গীবত কারীর শাস্তি সম্পর্কে আজকের আলোচনা।

in hive-120823 •  9 months ago 

pexels-min-an-801625.jpg
source
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি বারকাতুহু।

প্রিয় সাথী বৃন্দ,
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি সুস্থ আছি। আজকে আমি

আজকে গীবতকারীর শাস্তি বিভিন্ন দিক নিয়ে আজকের এই পোস্ট সাজাইতে যাচ্ছি। এই পোস্টে আপনাদের সকলকে স্বাগতম এবং অভিনন্দন।

গীবত একটি জঘন্যতম অপরাধ। এর শাস্তি অত্যন্ত ভয়াবহ এবং মারাত্মক। এই গীবত গাওয়ার শাস্তি মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে । যার একটি হল দুনিয়ার শাস্তি অপরটি হলো আখিরাতের শাস্তি। প্রথমে আমরা আখেরাতে শাস্তি নিয়ে কিছু কথা তুলে ধরি।

আখিরাতের শাস্তিঃ পৃথিবী একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে। সাত আসমান জমিন সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। ধ্বংস হওয়ার পর হাশরের ময়দান কায়েম হবে। আর তখন মহান আল্লাহতালা জিন এবং ইনসানের বিচার কার্য শুরু করবেন।

তখন সব অপরাধের বিচার শুরু হবে তার মধ্যে একটা মারাত্মক অপরাধ থাকবে সেই অপরাধ টির নাম হলো গীবত। যার গীবত গা হয় তার অনেক অনেক খুশির খবর রয়েছে কারন তার সবচাইতে বেশি লাভ হবে।

pexels-nina-uhlikova-287240.jpg
source
যার গীবত গাওয়া হয়, তার খুশির খবর হলোঃ পূর্বের পোস্টে আমরা আলোচনা করেছিলাম যে, গীবত করতে তিনজন ব্যক্তি লাগে। আর এই তিনজন ব্যক্তির মধ্যে পরকালীন জিন্দেগীতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে, যার সম্পর্কে গিবত দেওয়া হয়। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যে গীবত গায় অর্থাৎ গীবতকারীর।

যার গীবত গাওয়া হয়, সে কিভাবে বেশি লাভবান হয় তাহা হলোঃ যখন হাশরের ময়দান কায়েম হবে। এরপর যখন মহান আল্লাহ তা'আলা বিচারকার্য শুরু করবেন । তখন মহান আল্লাহ তা'আলা গীবতকারীর এবং যার গীবত গাওয়া হয়েছে তাদের দুজনকে উপস্থিত করা হবে। তারপর মহান আল্লাহতালা গীবতকারীর যে পরিমাণ গীবত গেয়েছে, সেই পরিমাণ নেকি(যার গীবত গাওয়া হয়েছে) তাকে দিয়ে দিবেন।

অথচ হাশরের ময়দানে একটি নেকি কম হলে, যার জন্য তাকে জাহান্নামে যেতে হবে। সে একটি নেকি কোথাও খুঁজে পাবে না। কেউ তাকে একটা নেকি দান করবে না অথচ গীবতকারীর কত বড় ক্ষতি হবে যে, তার নেকি (যার গীবত গাওয়া হয়েছে) তাকে দিয়ে দেওয়া হবে। তখন আফসোস ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা।

pexels-maël-balland-3410468.jpg
source
গীবত কারীর দুনিয়াবী শাস্তিঃ গিবতকারীর দুনিয়াবী শাস্তি অনেক বড় কঠিন। এই গীবতকারী যখন দোয়া করবে তার কোন প্রকার দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। শুধু দোয়া নয়, সে যা যা আমল করবে তাও আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। আর তার আমলনামায় শুধু পাপ বৃদ্ধি হতেই থাকবে হতেই থাকবে।

এছাড়াও যে গীবত শুনতে থাকে, নিজে গীবত গায় না । সেও গীবতকারীর সমতুল্য পাপে পাপি হবে। তার শাস্তিও গীবতকারের শাস্তির সমপরিমাণ হবে। তাহারো কোন প্রকার রক্ষা নেই।

pexels-oziel-gómez-840667.jpg
source
তাই আসুন আমরা গীবত গাওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করার শপথ করি। গীবত শোনা থেকেও নিজেকে রক্ষা করি। আমাদের পরকালীন জিন্দেগি সুন্দর সুখময় করার জন্য এই জঘন্যতম অপরাধ গীবত হতে নিজেকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করি। আজকে এই পর্যন্তই আল্লাহ হাফেজ।

[source]()
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

একটি অনেক বড় পাপ। বর্তমান সমাজ এটি প্রায় সবার মাঝে মিশে আছে। জেনে হোক না জেনে হোক প্রায় বেশিরভাগ লোকই গিবতের সাথে সম্পৃক্ত। গীবতকারী দুনিয়া এবং আখিরাতে দুই জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত।

গীবত সম্পর্কে ও এর শাস্তি সম্পর্কে আপনি অনেক সুন্দর একটি আলোচনা করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আসুন আমরা শপথ করি এই পাপ হতে নিজেকে বাঁচায়। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।

আমাদের সকলেরই এই পাপ সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার। ধন্যবাদ

গীবত কারীর শাস্তি সম্পর্কে আমি যতটা জানি তাই একজন গীবতকারীর কখনো তা সয্য করতে পারেন না ।আমরা সব কিছুই জানি কিন্তু তাও গীবত করা ছাড়ি না। গীবত এখন আমাদের একটি প্রেসার মতো হয়ে গেছে। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো এরকম আরো আকর্ষণীয় পোষ্ট দেখার জন্য আমি অপেক্ষা করছি।

আপনি আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনি একবার সত্য কথা বলেছেন। আমরা জানি গীবত এত ভয়ানক ,তারপরেও গীবত গাইতে আমাদের খুব ভালো লাগে।
আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।

গীবত করা স্বীয় মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার মত সমান অপরাধ। কিন্তু তারপরও এই অপরাধ আমরা অহরহই করে যাচ্ছি আমার ধারনা ছিল আগে শুধু মহিলারাই বেশি গীবত করে। কিন্তু খেয়াল করে দেখেছি যে মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষরা কম নয়। তবে মহিলা-পুরুষ বলে কোন কথা নয়। গীবত সকলের জন্যই নিষিদ্ধ।

কারো অনুপস্থিতিতে তার গীবত করলে রোজ কেয়ামতের মাঠে নিজের পুণ্যের ভাগ তাকে দিয়ে দিতে হবে। তাই আসুন সকলে আমরা সচেতন হই আর গীবতের মত এমন পাপ থেকে নিজেকে বিরত রাখি।

আপনি আমার পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ এবং গীবতের ভয়াবহ সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা উচিত এবং এই গীবত হতে যে কোন উপায়ে বেঁচে থাকতেই হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে গীবত হতে সচেতন হওয়ার আহবান করার জন্য।

আপনি, একটা ইসলামিক পোস্ট করেছে,, এই পোস্টে আমার পড়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি,, গীবত এর শাস্তি খুব ভয়াবহ,, আমরা অনেকে জেনে না জেনে গীবত করি,, অন্যর নিয়ে সমলচনা করি,, কিন্তু আমরা এত বড় পাপা থেকে দূরে থাকবো। আপনার পোস্ট টা পড়ে অনেক ভালো লাগলো, আপনার জন্য দোয়া ও শুভকামনা রইল।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনাকে গীবত হতে রক্ষা করুক । যেমনটি আপনার শপথ করেছেন আল্লাহ যেন আপনার শপথ পূরণ করে। আপনার প্রতি দোয়া রইল।

Loading...

গীবত খুবই মারাত্মক একটা অপরাধ। আমরা অনেক সময় দেখেছি একটা সংসারে সুখ শান্তি থাকে। দুইটা মানুষ বেশ ভালই থাকে যখনই সেখানে তৃতীয় মানুষের আগমন ঘটে। তখনই শুরু হয় ঝামেলা। আসলেই কান কথা শোনা মোটেও ঠিক না। গীবত খুবই খারাপ একটা জিনিস গীবত করলেই আমরা এই পৃথিবীতে ও শাস্তি পাব।

এই পৃথিবীতে আমরা ক্ষণস্থায়ী এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে খুব তাড়াতাড়ি। আর হাশরের ময়দানে দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছে আমাদের গুনাহ এর জবাব দিতে হবে। আমরা তখন কি বলবো ওই সময়ে গীবতের শাস্তি কত বড়। সেটা হয়তোবা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।

আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত নিজেদের পরিবারের কথা, প্রিয় মানুষের কথা কারো সাথে শেয়ার না করা। আমরা হয়তোবা বলি এ তো আমার প্রিয় মানুষ শেয়ার করলে সমস্যা কোথায়? কিন্তু সেই মানুষটাও যে আপনার কতক্ষণ প্রিয় থাকবে! সেটা আপনার নিজেও জানেন না! মানুষ বন্ধু হয়ে আমাদের জীবনে প্রবেশ করে! যখন স্বার্থ শেষ হয়ে যায় তখন তারা আমাদের সাথে এমন আচরণ করে! মনে হয় তারা আমাদেরকে চেনেই না! গীবত করা থেকে বিরত থাকুন! এবং অন্য কেউ গীবত করার জন্য বারণ করুন।

গীবতকারী আসলে ভাল লোক হতেই পারে না। এদের ধরন টা হলো এর কথা তাকে, আর তার কথা একে বলে বেড়ানো।ব্যাক্তির পিছনে তার ব্যাপারে কথা শোনানো।আমরা এই ঘৃন্য কাজ থেকে দূরে থাকব।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য।