আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন আপনারা সকলে ? আশা করছি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই খুব ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বেস্ট অফ বাংলাদেশের একজম সদস্য। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার ভ্রমণ এর কিছু মুহূর্ত কিছু মুহুর্ত শেয়ার করতে যাচ্ছি।
চলুন শুরু করা যাক ⤵️
★ ভ্রমণ ভালো লাগে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। সবার ইচ্ছা হয় কোন না কোন সময়ে ভ্রমণ করতে কিন্তু সময়ের অভাবের কারণে আমরা ভ্রমণ করতে পারি না। পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য আমরা নানা ধরনের কাজকর্ম করে থাকি আর এই কাজকর্ম করতে করতে আমরা এক সময় একঘেয়েমি হয়ে যাই। এই একঘেয়েমি জীবন থেকে বের হয়ে আসার জন্য মানুষের অবশ্যই কোন না কোন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করা প্রয়োজন। ভ্রমণ করার ফলে মানুষের মনের ভিতর থেকে একঘেয়েমিতা কমে যায় এবং সে আবার আগের কাজে সঠিকভাবে মনোনিবেশ দিতে পারে। এতে করে দেখা যায় সে পুনরায় আগের মত তার কাজে মনোনিবেশ দিতে পারছে। আর সত্য কথা বলতে ভ্রমণ করতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি যখনই কোন সময় পাই তখনই ভ্রমণে বের হয়ে যায়। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী স্থান গুলোতে ভ্রমণ করতে আমার সবথেকে বেশি ভালো লাগে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ভ্রমণের যে স্থানটি নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি সেটাই হচ্ছে কুমিল্লা কোটবাড়ি এলাকা।
ময়নামতি শালবন বিহার
- উপরের ছবিতে আপনারা যে কি দেখতে পাচ্ছেন সেই স্থানটি হচ্ছে কুমিল্লার কোটবাড়ি ময়নামতি বিহার। আপনারা হয়তোবা সবাই ময়নামতি বিহার চিনে থাকবেন। হয়তোবা কারো কারো ওই স্থানটি ভ্রমণ করার সৌভাগ্য হয়েছে আর যাদের এই স্থানটি ভ্রমণ করার সৌভাগ্য হয়নি তারা আমার এই ছবিগুলো দেখে জায়গাটি কেমন তার ধারণা লাভ করতে পারেন। এই বিহারটি লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত। এটি প্রাচীন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের একটি নিদর্শন।শালবন বিহারের প্রতিটি বাহু ১৬৭.৭ মিটার দীর্ঘ। বিহারের চার দিকের দেয়াল পাঁচ মিটার পুরু। কক্ষগুলো বিহারের চার দিকের বেষ্টনী দেয়াল পিঠ করে নির্মিত। বিহারে ঢোকা বা বের হওয়ার মাত্র একটাই পথ ছিল। এ পথ বা দরজাটি উত্তর ব্লকের ঠিক মাঝামাঝি স্খানে রয়েছে। প্রতিটি কক্ষের মাঝে ১.৫ মিটার চওড়া দেয়াল রয়েছে। এই স্থানটি ভ্রমণ করার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন মানুষ এসে ভিড় জমায়।
কুমিল্লা বৌদ্ধ মন্দির
* ছবিতে আপনি দেখতে পাচ্ছেন একটি বৌদ্ধ মন্দির। এটি একটি আকর্ষণীয় পর্যটন এক কেন্দ্র হিসাবে বিস্তার লাভ করেছে । বর্তমানে এটি কেবল কুমিল্লা শহরের সম্পদ নয়, এটি আমাদের দেশের একটি বড় সম্পদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকাল আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ এটি দেখতে এখানে আসেন। মন্দিরের অভ্যন্তরের দৃশ্যগুলি আরও আকর্ষণীয় এবং লোকেরা এটি দেখতে ভিড় করে। কুমিল্লা শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে ময়নামতিতে এই মন্দিরটি অবস্থিত। কুমিল্লার সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরের নাম ময়নামতি। এই শহরটি অন্যান্য শহরের তুলনায় খুব আলাদা। এই শহরে অনেক জিনিস রয়েছে। বাংলাদেশে অবস্থিত বারোটি ক্যাডেট কলেজের একটি কুমিল্লার ময়নামতিতে। আমি এই স্থানটিতে করতে যে নিজেকে অনেক ধন্য বলে মনে করছি। কারণ এমন সুন্দর একটা প্রাকৃতিক দৃশ্য চাইলেই দেখতে পাওয়া যায় না। আপনারা যদি কেউ এই জায়গাটি ভ্রমণ না করে থাকেন তাহলে আপনারা এটা ভবন করতে পারেন আশা করি আপনাদের কাছেও এটা ভালো লাগবে।
- আমি ভ্রমণ শুরু করেছিলাম ঢাকা থেকে কারণ আমি লেখাপড়ার সূত্রে ঢাকাতে অবস্থান করি। ঢাকা থেকে আপনি চাইলে যেকোনো বাসে করে কুমিল্লায় যেতে পারবেন আপনার ঢাকা থেকে কুমিল্লা যেতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। কুমিল্লা শহরে পৌঁছানোর পর আপনাদেরকে কোর্ট বাড়ির দিকে যেতে হবে। উপরের ছবিতে আপনারা যে দুইটি স্থান দেখতে পাচ্ছেন দুইটা স্থানে কুমিল্লার কোটবাড়িতে।
কুমিল্লা কোটবাড়ি তে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস রয়েছে সেটি হচ্ছেঃ
১. কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ
২. কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
আমার কুমিল্লা শহরে ঘুরতে যাবার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ কে নিয়ে। কারন আমার বড় ভাই তখন কমিল্লা ক্যাডেট কলেজের একজন শিক্ষক ছিলেন। আমি ভাইয়ের কাছে ঘুরতে গিয়েছিলাম এবং ভাই তখন আমাকে ময়নামতি শালবন বিহার এবং বৌদ্ধ মন্দির টি দেখাতে নিয়ে যায়। সত্য কথা বলতে এই ভ্রমণটি আমি অনেক বেশি উপভোগ করেছিলাম।
ধন্যবাদ বেস্ট অফ বাংলাদেশের সকল সদস্যকে এমন সুন্দর একটা কনটেস্টের আয়োজন করার জন্য।
ভালোবাসা
মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান
Your entry has been accepted.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit