রং চা, লাল চা বা কালো চা এই তিনটি নামেই পরিচিত। আর ইংরেজিতে বলা হয় ব্ল্যাক টি। দুধ-চিনি ছাড়া রং চা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। শুধু চা পাতা গরম পানিতে দিলেই হয়ে যায় এই চা।
দিনের শুরুতে এক কাপ চা না পেলে শরীরটা কেমন যেন হাঁপিয়ে ওঠে । কিন্তু আমরা কী চা খাচ্চি সকালে? যদি উত্তরটা দুধ চা হয় তাহলে মনটা চনমনে হয়ে উঠলেও শরীরের কোন উপকারই হয় না। তবে যদি উত্তরটা রং চা, তাহলে তো কথাই নেই! মন তো চনমনে হবেই পাশপাশি শরীরও চাঙ্গা হয়ে ওঠবে। কারণ লাল চা এর উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না।
লাল চায়ে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যে সম্পর্কে জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। শরীরে ক্লান্তি দূর করার পাশপাশি হার্টের উন্নতি ঘটাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লাল চায়ে থিয়োফিলাইন নামে এক ধরনের উপাদান থাকে, যা শরীরকে সার্বিকভাবে চাঙ্গা করে তুলে।
এখানেই শেষ নয়। এই পানীয়র আরও কিছু উপকারিতা আছে। যেমন...
রং চা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এজন্য ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত এই চা খাদ্য তালিকায় রাখুন। এতে করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। দৈনিক কয়েক কাপ লাল চা আপনাকে মারণ রোগ ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের ব্যথা কমাতে ও হাড়ের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
সকালে খালি পেটে রং চা খেলে পেটে অস্বস্তি হতে পারে। তবে এতে করে ভয়ের কোন কারণ নেই। বরং এটি খাদ্যনালীতে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
হার্টের উন্নতিতে লাল চায়ের কোন বিকল্প নেই বললেই চলে। এই পানীয়তে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ যা হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একদম কমিয়ে দেয় এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমায়।
শীতকালে শরীর শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়ে। এ সময় অবশ্যই দিনে অন্তত এক কাপ রং চা পান করুন। এতে শরীর আর্দ্র থাকবে। এই পানীয়ে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও বিভিন্ন উপাদান শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শরীর সতেজ রাখে, মন ভাল রাখে, এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।