Better Life With Steem || The Diary game || 3/10/2024

in hive-120823 •  18 days ago 
1000151179.jpg

হ্যালো বন্ধুরা, আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম। আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার আজকের কাটানো দিনগুলো শেয়ার করতে চাই। আশা করি আমার পোস্টটি পরে আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে চলুন এবার লেখা শুরু করি।


ভোর সাড়ে পাঁচটায় চোখের ঘুম ভাঙ্গে, আমার ঘুম ভাঙার সাথে সাথে মেয়েকে ঘুম থেকে জেগে ওঠায়। মেয়ে উঠে হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা খেয়ে তারপর মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য রওনা দিলো। তারপর হলো ছোটখাটো এই কান্ড, আমাদের এখানে বিল্ডিং এর গেট খুলে ছয়টা বা সাড়ে ছটার সময়। মেয়ে তো প্রতিদিন পাঁচটা বা সাড়ে পাঁচটার সময় মাদ্রাসায় যায় ওই সময় গেট খোলা থাকে না। তাই আমরা দারোয়ানের কাছ থেকে একটা এক্সট্রা চাবি নিয়েছি।

1000151163.jpg

আজকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে চাবিটা কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না, মা মেয়ে মিলে কোথাও চাবি খুঁজে পাচ্ছি না তাই অন্য একটা চাবি নিয়ে ট্রাই করে দেখলাম সেই চাবিতে খুলছে না। তারপর বাসায় এসে পড়ি, মেয়ে আবার পুনরায় সম্পূর্ণ বাসা খোঁজাখুঁজি করার পর ডাইনিং টেবিলের উপরে চাবিটা পেল। তারপর ওর বাবাকে বললাম এবার তুমি দিয়ে আসো আমি তিন তলায় ঘুম ঘুম চোখে উঠা নামা করতে পারছি না। আর এত সকালে লিফ্ট চালু থাকে না তাই সিড়ি দিয়ে যেতে হচ্ছে।

এরপর আবার কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে পড়ি, এবং সেই সকাল বেলার ঘুম থেকে আাবার আটটায় উঠি। তারপর রান্না ঘরে দিকে চলে যাই ভাবছি আজকে খিচুড়ি রান্না করবো রুটি বানাতে ভালো লাগছে না। তাই খিচুড়ি রান্না করলাম তাড়াতাড়ি রান্নাটা হয়ে গেল। রান্নাটা হওয়ার পর মেয়েকে টিফিন বক্সে দিয়ে আসি তারপর আমি সকালে নাস্তা করি এবং ছেলে খাইয়ে দিই।

1000151167.jpg

সকালে নাস্তা খেতে খেতে প্রায় সাড়ে দশটা বেজে গেল এদিকে রান্না করার সময় হয়ে গেল। তাই নাস্তা খাওয়ার পর্ব শেষ করে থালা-বাসন গুলো ধুয়ে সঙ্গে সঙ্গে রান্নাঘরের দিকে চলে গেলাম। রান্না করার সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে আস্তে আস্তে রান্নাটা বসিয়ে দিলাম। এরপর রান্নাবান্না শেষ হওয়ার পর মা ছেলে গোসল করে নামাজ পড়ে দুইটার ভিতরে ছেলেকে দুপুরে ভাত খাওয়াতে বসি। ছেলের ভাত খাওয়াতে শেষ করতে এক ঘন্টা সময় লেগে গেল তিনটা পাঁচে ভাত খাওয়া শেষ হয়েছে।

1000151177.jpg

ছেলের খাওয়া হয়ে গেলে এরপর আমরা সবাই খেয়ে নিলাম। খেয়ে দেয়ে ঘুমোতে গেলাম তবে আজকে ঘুমাতে পারিনি। ভাইয়ার মা মানে আন্টি সে দুপুরবে ভাত খেয়ে আমাদের রুমে এসেছে ওর বাবার সাথে অনেকক্ষণ কথা বলেছে তাদের কথার কারণে আজকে মা ছেলে কেউ ঘুমাতে পারেনি। এরপরে আর কি করব তাদের কথা শুনতে থাকি আর পেয়ারা খাচ্ছি।

পেয়ারাটা খেয়ে ওযু করে আসরের নামাজ পড়ি,আসরের নামাজ পড়ে দুধ গরম করি। আজকে দুপুরে ফ্রিজ থেকে দুধ নামাতে অনেকটা লেট হয়েছিল। তাই দুধের বরফ ছারতে অনেকটা সময় লেগে গেল তাই একেবারে বিকেল বেলায় গরম করে রেখে দিলাম ।

1000151174.jpg

তারপর আর কি করবো শুয়ে বসে কতক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করি। কিছুক্ষণ বাদেই মাগরিবের আযান দিলে শোয়া থেকে উঠে ফোনটা চার্জে লাগিয়ে মাগরিবের নামাজটা পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বাদে সন্ধ্যার পর সাহেবকে একটা পেয়ারা কেটে দিলাম সে সেটা খেয়ে ভাইয়ের সাথে দোকানে চলে গেল। আর ছেলেকে এক কাপ গরম দুধ খেতে দিলাম অবশ্য ছেলে খেতে চাইনি জোর করে খাইয়ে দিলাম। ছেলেকে দুধটা খেয়ে দিয়ে তারপর শান্ত হয়ে বসে আজকে ডাইরি গেম লেখতে শুরু করি।

যাইহোক এরকম করে আজকের দিনটা আমি পার করি, আজকের মতো আমার লেখা এখানেই সমাপ্ত কারতে চাই ( আল্লাহ হাফেজ)

Thank You So Mrch For Reading My Blog

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম সকাল বেলাতে আপনারা সমস্যার মধ্যে পড়েছেন কারণ চাবি হারিয়ে গেলে অনেক বড় সমস্যা হয় এটা আমরা সবাই জানি তার পাশাপাশি আপনি অন্য আরেকটি চাবি দিয়ে চেষ্টা করেছেন তালা টি খোলার জন্য কিন্তু কখনো সেটা সম্ভব হয় না যদি তালা নষ্ট হয় তাহলে অন্য চাবি দিয়ে খোলা যায় আমি যেটা জানি যাই হোক পরবর্তীতে আপনার মেয়ে চাবিটি পেয়েছে জানতে পেরে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনার দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য।

এটা যে দুধ দেখে তো বোঝাই যাচ্ছে না আমি তো প্রথম দেখায় মনে করছি এটা দই হবে তবে লেখা পড়ে বুঝলাম ফ্রিজ থেকে বের করছেন তাই এমন দেখা যাচ্ছে। পেয়ারা খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকার আমি মনে করি আপেলের চাইতে আমাদের দেশে ফল পেয়ারা খাওয়াই ভালো কেননা আপেলের চাইতে বেশি ভিটামিন থাকে পিয়ারাই।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার পরবর্তী দিনলিপি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন।