আমার ব্যবসা টা আমি শুরু করি ২০১৯ সালের অক্টোবর এর ৭ তারিখ থেকে, প্রথম দিনই আমার ইনকাম হয় ১৪০০ টাকা আর প্রথম কাস্টমারের থেকে আমি পজিটিভ রিভিউ পাই। তখনো নওয়াপাড়াতে হাতে গোনা ৩/৪ জন বিজনেস করতো।
প্রথম প্রথম এক প্রকার চোরের মতোই বিজনেস শুরু করি কারণ অসুস্থ শরীর নিয়ে কাজ করার পারমিশন পাচ্ছিলাম না। তারপর যখন সবাই আমার ডেডিকেশন দেখলো কেও আর মানা করিনি। আলহামদুলিল্লাহ্ তখন থেকে আর আমার পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
তবে অনেকেই মনোবল ভেংগে দিতে চেয়েছে, কিন্তু আমি কারো কথায় কান দি নি, এখনো দি না, কারণ আমি জানি আমি যেদিন সফল হবো তখন এনারাই বাহবা দিবেন।
ছোট্ট একটা শহরে থেকে আমি যে নিজের একটা আলাদা পরিচিতি বানাতে পারবো এটা তখনো আমি ভাবিনি,শুধু আমি কেনো আমার আশেপাশের কেওই ভাবিনি আমি কন্টিনিউ করতে পারবো। বাসা থেকে একটাই কথা ছিলো যদি সুস্থ থেকে বিজনেস করতে পারো তাহলে করবা অসুস্থ হয়ে পরলে আর করা যাবেনা।
কতোবার হাত কেটেছে, কতোবার হাত পুড়েছে, হামান দিস্তায় ছ্যাচা লেগেছে, রোদে কাঁচামাল শুকাতে যেয়ে মাথা ঘুরেছে, কতোবার বৃষ্টিতে ভিজে কাঁচামাল সংগ্রহ করতে হয়েছে, কতোবার রোদের ভিতর ডেলিভারি দিতে হয়েছে। ভিতরে যতোই কষ্ট হয়েছে উপরে কাওকে বুঝতে দেইনি।
তবে ফ্যামিলি থেকে আমি সব সময় সাপোর্ট পেয়েছি, যখন অনেক চাপ থাকে আম্মু সব গুছিয়ে রেখে অফিসে যেয় যেনো আমার বেশি কষ্ট না হয়ে যায়, আবার ছুটির দিন মুলতানি গুড়া করে দেয় কারনে মুলতানি গুড়া করতে গেলে আমার হাতে ফুস্কা পরে যায়।
অনেক সময় আর্জেন্ট ডেলিভারি থাকলে রাজুও আমার ডেলিভারি বয় এর কাজ করেছে, ওর থেকে অবশ্য বেশি কিছু আশাকরা যায়না কারন ওর কাজটাই এমন কোন ছুটি নেই। তার ভিতরেও ও আমার জন্য টাইম বের করেছে, মেন্টাল সাপোর্ট দিয়েছে, আমার মন খারাপ থাকলে ভালো করে দিয়েছে।
আমি নিজেও জানতাম না আমার ভিতর এতো এনারজি আছে, আমার ভিতর এতো জেদ আছে। আমি সেই প্রত্যেকটা মানুষকে একদিন দেখিয়ে দেবো যারা আমার গায়ের রং নিয়ে কখনো হাসাহাসি করেছে আবার কখনো হেসেছে আমার অসুস্থতা নিয়ে। কখনো অপমান করেছে কখনো কাঁদিয়েছে, আর তারা প্রত্যেকেই ছিলো আমার কাছের মানুষ।
যখন ডিপ্রেশন এ ডুবে ছিলাম তখন এই কাজই আমাকে বাঁচিয়েছে সব তিক্ততা ভুলে নিজের কাজ নিয়ে পরে থাকতাম।
https://twitter.com/JannateeHur/status/1386195138569924611
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit