Better Life With Steem || The Diary game || 20/11/2024

in hive-120823 •  3 months ago 
1000152035.jpg

হ্যালো বন্ধুরা!

আমার আজকের পোস্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। আশা করছি সকলের বেশ ভালো আছেন। আলহামদুল্লাহ, আমিও ভালো আছি। আজকে সারা দিনটা কিভাবে কেটেছে তা সম্পূর্ণরূপে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। তো চলুন, দেরি না করে শুরু করি।


সকাল শুরু

আজকে সকালে এতটা লেট করে উঠেছি তা কি বলবো! কাল রাতে মাথা ব্যথা করছিল এবং ঘুমাতে অনেক লেট হয়েছে। তার মাঝে আবার চারটার সময় সজাগ হয়েছি। এরপর আবার ঘুমিয়ে যাই, সেই ঘুম থেকে সকাল নয়টায় উঠি।

1000152020.jpg

উঠে মুখ হাত ধুয়ে রান্নাঘরে চলে গেলাম ছেলের জন্য। নুডুলস রান্না করি। ছেলের সঙ্গে সাহেবকেও খেতে দিলাম। আমি আর সেই নুডুলস খাইনি, সকালে বাঁশি ভাত ও তরকারি ছিল ডিম ভেজে খেয়ে নিলাম।

রান্নার আয়োজন

1000152024.jpg

সকালের খাবার খেতে খেতে প্রায় সাড়ে দশটার মতো বেজে গেল। এরপর রান্নাঘরে গেলাম দুপুরের রান্নার আয়োজন করতে করতে। আজকে দুপুরের রান্না খুব শর্টকাটে এবং অল্প উপকরণেই রান্না হয়ে গেল—ডাটা শাক ভাজি, আলু ভর্তা, আর ডাল।

সাড়ে বারোটার মধ্যে রান্না হয়ে গেল। তারপর ছেলেকে গোসল করতে নিয়ে গেলাম। তখন দরজায় কে যেন নক করছে। দরজা খুলে দেখি এক বৃদ্ধ মহিলা মুসাফির এসেছে। তাকে চাল দিলাম, এরপর তার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম মুখটা একদম শুকিয়ে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, দুপুরে খেয়েছে কিনা।

1000152023.jpg

এরপর তাকে বাসার ভিতরে ঢুকে হাতমুখ ধুয়ে আসতে বললাম। তারপর টেবিলে খাবার বেড়ে দিলাম। আজকে দুপুরে যা রান্না করেছি, সেগুলো দিয়েই খেতে দিলাম। সে চেয়ার টেবিলে না বসে মেঝেতে বসেছে। আমি তাকে বারবার বললাম, "উঠে বসেন," কিন্তু সে বলল, "নিচে বসে খেতে খুব শান্তি লাগছে।" আমি বললাম, "আচ্ছা, আপনার শান্তি মতন আপনি খেয়ে নিন।"

দুপুরের খাবার

তাকে খেতে দিয়ে এদিকে আমি ছেলেকে গোসল করিয়ে নিলাম। ছেলেকে গোসল করে বের করে দেখি তার খাওয়া হয়ে গেছে।তাতে কি বলে যে ডাক বুঝতে পারছি না তাকে আমার নানির এবং দাদীর বয়সের মতো লাগছে। তার খাওয়া হয়ে গেলে আমরা দশ মিনিটের মতো কথা বললাম—তার পরিবার নিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করলাম।

1000152026.jpg

সে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে চলে গেল। আমি গোসল করে জোহরের নামাজ পড়লাম। নামাজ শেষে দুইটার মধ্যে ছেলেকে দুপুরের খাবার খাওয়াতে বসি। ছেলেকে খাওয়াতে প্রায় ৪০ মিনিট লেগে গেল। তারপর আমি খেয়ে নিলাম।

বিকেল ও সন্ধ্যা

দুপুরে খাবার খেয়ে ছেলেকে নিয়ে শুতে গেলাম। ছেলে আজকে ঘুমায়নি, আমি কিছুক্ষণ শুয়ে রইলাম। এরপর সাহেব আসলো, তাকে দুপুরে খাবার খেতে দিলাম।

বাহিরে জোরে জোরে কথা শুনে জানলাম, আমাদের একই ফ্ল্যাটের ছেলে-মেয়ে পালিয়ে গেছে। তাদের পরিবারের মধ্যে চেঁচামেচি চলছে। ছেলের বাবা-মায়ের সাথে। আসলে তাদের দীর্ঘদিনের প্রেম ছিল, ছেলের বাবা মা মেয়ের পরিবারের কাছে প্রস্তাব নিয়ে গেছিল মেয়ের বাবা-মা কোনভাবে রাজি হয়নি। তাই তারা পালিয়ে যাওয়া টা বেছে নিলো।

কিছুক্ষণ সেখানে থেকে তাদের কথা শুনে বাসায় চলে আসি এবং আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করি। কয়দিন ধরে ওয়াইফাইয়ে সমস্যা হচ্ছে, ঠিকমতো ফোনও হাতে নিতে পারছি না।

1000152033.jpg

যাই হোক, সন্ধ্যা হয়ে এলো। মাগরিবের আজান দিল, অজু করে নামাজ পড়লাম। নামাজ শেষে কিছুক্ষণ বসে দুটো কমলা ছিল, সেগুলো সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে খেলাম। ছেলে আমার কোনো ভালো জিনিসই খেতে চায় না। হাতে এক পিস কমলা দিলাম, সে এক কামড় দিয়ে ময়লার ঝুরির ভিতরে ফেলে দিল।

সে শুধু খেতে পছন্দ করে মুড়ি আর চানাচুর। ক্ষুধা লাগলে বেশিরভাগ সময় এগুলোই খায়। ছেলেকে আর কমলা খাওয়াতে পারিনি, তাকে মুড়ি চানাচুর মুখে দিলাম। আর আমরা কমলা খেলাম এবং খেতে খেতে আজকে ডাইরি গেমটা লিখে ফেলি।

যাইহোক, আজকের মতো লেখা এখানেই শেষ করতে চাই। আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে। (আল্লাহ হাফেজ)

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এখন বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা পড়ে গেছে তাই সকলেরই সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠ তে বেশ দেরি হয়ে যায়। আপনার মত আমারও ঘুম থেকে উঠতে প্রায় সকাল নটা বেজে যায়। আমাদের তো ঘুম থেকে উঠেই আগে রান্নার ব্যবস্থা করতেই হয়। সংসার করতে গেলে এইসব নিয়ম তো মানতেই হবে। আপনিও সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে ছেলের জন্য। আর হাজবেন্ডের জন্য রান্নাবান্না করেছেন। আপনার সারাদিনে কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Loading...

বর্তমান যে সময় যাচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের শরীর খারাপ করছে। আজ কয়েক দিন ধরে আমারও মাথা যন্ত্রণা করছে অনেক এবং রাতে ঠিক মতো ঘুমাতে পারি না। এবং রাতে যদি এক বার ঘুম ভেঙে যায় তাহলে সকালে ঘুম থেকে উঠতে আসলেই অনেক দেরি হয়ে যায়। মাঝে মাঝে আমার সাথেও এমনটা হয়ে থাকে। সারাদিন নিজের বাসায় অনেক পরিশ্রম করে যাচ্ছেন নিজের শরীরের প্রতি একটু খেয়াল রাখা উচিত। যাই হোক আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

আমিও দেখছি আমার বাড়িতে আমার আম্মা যখন আমাদের জন্য ভালো কিছু করত যেমন সকালে যদি ডিম ভাজতো তাহলে আমার আম্মা সেই ডিম দিয়ে না খেয়ে বাসি তরকারি ও ভাত দিয়েই খেত তখন বলে যে এটাই নাকি বেশি স্বাদ লাগে প্রকৃতপক্ষে আপনার মত মায়েরা সবসময় বাসি তরকারি খাই যাতে করে তরকারি এগুলো না খেলে দিতে হয়।

মেয়েরা বাড়ির লক্ষী আর একটি মেয়ে পারে সংসার উন্নতি করতে।। আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।