Contest#1 My country is best.//Bangladesh.

প্রিয় বন্ধুরা সকলে কেমন আছেনSorce



# মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট:

১৯৪৭ সালে স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের উপর বিভিন্ন ভাবে বৈষম্য সৃষ্টি করে। এমনকি তারা ঊর্ধ্বকে রাষ্ট্রভাষা করতে চেয়েছিল। তাই সঙ্গত কারণেই বাঙালি এর প্রতিবাদ জানাই।

👉 পরবর্তীতে ১৯৭০ এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী কোনভাবেই বাঙালিদের হাতে শাসনভার তুলে দিতে চাইনি। এমন বৈষম্য ও নিপীড়নের কারণে মুক্তিযুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠে।
তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তিনি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার ডাক দেন।

# মুজিবনগর সরকার গঠন:

১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল মুজিবনগরে সরকার গঠন করা হয় যা ১৭ই এপ্রিল শপথ গ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ছিল:
✳️ শেখ মুজিবুর রহমান --রাষ্ট্রপতি
✳️ তাজউদ্দিন আহমেদ--প্রধানমন্ত্রী



.jpeg)
Sorce




👉 পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশকে ১১ টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। ⤵️

👉 11 টি সেক্টর হলো ⤵️

## সেক্টর নং ১

ফেনী নদী থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি ও ফেনী পর্যন্ত ছিল ‘সেক্টর নং ১’। এই সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল ভারতের ত্রিপুরা

## সেক্টর নং ২

ঢাকা, কুমিল্লা, আখাউড়া–ভৈরব, নোয়াখালী ও ফরিদপুরের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল ‘সেক্টর নং ২’। এই সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল ভারতের ত্রিপুরার মেঘালয় অঞ্চলে।

## সেক্টর নং ৩

হবিগঞ্জ, আখাউড়া–ভৈরব রেললাইন থেকে পূর্ব দিকে কুমিল্লা জেলার অংশবিশেষ এবং কিশোরগঞ্জ ও ঢাকার কিছু অংশ ছিল ‘সেক্টর নং ৩’ এর আওতায়। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কলাগাছিয়ায় এই সেক্টরের সদর দপ্তর অবস্থিত ছিল।

## সেক্টর নং ৪

সিলেট জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত হয়েছিল ‘সেক্টর নং ৪’। এই সেক্টরেও ছিল ৬টি সাব-সেক্টর।

## সেক্টর নং ৫

বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল এবং সিলেট জেলার অংশ বিশেষ নিয়ে ‘সেক্টর নং ৫‘ গঠিত হয় ।

## সেক্টর নং ৬

দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহাকুমা ও ব্রহ্মপুত্র নদের তীরবর্তী অঞ্চল ব্যতীত সমগ্র রংপুর নিয়ে গঠিত হয় ‘সেক্টর নং ৬’।

## সেক্টর নং ৭

রাজশাহী, পাবনা, ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরবর্তী এলাকা ব্যতীত সমগ্র বগুড়া, দিনাজপুরের দক্ষিণ অঞ্চল ও রংপুরের কিছু অংশ ছিল ‘সেক্টর নং ৭’ এর অন্তর্ভুক্ত।

## সেক্টর নং ৮

কুষ্টিয়া, যশোর, দৌলতপুর সাতক্ষীরা সড়ক পর্যন্ত খুলনা জেলা ও ফরিদপুরের কিছু অংশ ছিল ‘সেক্টর নং ৮’ এর অন্তর্ভুক্ত।

## সেক্টর নং ৯

পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত হয় ‘সেক্টর নং ৯’।

## সেক্টর নং ১০

সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল, নৌ কমান্ডো ও আভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন ছিল ‘সেক্টর নং ১০’ এর অধিনে।

## সেক্টর নং ১১

কিশোরগঞ্জ বাদে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা নিয়ে গঠিত হয় ‘সেক্টর নং ১১’।

👉 প্রত্যেকটি সেক্টরে ছিল একটি করে সেক্টর কমান্ডার। (শুধু ১০ নম্বর সেক্টর বাদে) সেগুলো হলো.⤵️

জিয়াউর রহমান (১ নং)

খালেদ মোশারফ (২নং)

কে এম শফিউল করিম (৩নং)

সি আর দত্ত (৪ নং)

মীর শওকত আলী (৫ নং)

উইং কমান্ডার বাশার ( ৬ নং)

কাজী নুরুজ্জামান (৭নং)

ওসমান চৌধুরী (৮ নং)

মেজর জলিল। (৯ নং)

কর্নেল তাহের (১১নং)

ইনারা ছিলেন প্রধান


.jpeg)
Sorce



এরপর দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আত্মসমর্পন করে।
তাই এই ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে পরিচিত।

# বিজয় উল্লাস

.jpeg)
Sorce