হ্যালো বন্ধুরা, আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও খুব ভালো আছি। আবার আমি আপনাদের মাঝে আজকের ডাইরি গেম নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আমার পোস্টটি পরে আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে চলুন এবার শুরু করি।।।
আজকের সকালটা কি রকম ভাবে শুরু হয়েছে তা বলতেই পারছি না। সাহেব কয়েকদিন ধরে অসুস্থ তার ভিতর কালকে রাতে আরো বেশি অসুস্থ হয়েছে। শরীরে অনেক জ্বর হাত-পা কামড়াচ্ছে তাই রাতে শোয়ার আগে সাহেবকে অনেকক্ষণ হাত পা এবং শরীর টিপে দিলাম।
রাত আড়াইটার পর ঘুমানোর পরও আবার সেই থকে প্রতিদিনের মতো সকাল ৫:৩০ টার সজাগ হই। তবে আজকে শুক্রবার ছিল তাড়াতাড়ি নাস্তা বানানোর কোন তারাই ছিল না তারপরও প্রতিদিনের ওঠার অভ্যাস তাই সাড়ে পাঁচটায় সজাগ হয়ে গেলাম। সজাগ হয়ে আবার কিভাবে যেন আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়েছি। এরপর সেই ঘুম থেকে সাড়ে আটটায় উঠি।
ঘুম থেকে উঠে সকালের নাস্তা বানানোর কথা ভাবি আজকে কি নাস্তা বানাবো। অবশেষে ভেবে পেলাম যা আজকে রুটি বানাই। আস্তে আস্তে করে সকালে নাস্তার জন্য রুটি বানালাম। সাহেব ঘুম থেকে ওঠার পর তাকে খেতে দিলাম ছেলেও খেলো সে সস্ দিয়ে রুটি খেলো।কেউ খেলো তরকারি দিয়ে কেউ খেলে সস দিয়ে আবার কেউ খেলো ডিম ভাজি দিয়ে যার যার মত করে সে খেলো।
সকালে নাস্তা জামেলা সেরে তারপর গেলাম রান্নার আয়োজনে। কাল রাত থেকেই ভেবে রেখেছিলাম যে কালকে শুক্রবার গরুর মাংস কালা ভুনা রান্না করবো। ভাবি বলছে আজকে মাংসটা আমি রান্না করবো তাই রান্না করার সবকিছু গুছিয়ে দিলাম তারপর সে আস্তে আস্তে মাংসটা রান্না করলো। ভাবির মাংস রান্না হয়ে গেলে এরপর আমি কাঁচকলা চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করি।
দুপুরে রান্নাবান্না শেষ করে এরপর ছেলেকে গোসল করিয়ে দি, এদিকে সাহেব সে আজকে দোকানে যায়নি শরীর ভীষণ খারাপ লাগছিল তাই বাসায় ছিল। ছেলেদের গা গোসল করিয়ে বসিয়ে রেখে তারপর আমি গোসল করে আসি। সবার গোসল করা হয়ে গেলে তারপর বাসার সকলে মিলে একসাথে দুপুরে খাবার খাই।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে সাড়ে তিনটের ভিতরে ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর আবার সেই ঘুম থেকে সাড়ে পাঁচটায় উঠে সাহেবও উঠে যাও তার শরীর বিকালের দিকে একটু ভালো লাগছিল তাই আবার দোকানে চলে গেল।
ঘুম থেকে ওঠার কিছুক্ষণ পরই সন্ধ্যা হয়ে গেল মাগরিবের আজান দিল ওযু করে নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে ছেলেকে ঘুম থেকে উঠাই, ছেলেকে ঘুম থেকে উঠাবার পর অনেকক্ষণ কান্না করলো উঠতে চাইনি আমি জোর করে উঠেছি তার জন্য,অনেক বুঝানোর পর তারপর কান্না থামল।
এদিকে ছেলের কান্না থামাতে আমি হরাং হয়ে গিয়েছি, তারপরে রান্নাঘরে গেলাম দেখি সন্ধ্যায় কি খাওয়া যায়। কোন কিছু খুঁজে না পেয়ে চালের গুড়ি দিয়ে কয়েকটি চাপটি পিঠা বানাই, এরপর সেই পিঠা মাংসের ঝোল দিয়ে খেলাম। খেয়েদেয়ে কিছুক্ষন রেস্ট নিয়ে তারপর পোস্ট লেখা শুরু করি। এইতো এইরকম করে আজকের দিনটা পার করি। আজকের মত লেখা এখানেই সমাপ্ত করছি [আল্লাহ হাফেজ]
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
শুনে খারাপ লাগলো ভাই অনেক অসুস্থ কয়েকদিন হয় ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে না।। ভাই অসুস্থ থাকায় আপনি তার বেশ যত্ন নিচ্ছেন শুনে ভালো লাগছে এছাড়াও আজ তিনটি একটু অন্যভাবেই পার করেছেন।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit