source
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসছালামুআলায়কুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু।
প্রিয় সাথী বৃন্দ,
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি, সুস্থ আছি।আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কোন কাজ সমূহের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন তাহা নিয়ে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি। এই পোস্টে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
এ পৃথিবীতে আমাদের দুই প্রকার কাজ রয়েছে যেমনঃ
১) আবশ্যিক কর্মসমূহ ।
২) ঐচ্ছিক কাজসমূহ ।
মহান আল্লাহতালা আমাদেরকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন শুধুমাত্র তার ইবাদত এবং বন্দেগী করার জন্য। আর এই ইবাদত এবং বন্দেগী করা হলো আমাদের আবশ্যিক বিষয়। আর ইবাদত বন্দেগী করার পরে পৃথিবীতে আমরা নারী- গাড়ি- বাড়ি, অর্জনের জন্য আমরা যে সমস্ত ক্রিয়া কলাপ সম্পূর্ণ করে থাকি এগুলো হলো ঐচ্ছিক কাজ।
source
আমি এই বিষয়গুলো একটি ছোট্ট উদাহরণ এর সাহায্যে বোঝার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। ধরুন আমরা একটা ইসলামী জলসা করব। এই ইসলামিক জলসা করার জন্যে অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। যেমন সর্বপ্রথম একটি কমিটির প্রয়োজন হয়। যাদের উপর সমস্ত দায়িত্ব থাকে। একজন বা একাধিক বক্তার প্রয়োজন, এটা আবশ্যিক বিষয়। তারপরে প্রয়োজন হয় টাকা পয়সা, এরপরে প্রয়োজন হয় ব্যক্তিগত অথবা সম্মিলিত ইচ্ছা শক্তি। এরপর একটি স্থানের প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া আরো অনেক কিছু প্রয়োজন হয়।
source
প্রথমে আমরা যেখানে জলসাটা করব সেখানে একটা উঁচু মঞ্চ তৈরি করতে হয়। সেটাকে বিভিন্নভাবে রংবেরঙের কাপড় দিয়ে সাজাতে হয় এবং সুন্দর ভাবে লাইটিং করতে হয়। মঞ্চের উপর বক্তার জন্য একটা সুন্দর আসন বসাতে হয়। আশেপাশে অনেকগুলো বসার চেয়ার বসাতে হয়। এর বক্তৃতা দেওয়ার জন্য মাইক ও মাউথ পিস এর ব্যবস্থা করা হয়। এরপর মঞ্চের সামনে, যারা বক্তৃতা শুনতে আসবে, তাদের জন্য বসার সুব্যবস্থা করা হয়। বড় বড় খুঁটির সাথে সামীয়ানা টাঙ্গাইতে হয়। জালসা সাধারণত শীত মৌসুমে করা হয় বিধায় উপর থেকে যেন কোন ঠান্ডা দর্শকের উপরে না পড়ে। এরপর সেগুলো সুন্দর সুন্দর লাইটিং করতে হয়। আসনগুলো সারিসারি ভাবে রাখা হয়। সবকিছু সাজানো গোছানো শেষ। এখন একটি ইসলামী জালসা করার মত সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি করা শেষ হয়েছে।
source
এতকিছু আয়োজন করা হলো, ধরুন, যাকে বক্তা আনার দায়িত্ব ছিল, সে বক্তাকে দাওয়াত দেয় নাই। তাহলে কি সেখানে জালসা হবে? সবার উত্তর হবে না কারণ এই জালসাতে যে সমস্ত কাজ কমপ্লিট করা হয়েছে, এই সমস্ত কাজ হলো ঐচ্ছিক বিষয় এবং বক্তা হলো আবশ্যিক বিষয়। তারা আবশ্যিক বিষয় বাদ রেখে শুধু মাএ ঐচ্ছিক বিষয়গুলো সম্পূর্ণ করেছে। এতে যেমন ইসলামী জালসা হওয়া সম্ভব নয়, তেমনি ভাবে আমরা যদি আবশ্যিক বিষয় (আল্লাহর ইবাদত) বাদ দিয়ে ঐচ্ছিক বিষয়গুলো( দুনিয়াবী যাবতীয় কাজ) নিয়ে সারা জীবন ব্যস্ত থাকি তবে আমাদের জান্নাতে পোঁছা সম্ভব হবে না।
source
তাই সবার প্রতি আকুল আবেদন আমরা আবশ্যিক বিষয়টি আগে করি এরপর ঐচ্ছিক বিষয় গুলো পরে করি। এতে আমাদের জান্নাত লাভ করা অনেক সহজ হবে। আল্লাহ হাফেজ।
হ্যাঁ অবশ্যই আমি আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি, জান্নাত লাভ করতে হলে অবশ্যই সর্বপ্রথম আবশ্যকীয় কাজগুলো করতে হবে। এ ব্যাপারে আপনি অত্যন্ত সুন্দর একটি উদাহরণ উপস্থাপন করেছেন। আপনি বলেছেন মাহফিলের জন্য বক্তা আবশ্যক কিন্তু ব্যবস্থাপনা ঐচ্ছিক তাই আবশ্যকীয় কাজ সর্বপ্রথম করতে হবে এরপরে ঐচ্ছিক কাজগুলো করতে হবে। সুন্দর একটি বিষয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আপনার পরবর্তী আকর্ষণীয় লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার প্রতি শুভকামনা রইল। আপনি সঠিক ও সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন। আল্লাহ তা'আলা আপনাকে ভালো রাখুন এই কামনা করি। আল্লাহ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রিয় ভাই একজন মুসলিম হিসেবে আমি বিশ্বাস করি একদিন আমাকে আল্লাহ্র সামনে দাঁড়াতে হবে এবং আল্লাহ্ আমার কাছে জাররা জাররা পরিমান হিসাবে নেবে। এইটা ভাবলে দুনিয়াতে আর কোন কিছুই করতে ইচ্ছে করে না।
সত্যি বলতে ভাই দুনিয়াতে আমরা দুনিয়াদারি নিয়েই সকলে ব্যস্ত আছি। কেউ পরকাল নিয়ে ভাবি না। ভাবলে আপনার উল্লেখিত ঐশ্চিক কাজগুলোকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিতাম না। অথচ আমাদের উচিত আবশ্যিক কাজগুলোকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া।
আপনি ভাই চমৎকার একটি উদাহরণ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এই বিষয়ে। আপনার কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছুই নেয়ার আছে। আশা রাখবো প্রতিনিয়ত এমন সব লিখা আমাদের উপহার দেবেন। ভালো থাকবেন। আল্লাহ্ হাফেজ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সর্বপ্রথম আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কারন আপনি আমার পোস্টটি সুন্দরভাবে পড়েছেন এবং সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মহান রাব্বুল আলামিন পৃথিবীতে আমাদেরকে পাঠিয়েছেন তার ইবাদত করার জন্য। আর তার এবাদত করার জন্য সমগ্র পৃথিবীকে তিনি উপযোগী করে গড়ে তুলেছেন। তিনি বলেছেন তাকে উত্তম ঋণ দিতে।যখন মানুষ জিজ্ঞাসা করে যে সৃষ্টিকর্তার তো কোনো অর্থের প্রয়োজন নেই তখন তিনি বলেন তোমার পাশের অভাবী ভাইটিকে ,অভাবী পরিবারটিকে সহায়তা কর। তাহলে আমাকে উত্তম ঋণ দেওয়া হবে।
এই পৃথিবীতে সমস্ত ভালো কাজই যেমন ইবাদতের অংশ তেমনি অবশ্যই নিরবে নিভৃতে ও নিয়মিতভাবে সৃষ্টিকর্তার এবাদত করা আবশ্যক ।এবাদত নিয়ে বহু চর্চা করার সুযোগ আসলে নেই ।অল্প আমল নাজাতের জন্য যথেষ্ট। তাই ধর্মীয় বিষয়গুলো নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক নয়।
আপনি আপনার লেখার মধ্যে খুব সুন্দর একটি মেসেজ দিয়েছেন। ভালো লাগলে পড়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার কে ধন্যবাদ। আমার পোস্টটি কষ্ট করে পড়ার জন্য এবং সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের সকলকে একদিন আল্লাহর আদালতে দাঁড়াতেই হবে।আর সেখান থেকে পাস করার সকল কার্যক্রম গুলো আমাদের এই পৃথিবীতে বসেই করে যেতে হবে । ওই পারে বসে কোন কিছু করার সুযোগ নেই।আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যে মিথ্যা কথা ত্যাগ করতে পারলে আমাদের সবকিছুই সহজ হয়ে যাবে। কারণ মিথ্যা বলা সব অপরাধের শ্রেষ্ঠ অপরাধ। আমাদের জান্নাত পেতে হলে বেশি কিছু না করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আর মিথ্যা কথা ছাড়ান দিলেই হবে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পরিবার ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি একটা সুন্দর মন্তব্য করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা ও অভিনন্দন রইলো। আপনাকে ধন্যবাদ কারন আপনি আমার পোস্টটি কষ্ট করে পড়ার জন্য। আপনার প্রতি শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit