অনেকেই আছেন ফ্রিলান্সিং করতে চান, কিন্তু কাজ শেখা হয় নি, কিংবা এখন আর কাজ পাচ্ছেন না, অথবা আপনি একদমই সাধারণ মানুষ যে অনলাইনে আয় করতে চায়। তাদের জন্য ফাইভার অ্যাফিলিয়েট দারুণ একটা উপায়।
এখানে আপনি অন্য মানুষের সার্ভিস সেল করে আয় করতে পারবেন, আপনাকে কিছুই করতে হবে না!
মূলতঃ আপনার মাধ্যমে যদি কেউ ফাইভারে প্রথমবারের মত কোনো সার্ভিস কেনে তাহলে আপনি একটা কমিশন পাবেন।
এই পোস্টে এটা কেন, কিভাবে কাজ করবেন-বিস্তারিত লিখেছি। আর শেষে আমি নিজে যেভাবে কাজ করি তাঁর সিক্রেট কিছু মেথড শেয়ার করেছি।
তাহলে শুরু করা যাক।
ফাইভার অ্যাফিলিয়েট কেন?
তিনটি কারণে ফাইভার অ্যাফিলিয়েট আপনার জন্য উপযোগী। দেখুনঃ
১। আচ্ছা আপনি নিজে কয় ধরণের কাজ শিখতে পারবেন? যেমন যারা ডিজাইন শেখে তারা এসিও পারে না। কিন্তু ফাইভারে আপনি হাজার রকমের এক্সপার্ট পাবেন। যাদের গিগ প্রমোট করে আপনি আয় করতে পারবেন।
২। আপনি নিজে থেকে ১০০০ ৫স্টার রিভিউ পেতে কত বছর লাগবে? অথচ ফাইভারে বহু প্রোফাইল আছে যাদের হাজারের উপর রিভিউ, কাস্টমার দেখামাত্রই বুঝে যাবে কতটা বিশ্বস্ত সে।
৩। আপনাকে নিজে থেকে কোনো কাজই করতে হচ্ছে না। সেল করামাত্র আপনি টাকা পেয়ে যাবেন, ব্যস।
এছাড়াও অনেকের পিসি না থাকায় ফোন দিয়ে কাজ করতে পারে না, তাদের জন্য বিরাট সুযোগ এটা।
কত আয় করা যায়?
স্বাভাবিক ফ্রিল্যান্সিংয়ের চেয়ে বেশি। কারণ, এখানে যদি ওয়েব ডেভলপমেন্ট এর একটা ৫ ডলারের গিগও আপনি সেল করতে পারেন তবু আপনি পাবেন ৫০ ডলার (নিচে একটা প্রাক্টিকাল মেথড দেওয়া আছে, সুতরাং শেষ পর্যন্ত পড়ুন)। অবাক হচ্ছেন? আসলে ওদের কমিশন প্ল্যানটাই এরকম।
বলে রাখা ভালো আপনি এখানে দুইভাবে আয় করতে পারবেন।
১। ফাইভার হাইব্রিডঃ এখানে আপনার লিংক ব্যবহার করে কোনো কাস্টমার যদি প্রথমবারের মত ফাইভারে কিছু কেনে তাহলে আপনি সাথে সাথে ১০ ডলার পাবেন। এরপর আগামী এক বছর সে ফাইভারে যত টাকা খরচ করবে তাঁর ১০% আপনি পাবেন।
২। ফাইভার সিপিএঃ এখানে কোনো কাস্টমার যদি আপনার লিংক ব্যবহার করে ফাইভার থেকে কিছু কেনে তাহলে ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনি কমিশন পাবেন। নিচে দেখুন কোন ক্যাটাগরির গিগের জন্য আপনি কত টাকা পাবেনঃ
কিভাবে শুরু করবেন?
খুবই সহজ, দুই মিনিটে অ্যাাকাউন্ট করে কাজ শুরু করে দিতে পারবেন। প্রথমে এই লিংক থেকে সাইন আপ করে নিন: এখানে ক্লিক করুন
এরপর ফাইভারে চলে যান।
যে গিগটি প্রমোট করতে চান সেটার লিংক কপি করুন।
এবার আপনার ফাইভার অ্যাফিলিয়েট অ্যাকাঊণ্টে চলে আসুন।
All Marketing Tools থেকে Default and Deep Links এ ক্লিক করুন।
এবার Lp Url এ আপনার গিগের লিঙ্কটি পেস্ট করলে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক পেয়ে যাবেন। এবার এটা প্রমোট করতে থাকুন।
দুটো আইডিয়া
আইডিয়া # ১
ফাইভারে প্রচুর গ্রাফিক ডিজাইনার আর ভিডিও এডিটর আছে। এখন আপনি ফেসবুকের বিভিন্ন ডিজাইনের গ্রুপে জয়েন হোন। বহু পোস্ট পাবেন যেখানে তাদের একজন গ্রাফিক ডিজাইনার দরকার। আপনি ফাইভারে ভালো রিভিঊওয়ালা একটা গিগের অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কটা দিয়ে দিন। ব্যস গ্রাফিক ডিজাইন না জেনেও আপনি ডিজাইন থেকে আয় করে ফেললেন!
আইডিয়া # ২
গুগলে সার্চ দিন cafe in newyork -inurl:https:// লিখে (শহরের নাম বদলাতে পারেন)
বহু সাইট পাবেন। যে রেজাল্টগুলো আসবে তাদের কারো সাইটে https:// নেই, যা ক্ষতিকর।
এবার আপনি এক একটা সাইটে ঢুকে ইন্সটাগ্রাম বা মেইলে মেসেজ দিন যে, তাদের সাইটে https:// নেই, আপনি তা মাত্র ৫ ডলারে ইন্সটল করে দিতে পারবেন।
রিপ্লে পাওয়ামাত্র ফাইভারে যান, দেখবেন অনেকেই ৫ডলারে এই কাজ করে দিচ্ছে।
মজার ব্যপার হলো, কাজটা ৫ ডলারের হলেও আপনি পাবেন ৫০ ডলার! দারুন না!
আইডিয়া # ৩
আপনার কোনো পরিচিতজন ফাইভার থেকে কোনো কাজ করাতে চাইলে আপনার লিংক দিয়ে জয়েন করতে বলুন।
টাকা কিভাবে পাবেন?
প্রতিমাসের দুই তারিখ থেকে গত মাসের আয় তুলতে পারবেন। সাধারণতঃ এক মাসের মধ্যেই পেওনারে টাকা দিয়ে দেয়।
তো এই ছিল ফাইভার অ্যাফিলিয়েট। আমার কাছে অনেক সহজ মনে হয়। আমি ফাইভারে কাজ বাদ দিয়ে এখন এখানেই কাজ করি।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
(এই লেখাটি সর্বপ্রথম এখানে প্রকাশিত হলো)
কিন্তু আপনারা ফাইভার থেকে টাকা তুলেন কিভাবে?
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
payoneer
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit