আজকের শুক্রবার ছিল তাই যে যার মত সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেছে , ঘড়ির কাটার সাড়ে পাঁচ থেকে ছয়টা বাজলে আমি আর বিছানায় থাকতে পারিনা তাড়াতাড়ি ওঠার একটা অভ্যাস হয়ে গেছে। তারপরও মোরামুরি করে সকাল আটটা পর্যন্ত বিছানায় থাকলাম।
এরপর সকাল আটটার সময় উঠে হাত মুখ ধুয়ে নিলাম আর ছেলেও আমার সঙ্গে উঠে গেল। ছেলে ওঠার পর ওকে হাতমুখ ধুয়ে কেক খাইয়ে দিলাম। আর আমরা পান্তা ভাত আর ডিম ভাজা খেয়েছি। সাহেব আর ভাইয়া তারা ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে বাজারে গেল। আজকে শুক্রবার ছিল তাই তারা দুই ভাই একসাথে বাজার করতে গেল।
এক ঘন্টার ভিতরে তারা দুই ভাই চলে আসলো দেশি মুরগি আনলো ফার্মের মুরগি আনলো আরো বাসায় যা যা যাবতীয় কিছু দরকার ছিল সেই সব জিনিস আনলো। তারা বাজার থেকে আসার পর সঙ্গে সঙ্গে আমরা রান্নাঘরে গেলাম। যা যা রান্না করবো সেগুলো সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্না বসিয়ে দিলাম। ভাবি রান্না করার সবকিছু কেটে সাহায্য করে দিল তারপর আমি সবকিছু আস্তে আস্তে রান্না করে নিলাম।
ভেবেছিলাম আজকেও রান্না করতে অনেক লেট হবে কিন্তু না তা হয়নি, দুপুর একটার ভিতরেই সবকিছু রান্নাবান্না হয়ে গেল। রান্না ঘরে রান্নার কাজগুলো গুছিয়ে রেখে তারপর রুমটা ঝাড়ু দিয়ে মুছে নিলাম। এরপরে দেখি তারা দুই ভাই মসজিদ থেকে চলে এসেছে।
আমি সবকিছু গুছিয়ে রেখে তারপর ছেলেকে নিয়ে গোসল করতে চলে যাই। দুদিন পর আজকে ছেলেকে গোসল করিয়ে দিলাম। এতদিন অনেক সর্দি ছিল নাক থেকে শুধু পানি ঝরছে তাই গোসল করাই নি, আসলে ছেলের সর্দি এবং জ্বর এগুলো ওর কারণেই বেশি একটা হয়। গোসল করতে গেলে পানি ধরা যতক্ষণ বাথরুম করবে ততক্ষণ পানি নিয়ে দুষ্টুমি করবে এইসবের কারণে বেশি একটা ঠান্ডা লাগে। যাইহোক মা ছেলে গোসল করে তারপর দুপুরের খাবারের সাথে খেয়ে নিলাম।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে অনেকক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। সাহেব ও আধা ঘন্টার মত বিশ্রাম নিলো তারপর সে তার কাজে আবার বেরিয়ে পড়ল। ওর বাবা যতক্ষণ বাসায় ছিলো ততক্ষণ ছেলে ঘুমায়নি ওর বাবা যাওয়ার পর ঘুমিয়েছে এবং আমিও ঘুমিয়ে পড়লাম। এরপর আবার সাড়ে পাঁচটার সময় উঠে যাই মেয়ে উঠিয়েছে। ওর শরীরটা আজকে একটু ভালো লাগছে তাই আজকে বিকালে মাদ্রাসায় গেল। এই ৩-৪ দিন মাদ্রাসায় যায় নি পড়ায় অনেক পিছিয়ে গেল।
এরপর সন্ধ্যা হল নামাজ-কালাম পরে বসে রইলাম, কিছুক্ষণ পর ভাবী বলছে মাংস দিয়ে পাস্তা রান্না করব তারপর আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে। আপনার যেটা ভালো মনে আছে সেটাই করেন। তারপর সে তার ইচ্ছামত ঝাল এবং মসলা দিয়ে পাস্তা রান্না করলো, রান্না হয়ে গেলে আমাকে এক বাটি খেতে দিল বেশ ভালোই হয়েছে কিন্তু প্রচুর পরিমাণে ঝাল। আমি খেতে গিয়ে চোখ দিয়ে পানি পড়ছে আর কান দিয়ে ঝাল বের হচ্ছে আর সে মজা করে খাবে। আসলে যার যেরকম রুচি সবার রুচি তো একরকম থাকে না।
ভাবির হাতের পাস্তা রান্না খেয়ে কিছুক্ষণ মুখটা ঠান্ডা করে তারপর পোস্ট লিখতে বসি। পোস্ট লেখাটা শেষ করে এরপর ছেলেকে রাতে খাবার খাইয়ে দিই। আমি আর তখন খাইনি কারণ, ওই যে সন্ধ্যায় পাস্তা খেয়েছিলাম তাই বেশি একটা ক্ষুধা লাগেনি। সাহেব এবং ভাইয়া তারা আসলে একেবারে রাত সাড়ে বারোটায় খাব। এরপর ছেলেকে খাওয়া দাওয়া করিয়ে লাইট অফ করে ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। এইতো এভাবেই করে আজকের দিনের মুহূর্তটা পার করি। আজকের মত লেখা এখানেই সমাপ্ত করছি [আল্লাহ হাফেজ]
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
আমি খেয়াল করে দেখছি যে আপনি রান্নার কাজগুলো খুব দ্রুতই সেরে নেন। আজকেও একটার ভিতর আপনি রান্না গুছিয়ে নিয়েছেন। ভাবছিলেন যে হয়তোবা দেরি হবে কিন্তু একটার ভেতরে ই আপনার রান্না কমপ্লিট হয়েছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের কিছু উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit