🌺আসসালামুয়ালাইকুম🌺

• একটা সুন্দর দিন
• ১২-ফেব্রুয়ারি-২০২৪
• সোমবার

আশা করি আপনারা সকলের ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আর আপনাদের আজকের দিনটা অনেক ভালো কেটেছে।

"🌺 সকাল বেলা 🌺"

আজ আমি সকাল ৭ টায় ঘুম থেকে উঠলাম, আমি আরো একটি নতুন ভোরের জন্য আল্লাহ সুবহানাতায়ালাকে ধন্যবাদ জানাই, ঘুম থেকে উঠে আমি দাঁত ব্রাশ করতে করতে টিউবওয়েল ওপর যাই। আর হাত মুখ ধুয়ে রুমে চলে আসি এবং ছাত্র ছাত্রীদের পড়ানো শুরু করি। ছাত্র ছাত্রীদেরকে সকাল আটটা ত্রিশ মিনিট পর্যন্ত পড়াই। ওদের পড়া হয়ে গেলে আমি ওদেরকে ছুটি দিয়ে দিয়।

আমি রুমের বাইরে যায় এবং দেখি যে, আমার মা রান্না করছে। আমি আমার মাকে বলি যে, তোমার রান্না কী হয়েছে মা? মা বলে হয়েছে, আমি আমার মাকে বলি সকালের খাবার দেওয়া জন্য। আমার মা আমাকে সকালের খাবার দেয়। আজকে সকালের খাবারের মেনু ছিল সাদা ভাত আলু পালং শাক কুমড়ো বড়ি দিয়ে রুই মাছের ঝোল। সকালের খাবারটা খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। তাই সকালে একটু বেশিই খেয়ে নিয়।

সকালের খাবার খেয়ে আমি প্রতিদিনের মতো রোদের উপর বসি। এখন রোদের হিট প্রচুর পরিমাণ বেশি সময় রোদের ওপর থাকা যায় না। যাইহোক, ওইভাবে কিছুক্ষণ রোদের ওপর বসে থাকি আর মোবাইল টিপতে থাকি। এভাবে কিছুক্ষণ মোবাইল টিপার পর আমি চলে আসি মোড়ের ওপরে। মোড়ের ওপরে এসে দেখি কেউ নেই। তাই আবার বাড়ি চলে আসি। বাড়ি এসে আমি রুমে চলে আসি।

রুমে এসে শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপতে থাকি। মোবাইল টিপতে টিপতে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যায়। আর আমার মোবাইলের ওয়াই-ফ্রাই বন্ধ হয়ে যায়। এই শীতের সময় গত বার একবারও বিদ্যুৎ গিয়েছিল না আমার মনে আছে। কিন্তু এই বার দিনের ভিতর চার পাঁচ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। আল্লাহ্ এবার ভালো জানে যে, গরম এর সময় বিদ্যুৎ আমরা কি পরিমাণে পাবো? এই কথা ভাবতে ভাবতে আমি ঘুম এসে যায়।

"🌺 দুপুর বেলা 🌺"

ঘুম থেকে থেকে আমি যখন, উঠি তখন ঠিক দুপুর দুইটা বাজে। ঘুম থেকে উঠে আমি বারান্দার উপরে যায়। আর বারান্দার ওপরে এসে দেখি যে, আমার ছোট ভাই তার জুতার লেছ ঠিক করছে। আমি কিছুক্ষণ সেখানে বসে থেকে আলসে ছাড়ি। আর ওর জুতার লেছ লাগানো দেখি। এভাবে কিছুক্ষণ দেখার পর আমি গোসল করতে যায়। গোসল করে এসে আমি দুপুরে খাবার খায়।

দুপুরের খাবার খেয়ে আমি রুমে চলে আসি আর  মোবাইল টিপতে থাকি। কিছুক্ষণ মোবাইল টিপার পর আমি প্রাইভেট পড়াতে চলে যায়। গিয়ে দেখি আমার ছাত্র কেবল মাত্র স্কুল থেকে বাড়ি এসেছে। আমার যাওয়া দেখে যে পড়তে বসে। আর আমি ওকে পড়ানো শুরু করে দিয়। এইভাবে কিছুক্ষণ পড়ানোর পর ওর পড়া শেষ হয়ে যায়। ওর পড়া শেষ হয়ে গেলে আমি বাড়ি চলে আসি।

বাড়ি এসে আমি রেডি হয়ে নিয়, আমার বড় চাচাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমার একটা ভ্যানে করে খোকসা খেয়াঘাটে পৌঁছে যায়। আর আমরা ঘাটে গিয়ে দেখি যে, একটা নৌকা বাঁধা আছে। আমি আর আমার বড় চাচা সেই নৌকার ওপরে উঠি। কিছুক্ষণের ভিতরে নৌকা ভরে যায় আর নৌকা ছেড়ে দেয়। আমার নদী পার হয়ে যায়। আমরা নদী পার হয়ে চলে আসি ডাক্তারের চেম্বারে।

"🌺 সন্ধ্যা বেলা 🌺"

ডাক্তারের চেম্বারে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। আর আমার বড় চাচার সিরিয়ালটা অনেক পিছনে। তাই আমি আর আমার বড় চাচা বসে অপেক্ষা করতে থাকলাম। এইভাবে প্রাই দুই ঘণ্টা আমরা অপেক্ষা করতে থাকি। তারপর যখন আমাদের সিরিয়াল আসে তখন ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ কিনে বাড়ি চলে আসি। বাড়ি আস্তে আস্তে রাত নয়টা বেজে গেল। বাড়ি এসে আমি আমার বড় চাচার ঔষধ গুলো বুঝিয়ে দিলাম।

ঔষধ বুঝিয়ে দিয়ে আমি বাড়ি চলে আসি। বাড়ি এসে আমি পোশাক পরিবর্তন করে হাত মুখ ধুয়ে নিয়। হাত মুখ ধুয়ে আমি খাবার ঘরে যায় এবং রাতের খাবার খায়। আজকে রাতের খাবারের মেনু ছিল সাদা ভাত পাতা কপি ভাজি আর হাঁসের মাংস রান্না। আজকে হাঁসের মাংস রান্নাটা খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। খেতে খুবই ভালো লাগছিল আমার। রাতের খাবার খেয়ে আমি রুমে চলে আসি। আর বিছানায় ওপর শুয়ে পড়ি।

বিছানায় শুয়ে শুয়ে আমি ভাবতে থাকি। আজকে আমি সারাদিন কি কি কাজকর্ম করছি? আর ভাবার পর সেটা লেখা শুরু করি। কিছু সময় লেখার পর আমার লেখা শেষ হয়ে যায়। আমি দুই তিন বার পড়ে দেখি যে, কোথায় কোন ভুল আছে কিনা। যখন আর কোন ভূল আমার চোখে ধরা পড়ল না, তখন আমি স্টিমে প্রবেশ করি। আর আজকে ডাইরি গেমটা পোস্ট করি। ডাইরি গেমটা পোস্ট করে আমি শুয়ে পড়ি।

এভাবেই আমার জীবন থেকে আরো একটা দিন চলে গেল। জানিনা আজকে আমি কোন ভালো কাজ করতে পেরেছে কিনা। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। খুব সুন্দর ভাবেই আরো একটা দিন পার করতে পেরেছি তার জন্য।

সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমি আজকের মত এখানে বিদায় নিচ্ছি। আর আমার লেখা আপনাদের সকলের কাছে কেমন লাগল সেটা বলবেন? ধন্যবাদ।

" 💖 আল্লাহ হাফেজ 💖 "