ভাবছি আর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। ওর কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি মনে নেই।

ঘুম থেকে উঠে দেখি সন্ধ্যা হয়ে গেছে। সেই ১১.০০ টার সময় ঘুমাইছি আর এখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে। তন্নির কথা মাথা থেকে কিছুতেই যাচ্ছে না। এরমধ্যে আম্মু আমার রুমে আসে এবং বলে...

আম্মুঃ কিরে এই অবস্থা হইছে কেন তোর?

আমিঃ কি হইছে আমার!

আম্মুঃ চোখ, মুখ লাল হয়ে আছে। দেখে মনে হচ্ছে তুই কান্না করেছিস.

আমিঃ আরে পাল নাকি, আমি কেন কান্না করবো! অসময়ে ঘুমাইছি তাই হয়তো চোখ লাল হয়ে আছে। পানি দিলে ঠিক হয়ে যাবে।

আম্মুঃ আচ্ছা ঠিক আছে ফ্রেশ হয়ে আয়, আমি চা নিয়ে আসতেছি।

এরপর ফ্রেশ হয়ে চা খেয়ে সাদে চলে গেলাম। এককোণে গিয়ে বসলাম আর চাঁদটার দিকে তাকিয়ে আছি। মনের মধ্যে শুধু তন্নির সাথে কাটানো সময় গুলো উঁকি দিচ্ছে।

খুব ইচ্ছে করছে চিৎকার দিয়ে বলি "তন্নি আমি তোকে ভালোবাসি, অনেক ভালোবাসি। কিন্তু পারছি না। মনের মধ্যে অজানা একটা ভয় চেপে রেখেছে। একটু পর দেখলাম তন্নি কল করেছে। কলটা ধরতে ইচ্ছে করছে না। কয়েকবার দেওয়ার পর রিসিভ করলাম.....

তন্নিঃ কিরে তুই কল ধরিস না কেন?

আমিঃ একটু ব্যস্ত ছিলাম। কি বলবি বল।

তন্নিঃ শুননা দোস্ত কালকে আমরা শপিং করতে যাবো। তুইও আমাদের সাথে যাবি।

আমিঃ সরি আমি পারবো না। তুই সানি বা আরমানকে নিয়ে যা। তাছাড়া ফারিয়াতো তোর সাথে আছেই।

তন্নিঃ না ওরা কেউ যাবে না। প্লিজ তুই চল।

আমিঃ দেখ আমার একটু কাজ আছে। আমি যেতে পারবো না।

তন্নিঃ আমি এতো কিছু বুঝি না, তুই যাবি।

এরপর সে কলটা কেটে দিলো। এমনিতে ওর জন্য অনেক কষ্ট হচ্ছে, এরমধ্যে যদি শপিং এ যাই তাহলে আমার মাথা আরো খারাপ হয়ে যাবে। না কিছুই মাথায় ঢুকছে না। যা হওয়ার তা পরে হবে। আমি কালকেই তন্নিকে আমার মনের কথা বলে দিবো।

পরেরদিন ঘুম ভাঙ্গলো তন্নির কলে, মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি ২২ টা কল দিছে। তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে তন্নিকে একটা টেক্সট পাঠালাম যে আমি আসছি।

সারাদিন তন্নির সাথে শপিং করলাম, কথা গুলো বলতে চেয়েও পারলাম না। কেমন জানি অস্বস্তি লাগছে। তন্নির দিকে খেয়াল করে দেখলাম ও অনেক খুশি। এখন কথা গুলো কিভাবে বলবো, যদি ফ্রেন্ডশিপ নষ্ট করে ফেলে?

আমি আর কিছু না ভেবে সোজা বাসায় চলে আসলাম। চিন্তা করলাম এখানে আর থাকবো না। তন্নিকে চোখের সামনে অন্য কারো হতে দিতে পারবো না।

মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম তন্নিকে সব কথা খুলে বলবো, যদি সে রাজি হয় তাহলে এখানে থেকে যাবো আর যদি রাজি না হয় তাহলে দেশের বাইরে চলে যাবো। তাড়াতাড়ি করে আম্মুর কাছে গেলাম। গিয়ে বললাম....

আমিঃ আম্মু আমি বাইরে চলে যাবো। এখানে আর পড়ালেখা করবো না।

আম্মুঃ তুই না বলেছিলি এখানে তুই বন্ধুদের সাথে থাকবি, বাইরে যাবি না।

আমিঃ সেটা আগে বলেছিলাম। এখন আমি আর দেশে থাকবো না। তুমি আব্বুকে ভিসা প্রসেসিং করতে বলো । আমি শুক্রবারের আগে চলে যাবো।

আম্মুঃ এতো তাড়াতাড়ি কি হবে? সময় লাগবে।

আমিঃ এতো কিছু আমি জানি না। আমি শুক্রবারের আগে যেতে চাই।

আম্মুঃ আচ্ছা তোর আব্বু বাসায় আসুক আমি তারসাথে কথা বলবো।

আমি আর কিছু না বলে সোজা নিজের রুমে চলে গেলাম। বসে বসে ভাবতে লাগলাম তন্নি কি আমাকে মেনে নিবে? নাকি আমাদের বন্ধুত্বটাই নষ্ট করে দিবে!

যেটা হবে হোক, আমি বলবোই। এইভাবে ২ দিন চলে গেলো। তন্নির বিয়ের তারিখটাও চলে আসলো। বৃহস্পতিবার বিকালবেলা সানি আর আরমান আমাদের বাসায় এসে বসে আছে। কারণ একসাথে তন্নির হলুদে যাবে। আমার মোবাইল বন্ধ দেখে বাসায় চলে আসছে।

আমিও গেলাম, দেখলাম ওরা বাবার সাথে কি যেন আলাপ করতেছে,আমাকে দেখে সবাই চুপ হয়ে গেলো। এরপর বাবা আমাকে বললো....

বাবাঃ তন্নির বিয়ে আগে বলতি, তোর ফ্লাইট কয়েকদিন পরে করতাম।

আমি কিছু না বলে উঠে চলে যাচ্ছিলাম এমন সময় বাবা বলে...

বাবাঃ শুন কোথায় যাচ্ছিস?

আমিঃ বাবা ওদের সাথে যাচ্ছি।

বাবাঃ আচ্ছা যেখানেই যা, তাড়াতাড়ি আসিস। আজরাত ৯.০০ টায় তোর ফ্লাইট। কথাটা যেন মাথায় থাকে।

সানি আর আরমান আমাদের কথা শুনে হা করে দাঁড়িয়ে আছে। হয়তো ভাবছে এতো অল্প সময়ের ভিতরে কিভাবে কি করলাম। এবং ওদের না জানিয়ে, এরপর আমি উঠে রেডি হয়ে ওদের সাথে তন্নির বাসায় চলে গেলাম।

ওখানে যাওয়ার পর আমাদের আরো অনেক গুলো বন্ধুকে দেখলাম। সানি আর আরমান ব্যস্ত হয়ে গেছে। আমি একপাশে গিয়ে বসে আছি। আর তন্নিকে খুঁজতেছি। কিন্তু দেখতেছি না, মনে হয় সাজতেছে।

একটু পর তন্নি বের হয়ে আসলো, সাথে আরো কতোগুলো মেয়ে সহ। আজকে তাকে অনেক সুন্দর লাগছে। যেকেউ দেখলেই প্রেমে পড়ে যাবে। আমারও আর ব্যতিক্রম কিছু হলো না। ওর দিকে হা করে তাকিয়ে আছি।

একটু পর তার ধাক্কায় বাস্তবে ফিরে এলাম...

তন্নিঃ কিরে এইভাবে হা করে কি দেখছিস?

আমিঃ কিছু না। (মাথা নিচু করে)। তন্নি তোর সাথে আমার কিছু সিরিয়াস কথা আছে।

তন্নিঃ কি কথা বল!

আমিঃ এখানে না, সাদে চল।

তন্নিঃ এখন সাদে যাবো! আচ্ছা ঠিক আছে চল।

তারপর আমি আর তন্নি সাদে গেলাম, গিয়ে আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম। আমার নীরবতা দেখে তন্নি বললো...

তন্নিঃ কিরে চুপ কেন, কি বলবি তাড়াতাড়ি বল। আমার নিচে অনেক কাজ আছে।

আমিঃ তন্নি তোকে আমি ভালোবাসি, সেই যেদিন তোকে প্রথম দেখেছিলাম সেদিন থেকে। তোর আমার ফ্রেন্ডশিপ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে আমি এতো দিন কিছু বলিনি।

তন্নিঃ দেখ এখন মঝা করার সময় না। কি বলবি বল, আমি নিচে চলে যাচ্ছি।

আমিঃ তন্নি বিশ্বাস কর আমি সত্যিই তোকে অনেক ভালোবাসি।

তন্নিঃ দেখ ফাইজলামি বন্ধ কর, নাটক দেখে দেখে তুইও নাটক শুরু করে দিয়েছিস।

আমিঃ আমি সত্যিই তোকে অনেক ভালোবাসি। তন্নি তোকে ছাড়া আমি আমার জীবন কল্পনা করতে পারি নারে। প্লিজ তুই বিয়েটা বন্ধ করে দে।

তন্নিঃ দেখ তোর ড্রামা বন্ধ কর। কালকে আমার বিয়ে আর তুই বলছিস বিয়ে বন্ধ করতে! ছিঃ তুই এতো নিচ আগে জানতাম না। তুই জাস্ট আমার ফ্রেন্ড এর থেকে বেশি কিছু না।

আমিঃ আমি তোকে অনেকবার বলতে চেয়েও পারিনি। আমি সত্যি বলছি আমি তোকে অনেক ভালোবাসি।

একথা বলে আমি তন্নির গালে একটা কিস বসিয়ে দিই, আর সে রাগি ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে অনেক জোরে একটা ধাক্কা দেয়। এবং ঠাসসসস ঠাসসসস, দু গালে চড় বসিয়ে দেয়। আর বলতে থাকে....

তন্নিঃ ছিঃ আমার ভাবতেই অবাক লাগে তোর মতো ছেলের সাথে আমি ফ্রেন্ডশিপ করেছি তাও আবার বেস্ট ফ্রেন্ড।

আমিঃ..........

তন্নিঃ কালকে আমার বিয়ে আর তুই আজকে এসেছিস আমাকে প্রপোজ করতে! তোর একটুও লজ্জা সরম নেই?

আমিঃ তুই আমার কথাটা শোন।

তন্নিঃ তোর কোনো কথাই আমি শুনবো না, তুই এখনিই আমাদের বাসা থেকে চলে যা তোকে যেন আর কোনো দিন আমার সামনে না দেখি, তোর আর আমার ফ্রেন্ডশিপ এখানেই শেষ। আজ থেকে তুই আমার সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করার চেষ্টা করবি না।

আমিঃ তন্নি প্লিজ আমার কথাটা শোন.....(পুরোটা বলতে না দিয়ে)

তন্নিঃ তোর সাথে আর কোনো কথা নাই। তুই এখান থেকে চলে যা নাহলে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিবো।

আমি আর কিছু না বলে চোখ মুছতে মুছতে সেখান থেকে বেরিয়ে গেলাম।

এরপরেই তো.......

গল্পঃ বেষ্টফ্রেন্ড বউ
পর্বঃ ০১
মারুফ আহমেদ পারভেজ

চলবে.......
To be Continue........

1000009823.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!