আমি যখন ছোট ছিলাম, আমি ধানের ক্ষেত এবং ঘন জঙ্গলে ঘেরা একটি গ্রামে থাকতাম। এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে, একটি পুরানো, পরিত্যক্ত প্রাসাদ ছিল যেটিকে গ্রামবাসীরা অভিশপ্ত মনে করত। এই গল্পটি, যা আমি প্রথম হাতে অনুভব করেছি, আজও আমার সাথে রয়েছে।
এটি একটি ঝড়ো সন্ধ্যা শুরু হয়েছিল যখন কয়েক বন্ধু এবং আমি পরিত্যক্ত বাড়িটি দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। গ্রামের প্রবীণরা আমাদেরকে এ ব্যাপারে কঠোরভাবে সতর্ক করেছিলেন, কিন্তু আমাদের কুসংস্কারের চেয়ে আমাদের কৌতূহল ছিল প্রবল।
আমরা বাড়ির কাছে আসার সাথে সাথে আমরা একটি ভয়ঙ্কর নীরবতা অনুভব করেছি, কেবল বাতাসের চিৎকারে ভেঙে গেছে। প্রাসাদের ক্ষত-বিক্ষত জানালাগুলো আমাদের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল, এবং দরজাগুলো বাতাসে অশুভভাবে চিৎকার করে উঠল।
আমার অস্বস্তি বোধ সত্ত্বেও আমরা সাহস করে ঘরে ঢুকলাম। কিন্তু যত তাড়াতাড়ি আমরা দোরগোড়ায় পা রাখি, আমি এক অবর্ণনীয় ঠান্ডায় কাবু হয়েছিলাম যা আমার শিরায় রক্ত জমাট বেঁধেছিল। পুরানো কাঠের মেঝেতে পায়ের আওয়াজ শুনে আমার মেরুদন্ড বেয়ে একটা কাঁপুনি বয়ে গেল।
হঠাৎ আমাদের চারপাশের বাতাস ঘন এবং নিপীড়ক হয়ে উঠল। দেয়ালে ছায়াগুলো নাচছে, আর মনে হচ্ছিল সব জায়গা থেকে ক্রীকিং ও স্ক্র্যাচিং আসছে। আতঙ্ক আমাদের ধরে ফেলল এবং আমরা আমাদের পা আমাদের বহন করার মতো দ্রুত ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে পড়লাম।
একবার আমরা পরিত্যক্ত বাড়ির নাগালের বাইরে নিরাপদে অনুভব করলে, আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। কিন্তু সেই সন্ধ্যার স্মৃতি যখন আমরা ভূতের সাথে দেখা করেছি চিরকাল আমার সাথে থাকবে।
তারপর থেকে, আমি পরিত্যক্ত ভবন এবং রহস্যময় স্থান থেকে একটি সম্মানজনক দূরত্ব বজায় রেখেছি। অভিশপ্ত বাড়ির গল্পটি আমাকে শিখিয়েছে যে কিছু জিনিস অনাবিষ্কৃত রেখে যাওয়া ভাল, এবং কখনও কখনও গ্রামের প্রবীণদের সতর্কতা অনুসরণ করা বুদ্ধিমানের কাজ।