Date:-11-june-2021

I hope you are well by the grace of God.First of all thank you to @bangladesh.com for giving such a beautiful contest.

As-salamuyalaikum, i am jibon mahmud, Today I will present to you about my student life. I hope you know a lot about me.

চলুন শুরু করা যাক

প্রাইমারি স্তর (২০০৭-২০১১)

ধোকড়াকোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

আমি শৈশবে ধোকড়াকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছি। এই স্কুলটি স্থাপিত ১৯৬৩ সালে। এখানে আমি ২০০৭ সালে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হই। তার পরে পালাক্রমানুসারে আমি ২০১১ সালে পি,এস,সি পরিক্ষা অর্থাৎ সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে ২০১১ সালে প্রাইমারি স্তরের লেখাপড়া শেষ করি। এখানে প্রধান শিক্ষক সহ সকল স্যার এবং ম্যাম তারা খুবই ভালো মনের মানুষ। তারা অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের শিক্ষা দিতেন। তাদের কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু শিক্ষা পেয়েছি। যেমনঃ-শিষ্টাচার,নিয়মানুবর্তিতা,শ্রদ্ধাবোধ,সম্মানবোধ ইত্যাদি বিষয়ে তারাই আমাদের প্রথম শিক্ষা দেন। প্রথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হলো সেই কারিগর যেখানে ছাত্র-ছাত্রী তাদের মেধাকে প্রথম জাগ্রত করে। আর এই জাগ্রত হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে প্রথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষকা।

মাধ্যমিক স্তর (২০১২-২০১৭)

ধোকড়াকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়

আমি ২০১২ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হই। এটি ১৯৬৫ সালে স্থাপিত হয়। এই আমাদের উপজেলার মধ্যে অন্যতম একটি স্কুল। ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আমি এই স্কুলে লেখাপড়া করছি। ২০১৭ সালে এস,এস,সি পরিক্ষার মাধ্যমে আমি আমার মাধ্যমিক স্তর শেষ করি। এই এমন একটি স্তর যেখানে অনেক বন্ধু বান্ধব পাওয়া যায়। এদের মতো বন্ধন আর কোথাও পাওয়া যায় না। মাধ্যমিক স্তরের স্যার এবং ম্যামদের সাথে আমার খুবই ভালো সম্পর্কে ছিলো তারা আমাকে খুবই ভালোবাসতেন আমি তাদের অনেক সম্মান করতাম। এখানকার প্রতিটা শিক্ষক সমস্থ শিক্ষার্থীদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করতো। ক্লাসে তারা প্রতিটা ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে পড়া আদাই করে নিতেন।

মানব জাতি বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই তার বন্ধু থাকা চাই। বন্ধু ব্যাতিত কেউ বেঁচে থাকতে পারে না। আর এই বন্ধু তৈরীটা হয় এই মাধ্যমিক স্তর থেকেই। মাধ্যমিক স্তরে যে বন্ধুত্ব তৈরি হয় তা কখনো ভেঙ্গে যায় না বা নষ্ট হয় না তারা চিরো অমর হয়। তারা সব সময় বিপদে আপদে পাশে থেকে সাহায্য করে। তারা মানব শরিরের আশা অনুপ্রেরণা জাগ্রত করে। আমারও কিছু এমন বন্দু ছিলো যাদের সাথে আমিও অনেক সময় পার করতাম। তাদের সাথে স্কুল মাঠে খেলাধুলা করতাম আড্ডা দিতাম প্রচুর মজা মাস্তি করতাম। তারা সব সময় একজন ভাইয়ের মতো পাশে থেকেছে। পড়ালেখা থেকে শুরু করে যে কোন দরকারে তাদের পাশে পেয়েছি। তারা খুবই ভালো মনের এক একজন মানুষ ছিলো তাদেরকে কখনো ভুলে থাকা যায় না। আমি প্রতিটি মুহূর্তে তাদের অনুভব করি।

কথায় আছে,স্রোত বয়ে যায় পাথর থেকে যায়,অপরিচিতরা চলে যায় বন্ধু থেকে যায়

এভাবেই আমি আমার মাধ্যমিক স্তরে থেকেছি। সম মিলিয়ে আমার লাইফে সব থেকে ভালো পাঁচটা বছর কেটেছে এই মাধ্যমিক স্তরেই। যা কখনো স্মৃতির পাতা থেকে মুছে যাবে না।

ইনস্টিটিউট লাইফ (২০১৭-চলমান)

কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

ক্যাম্পাসের মেইন গেট

একাডেমিক ভবন

বর্তমানের আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ অধ্যায়নরত অবস্থায় আছি।
এটি ১৯৬৪ সালে স্থাপিত হয়। আমি ২০১৭ সালে আগষ্টের ৮ তারিখ থেকে অধ্যায়ন করি। বর্তমানের আমি কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা করছি। এখন আমি মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টর সপ্তম পর্বের একজন নিয়মিত ছাত্র। কোভিট-১৯ এর কারনে আমাদের ইনস্টিটিউট বন্ধ আছে। আশা করি অতি দ্রুত কোভিট-১৯ শেষ আমরা আবার ক্লাসে উপস্থিত হতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

লালন ও মীর মোশারফ হোস্টেল

বকুল তলা

ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার তিব্র ইচ্ছা থাকলেও এখন আর সার্ধ নেই। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্যে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ ভর্তি হই। এখানে শিক্ষিকার থেকে শিক্ষকই বেশি। আমাদের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট কোন ম্যাম নেই সবই স্যার। তো কি হইছে..!এখানকার স্যারেরা খুবই ভালো তারা আমাদের সাথে বন্ধুর মতো আচরণ করে। আবার কখনো কখনো ভাইয়ের দায়িত্ব পালন করে। আমরা প্রতি পর্ব থেকেই স্যারদের সাথে ইন্ডাসট্রিয়াল ট্রনিং যাই এবং প্রাকটিক্যাল ভাবে আমরা অনেক কিছু নিজেদের দক্ষ ভাবে গড়ে তুলি। যখন স্কুল শেষ করে ক্যাম্পাসে আসলাম মনে হতো যে আর হয় তো এমন বন্ধু পাবো না কিন্তু আবারও তাদের মতো বন্ধু পেয়েছি। তারা আমার সাথে খুবই ভালো ব্যাবহার করতে অনেক মজা করি। তারা আমাকে নানা ভাবে সাহায্য করে থাকে

দুই প্রিয় স্যার

স্যারেরাও আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে ভালোভাবে সব কিছু শেখানোর। তারা আমাদের ভালো ভাবে শিক্ষা দেওয়ার জন্যে প্রাকটিক্যাল ক্লাসের ব্যাবস্থা করে থাকে এবং প্রজেক্টেরের মাধ্যমে তা গ্রহন করে আমাদের ভালোভাবে বোঝাতে সাহায্য করে। আবার ছ্ত্রদের জন্যে পাঠাগার ও কমন রুম আছে। আমরা সেখানে গিয়ে গ্রুপ স্টাডি করি কারো কোন বিষয়ে সমস্যা থাকলে সেই সাব্জেক্ট নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করি। বেশি সমস্যা হলে আমরা স্যাদের সরনাপন্ন হই স্যারেরা অতি আনন্দের সাথে আমাদের সমস্যা করে থাকে। আমাদের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্যে বিনোদন মুলক অনেক ব্যাবস্থা আছে যেমনঃ- অডিটোরিয়াম,খেলাধুলা ঘর,হোস্টেল,ছাত্র কমনরুম ইত্যাদি।

বন্ধু গুলো

অডিটোরিয়ামের মধ্যে নানা ধরনের অনুষ্ঠান সম্পাদন করা হয়। যেমন,নবিন বরন,বিদাই অনুষ্ঠান,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি। ছাত্র কমন রুমে আমরা ব্যাড মিল্টন ও বাসকেট বল খেলি। স্যারেরাও আমাদের সাথে মাঝেমধ্যে খেলাধুলা করে। তারা অত্যান্ত ভালে মনের মানুষ তারা ছাত্রদের সাথে সব সময় বন্ধু সুলভ আচরণ করে থাকে। সর্বশেষে বর্তমানে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াছি, প্রায় শেষের দিকে। ইনশাআল্লাহ ডুয়েট এডমিশন দেওয়ার ইচ্ছা আছে। আল্লাহ চায় তো একদিন অনেক বড় কিছু হবো।

Thank you so much for visit my post.

I wish you all enjoy my post. I hope you all are inspire me in this platform #steemit.I want I do my best in this platform.

thank you