এখন শীতকাল, আর এই শীতকাল মানেই যেন খেজুরের রস খাওয়ার এক সুন্দর মুহূর্ত। তো কিছুদিন আগে আমরা কয়েকজন মিলে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দেই খেজুরের রস খাওয়ার উদ্দেশ্যে। প্রচন্ড শীতের মধ্যে সকালবেলা এরকম খেজুরের রস খাওয়ার মজাই আলাদা। এই মুহূর্তটা শুধুমাত্র তারাই উপভোগ করতে পেরেছেন যারা খুব সকালে খেজুরের রস খাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠেছেন। আমরা কজন খুব সকালেই খেজুরের রস খাওয়ার জন্য খেজুর গাছের কাছে চলে যাই, খেজুর গাছের কাছে গিয়ে দেখি খেজুর গাছের মালিকেরা সবেমাত্র গাছ থেকে রস নামিয়েছে। সকাল-সকাল খাঁটি খেজুরের রস খেতে যে কত মজা সেটা আমি সত্যিই আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না।
সকালের সূর্য টা সবেমাত্র উকি দিয়েছে, সকালের সূর্যের প্রথম কিরণ আর সেইসাথে খেজুরের রস খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম সেই সময়টাতে। আপনাদের যদি কখনও সেই রকম সময় হয় তাহলে আপনারাও শীতের সকালে এরকম খেজুরের রস খেয়ে অনুভূতিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন।
সেই প্রাচীনকাল থেকেই ঘোড়া আমাদের দেশে বহুলভাবে প্রচলিত। আমরা প্রাচীনকালের মানুষদের কাছ থেকে অথবা গল্প বা সাহিত্য এর বই থেকে পড়েছি যে ঘোড়া দিয়ে যুদ্ধ চালনার কাজ করা হতো, কিন্তু ঘোড়া দিয়ে এখন আর যুদ্ধের কাজ করা হয় না। এই ঘোড়া দিয়ে এখন মহিষের কাজও করানো হয়। মহিষ যেমন মাঠ থেকে গাড়িতে করে ফসল বাড়ি নিয়ে আসে ঠিক তেমনই ভাবে ঘোড়া দিয়েও এখন মহিষেে কাজ করানো হয়। কিছুদিন আগে আমি একটা জায়গাতে ঘুরতে গিয়েছিলাম নদী পার হওয়ার সময় এরকম একটি দৃশ্য দেখেছিলাম যে, নৌকা থেকে নেমে অনেকটা পথ হাঁটাহাঁটি করে রাস্তায় উঠতে হয় কিন্তু বালি থাকার কারণে অনেক মহিলা এবং শিশুদের হেঁটে যেতে খুবই কষ্ট হয়। এমন জায়গায় ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করে এ সকল মানুষদের অনেকটা পথ পাড়ি দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে ঘোড়ার গাড়ি। বিষয়টি আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছিল এই ভেবে যে, মানুষ এখন অনেকটাই আধুনিক, আর এই আধুনিকতার ছোঁয়ায় অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে। ঠিক যেমনটা পরিবর্তন হয়েছে ঘোড়ার গাড়িতে করে মানুষের যাতায়াতের সুন্দর একটি ব্যবস্থা।
নদী পারাপারের জন্য আমরা কত কিছুই না ব্যবহার করে থাকি। তবে এখন সচরাচর নদী পারাপারের জন্য আমরা নৌকা ব্যবহার করে থাকি নৌকার বিকল্প হিসেবেও এখন নদী বা ছোট্ট একটি নালা পারাপারের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে সাঁকো।ছোট্ট এই নদীটি পারাপারের জন্য বাঁশের তৈরি সাঁকো ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সাঁকো ব্যবহার করেই এ এপারের মানুষ ওপারে এপারের মানুষ এপারে যাওয়া আসা করে থাকে। তবে এই সাকোটা কিন্তু সব সময় এখানে এ রকম ভাবে ব্যবহার করা হয় না যখন বর্ষা মৌসুম চলে আসে তখন এই সাঁকোটি এখান থেকে উঠিয়ে নিয়ে অন্যত্রে রেখে দেওয়া হয় ।কারণ, বর্ষা মৌসুমে পানি চারিদিকে ছড়িয়ে যায় তখন এই সাঁকোটি যেখানে অবস্থিত সেখানেও পানিতে ডুবে যায়। তখন এ এপার থেকে ওপার যাওয়ার জন্য মানুষ নৌকাতেই বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহার করে।
একজন কৃষক সারাদিন মাঠে পরিশ্রম করে এখন বিকাল মুহূর্তে সে তার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। তার চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে সারাটা দিন অনেক পরিশ্রম করেছে এই পরিশ্রম করার কারণে তার চেহারাটা কিছুটা মলিন হয়ে গিয়েছে। এই ছবিটি আমি একটি নদীর পাশ থেকে তুলেছিলাম। ছবিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে মাঠের পেঁয়াজ লাগাতে গিয়ে ছিল। এখন যেহেতু পেঁয়াজ লাগানোর মৌসুম সে তো খুব সকালে তাকে ঘুম থেকে উঠে মাঠে যেতে হয় এবং সারাটা দিন এই কাজ করতে হয়। আমাদের বাংলার কৃষকেরা অনেকটা পরিশ্রম করেই তাদের ফসল উৎপাদন করে থাকে কিন্তু তাদের এই ফসল উৎপাদনের সঠিক পরিশ্রম তারা কখনোই পায় না। আমি মনে করি বাংলার কৃষকদের সঠিক মূল্যায়ন করা দরকার। তাদের উৎপাদিত ফসল দিয়েই আমরা আমাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকি।
ধান বাংলাদেশের একটি অর্থকারী ফসল। কৃষকেরা মাঠে ধান চাষ করে আর এই ধান থেকে চাল হয় এই চাউলের খেয়েই আমরা বেঁচে থাকি। ছবিটি লক্ষ্য করলে আপনারা দেখতে পারবেন যে এই ধান গাছ গুলো বালির উপরে লাগানো হয়েছে। যদিও এখানে সম্পূর্ণ বালি নয় কিছুটা বেলে দোআঁশ মাটির উপরে এই ধানগুলো লাগিয়েছে। যার কারণে এই ধান গাছ গুলো তেমন একটা বড় হচ্ছে না। দুই পাশে ধানগাছ মাঝখান দিয়ে পথ এই পথই বাংলার কৃষকেরা চলে যায় পদ্মা নদীতে। পদ্মা নদীতে তারা এগিয়ে রূপালী ইলিশ আহরণ করে থাকে। কিছুদিন আগে আমরা কয়েকজন মিলে এই রকম একটি জায়গাতে ঘুরতে গিয়ে এই ছবিগুলো আমার মুঠোফোনে ধারণ করেছিলাম। জায়গাটি আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছিল কারন এরকম দৃশ্য খুব কমই চোখে দেখা যায়। দু'পাশে ধানক্ষেত মাঝখানে যাতায়াতের পথ সত্যিই অপরূপ দৃশ্য দেখে আমি রীতিমত মুগ্ধ হয়েছিলাম। এই ছবি দুটির মাধ্যমেই আমরা বুঝতে পারি আসলে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি তো অনেক সুন্দর এইরকম প্রাকৃতিক দৃশ্য আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে আমি মনে করি।
Assalamualaikum Sir
https://steemit.com/hive-172186/@malikawais/achievement-2-task-basic-security-on-steemit-by-malikawais
Kindly verify my achievement 2 Sir
@sm-shagor
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit