ভূ-রাজনীতিsteemCreated with Sketch.

in hive-107931 •  2 years ago 

ভূ-রাজনীতি শব্দটি ইংরেজি Geopolitics শব্দটির বাংলা পরিভাষা। Geopolitics শব্দটি জার্মান 'Geopolitiik' এর ইংরেজি রূপ, যা দুটো গ্রিক শব্দ Geo-যার অর্থ 'ভূ' এবং 'Politik' যার অর্থ রাষ্ট্র সম্পর্কিত' সমবায়ে গঠিত। সুতরাং, দেখা যায়, ভূ-রাজনীতি ভূগোল এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান দুটি বিষয়কে সম্পর্কযুক্ত করে। সাধারণত রাজনৈতিক ক্রিয়া, রাজনৈতিক শক্তি এবং ভৌগোলিক বিন্যাসের সম্পর্ক বিশ্লেষণ হচ্ছে ভূ-রাজনীতি।

প্রকৃত অর্থে, ভৌগোলিক বাস্তবতা এবং রাষ্ট্রের অবস্থা ও কার্যকলাপের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে এবং এই সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। Rudolph Kjellen "Geopolitics is a science which conceives of the state as a geographical organism or as a phenomenon in space." ভূ-রাজনৈতিক তত্ত্ব ভূ-রাজনীতি সম্পর্কে মনীষীগণের দীর্ঘদিনের গবেষণার ফলই হলো ভূ-রাজনৈতিক তত্ত্ব/মতবাদ।


800px-World_geopolitical_chess.png

জার্মান পণ্ডিত ইমানুয়েল কান্ট সর্বপ্রথম রাজনীতি এবং ভূগোলের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে ফ্রেডরিক রেজেল, রুডলফ কিয়েলেন, হ্যালফোর্ড জে ম্যাকাইন্ডার, কার্ল হাউজফার, নিকোলাস স্পাইকম্যান, আলফ্রেড টি মাহান সহ অনেকেই ভূ-রাজনীতিকে নানাভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। তিনটি প্রধান ভূ-রাজনৈতিক তত্ত্ব: জৈবিকসত্ত্বা তত্ত্ব – Individual Organism Theory হৃদভূমি তত্ত্ব – Heartland Theory রিমল্যান্ড তত্ত্ব – Rimland Theory

● হৃদভূমি তত্ত্ব বা (Heartland Theory): হ্যালফোর্ড জে ম্যাকাইন্ডার ১৯০৪ সালের The Geographical Pivot of History শিরোনামে প্রকাশিত গ্রন্থে হৃদভূমি তত্ত্ব (Heartland Theory) ব্যাখ্যা করেন। তিনি তাঁর Heartland Theory এর ব্যাখ্যায় pivot land বা কেন্দ্রীয় এলাকার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তার মতে, ইউরোপের ইতিহাস হচ্ছে প্রধানত সম্পূর্ণ স্থলবেষ্টিত ইউরোপীয় ভূ-খণ্ডের অভ্যন্তরীণ ভাগ সম্পর্কিত যার নাম তিনি দেন কেন্দ্রীয় এলাকা (Pivot area) বা হৃদভূমি (Heartland)।
● রিমল্যান্ড তত্ত্ব (Rimland Theory); আমেরিকান পলিটিক্যাল সায়েন্টিস্ট নিকোলাস স্পাইকম্যান ১৯৪২ সালে রিমল্যান্ড তত্ত্ব প্রদান করেন। এই তত্ত্বানুসারে, যারা রিমল্যান্ড অর্থাৎ Inner Marginal Crescent বা ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া, ভারত, দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং চায়নার উপকূলীয় অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করবে তারাই পৃথিবীর ভূ-রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে। যে সকল দেশের উপকূলীয় এলাকা বেশি এবং সাগরে মিলিটারি নিয়ন্ত্রণ বেশি তারা এই তত্ত্বানুসারে ল্যান্ডলক দেশের চাইতে ভূ-রাজনীতিতে অধিক শক্তিশালী।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!